সম্পদ কাকে বলে? || What is wealth?

সম্পদ

সম্পদ বলতে সাধারণত ধন - সম্পত্তি বা টাকা পয়সাকে বোঝায়। অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পদ বলতে বোঝায় যার বিনিময় মূল্য আছে, যা মানুষের দারিদ্র্য মোচনে সহায়তা করে এবং যার চাহিদা আছে। যে সমস্ত দ্রব্যের উপযোগ আছে, যোগান সীমাবদ্ধ ও হস্তান্তরযোগ্য এবং যা মানুষের শ্রমের দ্বারা সৃষ্ট তাকেই সম্পদ বলে। 
গার্হস্থ্য অর্থনীতির ভাষায় 'যা কিছু দিয়ে পরিবারের সব রকম চাহিদা পূরণ করা যায় তাই সম্পদ।' যেমন- শক্তি, সময়, স্বাস্থ্য ও গৃহের যাবতীয় দ্রব্য। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লেখক Ruth E. Deacon বলেন, 'সম্পদ হলো উপায় যা চাহিদা পূরণে ক্ষমতাসম্পন্ন হিসেবে স্বীকৃত। উপায় হলো সেসব জিনিস যেগুলোর চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতা আছে এবং যা ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক।'

অর্থাৎ , সম্পদ বলতে তিনি সে সমস্ত জিনিসকে বুঝিয়েছেন যা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। Nickel & Rice এর মতে, Resource are assets can be used to accomplish goals . মানুষ যে উপাদানসমূহ পারিবারিক নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবহার করে সেগুলোকেই গৃহ সম্পদ বলে। অর্থাৎ, গৃহের প্রয়োজন মেটানোর জন্য যেসব বস্তু যেমন— অর্থ , আসবাবপত্র , সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন গুণাবলি যেমন — জ্ঞান , সামর্থ্য , দক্ষতা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় তাকেই সম্পদ বলে। সম্পদের বৈশিষ্ট্য পরিবার তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পদ ব্যবহার করে। সম্পদ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো : 
১. উপযোগ (Utility)
২. ক্ষমতাধীন বা আয়ত্তাধীন (Accessibility)
৩. সীমাবদ্ধতা (Limitation ) 
৪. পরস্পর পরিবর্তনশীলতা (Inter - change ability) 
৫. পরিচালনাযোগ্যতা (Manageability) 

১. উপযোগ: উপযোগ সম্পদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। মানুষের কোনো অভাব মোচন করার ক্ষমতাকে উপযোগ বলে। কোনো দ্রব্য সম্পদ বলে বিবেচিত হতে হলে অবশ্যই তার উপযোগ থাকতে হবে। অর্থাৎ, মানুষের কোনো না কোনো অভাব পূরণের কাজে তাকে লাগাতে হবে। উপযোগহীন দ্রব্য সামগ্রী দাম দ্বারা ক্রয় - বিক্রয়ের যোগ্য নয় এবং সেজন্য তা সম্পদ হতে পারে না। একটা দ্রব্যের উপযোগিতা সবার কাছে এক রকম হয় না। একজন পিপাসার্ত ব্যক্তির কাছে পানির উপযোগ বেশি। আবার পিপাসা মেটার পর পানির উপযোগ হ্রাস পায়। আবার কোনো দ্রব্যের ব্যবহার ক্ষতিকর, নীতিবিরুদ্ধ হতে পারে কিন্তু তা সত্ত্বেও দ্রব্যটি কোনো লোকের চাহিদা মেটাতে পারলে অর্থনীতিতে এর উপযোগ আছে বলে গণ্য করা হয়। যেমন- সিগারেট, মদ ইত্যাদি। চারটি উপায়ে সম্পদের উপযোগ বৃদ্ধি করা যায়। যথা:

ক. আকার পরিবর্তন দ্বারা: কোনো জিনিসের আকারের পরিবর্তন করে তা ব্যবহারের উপযোগী করা যায়। যেমন- একটি কাঠের টুকরার সাধারণত কোনো উপযোগিতা নেই , কিন্তু কাঠ কেটে তার আকার পরিবর্তন করে নানা ধরনের আসবাবপত্র তৈরি করলে এর ব্যবহারযোগ্যতা বা উপযোগিতা অনেক বৃদ্ধি পায়। 

খ. সময়োপযোগী ব্যবহার দ্বারা: একটি দ্রব্য সংরক্ষণ করে রাখলে তা পরবর্তীকালে বিশেষ করে অভাবের সময় বিক্রয় করা যায়। এভাবে দ্রব্যটির উপযোগিতা বৃদ্ধি করা যায়। 
সম্পদ কাকে বলে?

গ. স্থানান্তরকরণ: কোনো জিনিসের উপযোগ তার স্থান পরিবর্তনের দ্বারা বাড়ানো যায়। যেমন- গাছে ফুল ফুটলে তা কাজে লাগে না কিন্তু যখনই তা তুলে ঘরে সাজানো হয় তখনই এর উপযোগিতা বৃদ্ধি পায়। 

ঘ. চাহিদা মিটানোর দ্বারা: নির্দিষ্ট সময়ে কোনো কিছুর চাহিদা যত বেশি থাকে অন্য সময় তা থাকে না। চাহিদা অনুযায়ী জিনিস পাওয়া ও এর ব্যবহার করাই হলো চাহিদাগত উপযোগ । যেমন— পিপাসা পেলে এক গ্লাস পানির চাহিদা যত থাকে, পিপাসা মেটার পর তত থাকে না। 

২. ক্ষমতাধীন বা আয়ত্তাধীন: সম্পদকে কারো হতে হবে। এটা সম্পদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। সম্পদকে আয়ত্তাধীন হতে হবে কারণ প্রয়োজনে এটিকে কাজে লাগাতে হবে। যদি তা করা না যায় তবে সেটি সম্পদ বলে বিবেচিত হবে না। আর তা কখনো স্বাধীনভাবে ব্যবহারও করা যাবে না। যেমন পাশের বাড়ির লোকের সম্পদ ঐ ব্যক্তির নিজস্ব; সেগুলো অন্য কারও নয়। কারো আয়ত্তাধীন বা এছাড়া সময়মতো যদি সম্পদ কাজে না আসে তবে তাকে সম্পদ বলা যায় না। সম্পদকে ক্ষমতাধীন বা আয়ত্তাধীন করা এর গুণাগুণ, পরিমাণ, সীমাবদ্ধতা ও ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে।

৩. সীমাবদ্ধতা: সম্পদ গুণগত বা পরিমাণগত দিক দিয়ে সীমাবদ্ধ। শক্তি গুণগত আর সময় পরিমাণগত দিক দিয়ে সীমাবদ্ধ। তাই সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা সময় ও শক্তিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি। পরিমাণগত সীমাবদ্ধতা বেশি স্পষ্ট । উদাহরণস্বরূপ, একটি পরিবারের সীমিত আয়। এছাড়া একজন ব্যক্তির জন্য দিন - রাত মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ। আবার একজন গৃহিণী গৃহের কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করতে পারে। সম্পদের গুণগত সীমাবদ্ধতাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন— খুব কমসংখ্যক ব্যক্তির নাচ , গান ও ছবি আঁকার প্রতিভা আছে। আবার বুদ্ধির সীমাবদ্ধতার জন্য একই শ্রেণির সব ছাত্র - ছাত্রী সমান জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। 

৪. পরস্পর পরিবর্তনশীলতা: সম্পদ পরস্পর পরিবর্তনশীল হতে হবে। সম্পদ পরিবর্তনের মাধ্যমে এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো যায়। সম্পদের পরিবর্তনশীলতা বিভিন্ন রকম হতে পারে। যথা:

ক. বিকল্প সম্পদ ব্যবহার: যখন কোনো একটি সম্পদের অভাব হয় তখন আমরা সে অভাব অন্য প্রকার একটি সম্পদ দ্বারা পূরণ করতে চেষ্টা করি। উদাহরণস্বরূপ, কোনো গৃহিণীর অর্থের অভাব থাকতে পারে। কিন্তু তার অবসর সময় এবং কিছু কিছু কাজে দক্ষতা ও পারদর্শিতা আছে। সুতরাং, সে তার এ সম্পদগুলোর সুষ্ঠু ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে পারে । যেমন – পোশাক তৈরি ; টিউশনি করা ইত্যাদি। 

খ. সম্পদের বিকল্প ব্যবহার: সম্পদের বিকল্প ব্যবহার করা যায়। যেমন- কেউ ১০,০০০ টাকা ব্যয় করে বেড়াতে যেতে পারে, অথবা সে ঐ টাকা দিয়ে ঘর সাজানোর জন্য কোনো উপকরণও কিনতে পারে। কোনো গৃহিণী তার জ্ঞান, দক্ষতা দ্বারা গৃহসজ্জার সামগ্রী বানিয়ে বাজারে বিক্রি করতে পারে , আবার নিজের ঘরও সাজাতে পারে। 

গ. সম্পদ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ও নির্ভরশীল: সম্পদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো পরস্পর নির্ভরশীলতা। কোনো কিছু তখনই সম্পদে পরিণত হয় যখন তার সাথে সম্পর্কিত আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোর সুষ্ঠু সংযোগ ঘটে। যেমন— বাড়িতে ফল ও শাক - সবজির বাগান করলে অর্থ বাঁচানো যায়। কিন্তু এটা করতে সময় , শক্তি ও জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। 

ঘ. রূপান্তর বা সৃষ্টি: খুব কম সম্পদই এদের নিজস্ব আকারে ব্যবহৃত হয়। রূপান্তর দ্বারা সম্পদের ব্যবহার ও প্রাপ্তি বাড়ানো যায়। এর ফলে মোট সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং পারিবারিক লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। যেমন— ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিস দিয়ে শো - পিস তৈরি। আবার মানবীয় সম্পদ যেমন— জ্ঞান, দক্ষতা ইত্যাদিকে রূপান্তরিত করে অর্থ উপার্জন করা হয়। আবার এ অর্থকে রূপান্তরিত করা হয় দ্রব্য ও সেবাকর্মে। 

ঙ. বহুবিধ ব্যবহার (Multiple Effect): একই সম্পদের বহুবিধ ব্যবহার থাকতে পারে। যেমন— টেলিভিশন। এটা মানুষের চিত্ত বিনোদন ও জ্ঞান লাভে সাহায্য করে; আবার সামাজিক মর্যাদার প্রতীকরূপেও কাজ করে । এছাড়া খাওয়ার টেবিলকে ব্যবহার করা যায় পড়াশোনা, ইস্ত্রি ও আলোচনা করার কাজে। 

চ . বিনিময়: বিনিময় অর্থ একটি সম্পদের বিনিময়ে অন্য একটির ব্যবহার । তবে সকল সম্পদের বিনিময় হয় না , যেমন— ভালোবাসা , স্নেহ ইত্যাদি। তবে অর্থনৈতিক সম্পদের বিনিময় হয়। এর জন্য মূল্য যাচাই ও পরিতৃপ্তির পরিমাণ বিবেচনা করতে হয়। যে সম্পদ দিয়ে অন্য সম্পদ লাভ করা হলো তা অধিক তৃপ্তিদায়ক হওয়া প্রয়োজন। যেমন— কেউ অর্থ দিয়ে খাদ্যদ্রব্য বা পোশাক কিনতে পারে। খাদ্যদ্রব্য বা পোশাকটি তার জন্য অর্থের চেয়ে তৃপ্তিদায়ক কি না সেটিই বিবেচনা করতে হবে। 

৫. পরিচালনাযোগ্যতা: সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার বা পরিচালনা দ্বারা লক্ষ্য অর্জন করা যায়। সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারই হলো পরিচালনা। মানুষ লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে সচেতন বা অবচেতনভাবে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অনুসরণ করে। গৃহ তৈরি থেকে শুরু করে আসবাব নির্বাচন সব ক্ষেত্রেই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। সঠিক ব্যবস্থাপনা ছাড়া লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। সম্পদ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে অভাব মোকাবিলা ও লক্ষ্য অর্জন করা যায়। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয় এবং সম্পদের স্থায়িত্ব বাড়ে।

সম্পদের শ্রেণিবিভাগ

একটি পরিবার লক্ষ্য অর্জনের জন্য নানাবিধ সম্পদ ব্যবহার করে। কেননা সম্পদ ছাড়া লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। পরিবার তার নিজস্ব সম্পদ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে লক্ষ্যগুলো অর্জন করে থাকে। প্রতিটি পরিবারেই সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ সঠিকভাবে চিহ্নিত করা দরকার। আর এজন্যই সম্পদের শ্রেণিবিভাগ করা প্রয়োজন। সম্পদকে নানাভাবে শ্রেণিবিভাগ করা যায়। যথা: 
১. মানবীয় ও বস্তুবাচক সম্পদ; 
২. অর্থনৈতিক ও অ - অর্থনৈতিক সম্পদ ; এবং 
৩. উৎস অনুসারে সম্পদ। 

১. মানবীয় ও বস্তুবাচক সম্পদ 
i. মানবীয় সম্পদ: এটি মানুষের অন্তর্নিহিত গুণাবলি যা তাকে বিভিন্ন সম্পদ অর্জনে সহায়তা করে। যেমন— জ্ঞান, দক্ষতা, কাজ করার ক্ষমতা, বিদ্যা, বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি। মানবীয় সম্পদগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো— এগুলো স্পর্শনীয় নয় এবং শনাক্ত করা যায় না। পরিবারের প্রতিটি সদস্য সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের দক্ষতা, শ্রম, জ্ঞান ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে সচ্ছলতা বজায় রাখার চেষ্টা করে। এগুলো মানবীয় সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণস্বরূপ, কম দামি অথচ ভিটামিন সমৃদ্ধ শাকসবজি সহজে কেউ খেতে চায় না। এক্ষেত্রে যদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যায় তবে তা পরিবারের জন্য বড় সম্পদতুল্য। খাদ্যাভ্যাসের এ পরিবর্তনকে সহজভাবে গ্রহণ করার মনোভাবও একটি সম্পদ। মানবীয় সম্পদকে আবার দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

ক. ব্যক্তিগত সম্পদ: যে সম্পদ একজন ব্যক্তির মধ্যে নিহিত তাকে ব্যক্তিগত সম্পদ বলে। যেমন— জ্ঞান, শক্তি, মনোভাব ইত্যাদি।
খ. সমষ্টিগত সম্পদ: দুই বা ততোধিক ব্যক্তির কাজের সমন্বয়ে গঠিত হয় সমষ্টিগত মানবীয় সম্পদ। যেমন- পারস্পরিক সহযোগিতা, ভালোবাসা, ভাবের আদান - প্রদান ইত্যাদি। 

ii. বস্তুবাচক সম্পদ: মানবীয় সম্পদ ছাড়া অন্য যেসব সম্পদ মানুষের অভাব মেটায় তা সবই বস্তুবাচক সম্পদ। যেমন— জমি-জমা, অর্থ, গয়না, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সুবিধাদি অর্থাৎ , রাস্তাঘাট, পার্ক, পরিবহনের সুবিধা, লাইব্রেরি ইত্যাদি। পারিবারিক জীবনে এসব সম্পদকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ্য অর্জন করা যায়।

২. অর্থনৈতিক ও অ - অর্থনৈতিক সম্পদ 
i. অর্থনৈতিক সম্পদ: যে সম্পদ চাহিদার তুলনায় কম তাকে অর্থনৈতিক সম্পদ বলে। অর্থনৈতিক সম্পদ সাধারণত হস্তান্তরযোগ্য ও পরিমাপ সাপেক্ষ। যেমন: টাকা, জমি - জমা, স্বর্ণালঙ্কার। 

ii. অ - অর্থনৈতিক সম্পদ: কিছু কিছু সম্পদ রয়েছে যেগুলো সীমিত নয়, বিনিময় মূল্য নেই কিন্তু পরিবারের লক্ষ্য অর্জনে ব্যবহৃত হয় সেগুলো অ - অর্থনৈতিক সম্পদ। এই সম্পদগুলো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়া ব্যবহার করা যায় না। যেমন: শক্তি, সময়, দক্ষতা, আগ্রহ ইত্যাদি।

৩. উৎস অনুসারে সম্পদ: উৎস অনুসারে সম্পদ বলতে বোঝায় সম্পদটি কোথায় পাওয়া যায় অর্থাৎ, এর অবস্থান কোথায়। এর অবস্থান পরিবারের মধ্যে হতে পারে আবার পরিবারের বাইরেও হতে পারে। সম্পদের অবস্থান অনুযায়ী পরিবেশকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো— 
i. দূরের বা বৃহত্তর পরিবেশ: দূরের বা বৃহত্তর পরিবেশের আওতায় উচ্চতর শিক্ষা , চাকরির সুযোগ , প্রযুক্তিগত বিভিন্ন সুবিধা যেমন— স্যাটেলাইট টেলিভিশন , বিমান ইত্যাদি রয়েছে। এ ধরনের সম্পদের ব্যবহার বা কার্যকারিতা নির্ভর করে পরিবার ও এর সদস্যদের লক্ষ্যসমূহের ওপর। 

ii. কাছের পরিবেশ: এ পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত সম্পদগুলো পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত এর সঠিক ব্যবহার করা হয়। এ পরিবেশের সম্পদগুলো হলো- চাকরির সুযোগ , বাজার, শিক্ষা, ধর্মীয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আমোদ - প্রমোদ , ব্যবসা - বাণিজ্যের সুবিধা ইত্যাদি। 

iii . গৃহস্থালির পরিবেশ: গৃহস্থালির পরিবেশ বেশির ভাগই অমানবীয় সম্পদ দ্বারা গঠিত। গৃহের পরিবেশ ব্যক্তিকে আশ্রয় এবং খাদ্য ও বস্ত্রের নিশ্চয়তা দেয়। এছাড়া পারিবারিক পরিবেশে এমন অনেক সম্পদ আছে যার মাধ্যমে সদস্যরা দূরের ও কাছের পরিবেশের সম্পদসমূহের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারে। যেমন— আর্থিক আয়, আসবাবপত্র, গৃহস্থালির সরঞ্জাম, পারিবারিক সুযোগ - সুবিধা ইত্যাদি। 

এছাড়া আরও বিভিন্নভাবে সম্পদের শ্রেণিবিভাগ করা যায়।
সামাজিক সংযোগের আঙ্গিকে: সামাজিক সংযোগের আঙ্গিকে শ্রেণিবিন্যাসের ক্ষেত্রে পরিবারের সম্পদসমূহ যেসব সমাজের অন্তর্ভুক্ত তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । এর ফলে পরিবারের সাথে সমাজের আন্ত:সম্পর্কের সমৃদ্ধি ঘটেছে এবং প্রকাশ পেয়েছে। 

সামাজিক সংযোগের আঙ্গিকে সম্পদের শ্রেণিবিভাগ
i. ব্যক্তিগত সম্পদ: সময়, শক্তি, জ্ঞান, দক্ষতা, সৃজনশীলতা। 

ii. পারিবারিক সম্পদ: সকল সদস্যের ব্যক্তিগত সম্পদ , পারিবারিক অনুষ্ঠান , পরিবারের বিনিময়ের ব্যাপকতা , বাড়ি , গাড়ি , আসবাবপত্র । 

iii. সাম্প্রদায়িক সম্পদ: চাকরির সুযোগ - সুবিধা ভোগ্যপণ্যের বাজার , বিনিয়োগ , ব্যাংক , সঞ্চয় সুবিধা , নিরাপত্তা বিধান। 

iv. জাতীয় সম্পদ: প্রাকৃতিক সম্পদ , সরকারি পার্কে অবসর বিনোদনের ব্যবস্থা, জীবনের নিরাপত্তা আইন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, অর্থনৈতিক পদ্ধতি, যাতায়াত ব্যবস্থা।" 

v. বিশ্ব সমাজ সম্পদ: বিশ্ব সংস্থা যেমন- United Nation , আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি , বিদেশ ভ্রমণ নীতি। 

এছাড়াও সামাজিক বন্ধন , ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বন্ধুত্বের ধারা , মানবীয় আচরণের আন্তঃপ্রক্রিয়া ধারা ইত্যাদিও সম্পদ। পরিবেশের আঙ্গিকে সম্পদের শ্রেণিবিণ্যাস হলো-
i. সামাজিক সম্পদ: পরিবার , সম্প্রদায় , সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান।
ii. প্রাকৃতিক সম্পদ: মাটি , পানি , বাতাস ইত্যাদি। 
iii. জৈবিক সম্পদ: মানুষ , পশু , পাখি , উদ্ভিদ ও জীবাণু।

প্রাকৃতিক সম্পদ কি?

প্রাকৃতিক সম্পদ হলো স্বাভাবিক প্রকৃতির উপাদান এবং প্রকৃতির প্রক্রিয়ার সম্মিলিত সম্পুষ্টি বা বাণিজ্যিক মূল্য যা মানব সমাজের জীবনে ব্যবহার করা হয় এবং মানব সমাজের উন্নতি এবং সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক সম্পদ প্রকৃতি থেকে আসতে পারে, যেমন বৃক্ষ, উদ্ভিদ, পানি, খনিজ, মাটি, বায়ু, এবং জীবজন্তু।

প্রাকৃতিক সম্পদ মানব সমাজের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এগুলি সমাজের খাদ্য, বস্ত্র, আবাস, ইনফ্রাস্ট্রাক্চার, উদ্যোগ, এবং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য প্রয়োজন। এছাড়াও, প্রাকৃতিক সম্পদ প্রকৃতির সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলির সঠিক ব্যবহার এবং সুরক্ষণ না হলে প্রকৃতির সংঘাত এবং প্রদূষণ সমস্যার কারণ হতে পারে।

তথ্যমূলক সংস্করণে, প্রাকৃতিক সম্পদ মানুষের স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্কৃতির প্রতি প্রভাব ফেলে এবং প্রকৃতি বেশি আবাদি স্থানে সান্নাদ এবং পরিবেশে দুর্বল প্রতিরক্ষা করে। এছাড়াও, প্রাকৃতিক সম্পদ সাস্ত্যবান মাধ্যমে আরও উৎপাদন এবং নির্যাতনের মাধ্যমে আরও আয় সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। তবে, প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার এবং সার্বিক সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ যাতে এগুলি আগামী প্রজন্মের জন্য উপলব্ধ থাকে।

চলতি সম্পদ কি কি?

"চলতি সম্পদ" একটি আর্থিক পরিবার্তন এবং সামাজিক মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত একটি পরিস্থিতি বা আস্তিত্বের স্থানের সম্পদ বা সম্পত্তির একটি নাম হতে পারে। এটি আপনার বর্তমান আর্থিক সংস্থান, প্রতিষ্ঠান, বা ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক স্থানের মৌলিক মূলধন, নগদ অর্থ, সঞ্চিত অর্থ, বা যেকোনো সাধারণ সম্পত্তি যে আপনি ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার জীবনধারার জন্য প্রয়োজন হতে পারে।

চলতি সম্পদের উদাহরণ হতে পারে:
1. ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মৌলিক মূলধন এবং নগদ অর্থ।
2. আপনার ব্যক্তিগত সঞ্চিত অর্থ যা প্রয়োজন হতে পারে আপনার দৈনন্দিন জীবনের মধ্যে প্রয়োজন।
3. ব্যক্তিগত বা পরিবারের বা প্রতিষ্ঠানের নির্মিত সম্পত্তি যেমন জমি, বাড়ি, গাড়ি, ইলেক্ট্রনিক্স উপকরণ, আঞ্চলিক যানবাহন, ইনভেস্টমেন্ট প্রপার্টি, স্টক মার্কেট সুদের মৌলিক মূলধন ইত্যাদি।

চলতি সম্পদ আপনার দৈনন্দিন জীবনের জন্য প্রয়োজন হতে পারে যেমন আপনি নতুন ব্যবসা চালাচ্ছেন, শিক্ষার জন্য অর্থ প্রয়োজন, বা আপনার পরিবারের দরকারি সামগ্রী সহযোগিতা করতে। এটি আপনার আর্থিক স্থিতি এবং জীবনধারার মৌলিক দিক সম্পর্কে প্রতিস্থাপন করতে সাহায্য করতে পারে।

অলীক সম্পদ কি?

"অলীক সম্পদ" একটি বাংলা শব্দ, যা ইংরেজিতে "Intangible Asset" বা "Intangible Property" হয়। অলীক সম্পদ বৈদ্যকথায় মানে অস্পষ্ট এবং অমূর্ত্যু সম্পদ বোঝায়, যা কোনও মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের অর্জিত সম্পত্তির অংশ হতে পারে, কিন্তু এটি স্পষ্টভাবে দেখা, স্পর্শ করা, একটি নগদ মুদ্রা হিসেবে আপনার হাতে নেই। উদাহরণস্বরূপ, কোনও প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড মূল্য, প্যাটেন্ট, কপিরাইট, সফ্টওয়্যার, এবং অন্যান্য বৈদ্য সম্পদ অলীক সম্পদের উদাহরণ হতে পারে।

অলীক সম্পদ সম্পর্কিত মূল্যনির্ধারণ ও অক্ষমতা অধিকার সহ সার্ভেয়ারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যেহেতু এগুলি অস্পষ্ট ও অমূর্ত্যু সম্পদ সম্পর্কে মূল্য মূল্যায়ন করার কিছু বিশেষ নির্দেশনা সাপেক্ষে থাকতে পারে।

স্থায়ী সম্পদ কি কি?

স্থায়ী সম্পদ হলো সেসব সম্পদ বা সম্পত্তি যা অস্থায়ী নয়, অর্থাৎ দৈর্ঘ্যকালিকভাবে সংরক্ষিত থাকে এবং আপনার আস্তির মূল্য তার মূল্য সম্পর্কে স্থির থাকে। স্থায়ী সম্পদের উদাহরণ নিম্নলিখিত হতে পারে:

1. ভবন ও জমি: যেমন, আপনার বাড়ি, অফিস ভবন, আগ্রহের জন্য কিনা বা ভাড়া দেওয়া জমি।

2. আবাসিক মালিকানা: আপনার মালিকানা সম্পদ যেমন গাড়ি, বাইক, জুয়েলারি, ইলেক্ট্রনিক্স উপকরণ, আবরণ, ইত্যাদি।

3. নিয়োগপত্র: যেমন, আপনার পেশাদান ক্যারিয়ারের নিয়োগপত্র এবং পেশাদান লাইসেন্স স্থায়ী সম্পদ হতে পারে।

4. শেয়ার মার্কেট নিউট্রাল মূলধন: আপনার স্টক বা শেয়ার মার্কেটে নিন এবং থাকার জন্য স্থায়ী নিবেদন ব্যবস্থা স্থায়ী সম্পদ হতে পারে।

5. ব্যবসায়িক সম্পদ: আপনার ব্যবসায়ের সম্পদ, যেমন প্রতিষ্ঠান, উপকরণ, স্টক, ইত্যাদি স্থায়ী সম্পদ হতে পারে।

স্থায়ী সম্পদ অধিকাংশই সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কে স্থির হতে থাকে এবং সম্পদ মূল্যের পরিবর্তন স্থির নয়। এই সম্পত্তি সাধারণভাবে নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং অধিকাংশ লোকের দৈনন্দিন জীবনের আস্তি গণনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে।

বিলম্বিত বিজ্ঞাপন কি ধরনের সম্পদ?

বিলম্বিত বিজ্ঞাপন হলো এমন বিজ্ঞাপন যা নির্দিষ্ট সময়ের পরে বা আগামী কোন সময়ে প্রকাশ করা হয়। এই ধরনের বিজ্ঞাপন সাধারণভাবে উপার্জননের উদ্দেশ্যে তৈরি হয় এবং স্বাধীন জনগণের মধ্যে চর্চা ও আগ্রহ তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় সময়ে প্রকাশিত হয়।

বিলম্বিত বিজ্ঞাপনের একটি উদাহরণ হলো বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রদর্শনী, যার টিকিট পরবর্তী মাসে বিক্রিত হবে। মানুষের চাহিদা ও উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যে এই বিজ্ঞাপনটি প্রদর্শনীর আগামী সময়ের জন্য চর্চা ও আগ্রহ তৈরি করে। এই ধরনের বিজ্ঞাপন স্থিতিশীল বা আগামী ঘটনার সময়ে প্রকাশ করা হয়, যেমন পূজা পর্বের জন্য পণ্য বা সেবা প্রদান, বন্ধুদের সংগঠনের কোন সম্মেলন বা সামাজিক ঘটনা, এসবের জন্য এই ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হতে পারে।

এই ধরনের বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য প্রদর্শনী বা ঘটনার সময়ে জনগণের আগ্রহ জাগিয়ে তোলা এবং তাদের সময় ও স্থান নির্ধারণ করে উপার্জনন বা অতিরিক্ত পরিচিতি অর্জন করা।

পালক সন্তান কি সম্পদের অধিকারী?
পালক সন্তান সম্পদের অধিকারী হলে সাধারণভাবে তাদের মৃত্যুর পরে তাদের সম্পদ ও সম্পদের সম্পর্কিত অধিকার হয়। এটি সাম্প্রদায়িক ও আইনগত নিয়মানুসারে পরিভাষিত থাকতে পারে এবং দেশের বা এলাকার সম্পর্কিত আইনের আওতায় আপেক্ষিক হতে পারে।

পালক সন্তানের সম্পদ সাধারণভাবে তাদের মৃত্যুর পরে তাদের ইস্তিফা বা উপস্থাপন না করতে পারে এবং তাদের সম্পদ তাদের উত্তরাধিকারী সন্তানদের প্রয়োজনে সেসব কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, যেগুলি মুল পালকের সাথে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে বা আইন দ্বারা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

প্রতিটি দেশের আইনে পালক সন্তানের সম্পদের অধিকার এবং নির্ধারণ উপায় বিভিন্ন হতে পারে, এবং এটি আপনার বৃত্তান্তিক স্থানান্তর ও সংশ্লিষ্ট আইনের আওতা অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারে। তাই, পালক সন্তানের সম্পদের অধিকার সম্পর্কে নির্দিষ্ট জানতে আপনার বৃত্তান্তিক আইনগত পরিস্থিতিগুলি এবং আপনার দেশের আইনের সাথে পরিচিত হতে হবে।

শক্তি সম্পদ কি?

"শক্তি সম্পদ" বা "শক্তি সম্পদ পর্যাপ্তি" হলো একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সাধারণভাবে শক্তিশালী হওয়া এবং তাদের উৎপাদন, প্রদান, এবং আর্থিক কার্যক্রমে সফলতা অর্জন করা। এই প্রতিষ্ঠানগুলি সাধারণভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানোর মাধ্যমে উদ্ভাবনী শক্তি, উৎপাদন এবং নগদ প্রবর্দ্ধনের লক্ষ্যে কাজ করে।

শক্তি সম্পদ পর্যাপ্তি সাধারণভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয় এবং এটির সাথে কোনও আর্থিক নিরীক্ষণ সহযোগিতা করতে হতে পারে। এটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাস্থ্য এবং দায়িত্বের মান সূচনা করতে সাহায্য করে এবং আর্থিক নিরীক্ষণের সাথে তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি সাম্প্রতিক মূল্যায়ন প্রদান করতে সাহায্য করে।

এটি সাধারণভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক দায়িত্বের অধীনে একটি শক্তি পর্যাপ্তি সাংস্কৃতিক ও আর্থিক স্তরের স্থায়ীতা এবং সুস্থ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সাধনে সাহায্য করে।

প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় আমরা কি কি করতে পারি?

প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে আমরা সম্ভাবত নিম্নলিখিত কিছু কার্যক্রম নেতে পারি:

1. জৈব বৈচিত্র রক্ষা: প্রাকৃতিক সম্পদের বৈচিত্র রক্ষা করতে আমরা বন্য জীবন্তুদের সুরক্ষা করতে পারি, উদাহরণস্বরূপ বন্য প্রাণী, প্রাকৃতিক বন্য ফুল, গাছ, এবং বৈচিত্রশীল প্রাকৃতিক স্থানস্থানে বাঁচানোর জন্য অবদান রাখতে পারি।

2. বন সংরক্ষণ: বন সংরক্ষণের জন্য আমরা অতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারি, যেমন অবন্য অগ্নিবাণ, বন সংরক্ষণ করতে সাহায্য করতে পারি, বন্য জীবন্তুদের বাঁচানোর জন্য সহায়ক কাজ করতে পারি।

3. জল সংরক্ষণ: জলের সঠিক ব্যবহার এবং জলের সংরক্ষণ করতে পারি, যাতে নদী, সমুদ্র, জলপ্রাণী ও জলমানবের জীবন স্থায়ী রাখা যায়।

4. বায়ু সংরক্ষণ: বায়ু নোংরা ও স্বাস্থ্যবান রাখতে পারি এবং জনগণের সচেতনতা বাড়াতে পারি বায়ু দূষণ এবং বায়ু স্বাস্থ্যের উপর।

5. জৈব সার্কুলেশন: জৈব সার্কুলেশন বৃদ্ধি করতে পারি, এটির মাধ্যমে আমরা মৃত জীবন্তুদের পর্যাপ্ত সময় বিচারণা করতে পারি, জৈব বৈচিত্রের সৃজনশীলতা বাড়াতে পারি এবং পৃথিবীর জীবজন্য প্রয়োজনীয় সেবা সরবরাহ করতে পারি।

6. প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিক ব্যবসায়: প্লাস্টিক ব্যবসায়ে সতর্ক হওয়া এবং প্লাস্টিক ব্যবসায়ে কম ব্যবহার করতে পারি যেগুলি প্রাকৃতিক সম্পদের অধিক ক্ষতি করতে পারে।

7. শিক্ষা এবং সচেতনতা: প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার জন্য জনগণের সচেতনতা বাড়াতে এবং তাদের প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি।

এই সমস্যা গুলির সাথে মিলে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে পারি এবং পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীবনধারাকে সংরক্ষণ করতে সাহায্য করতে পারি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url