এইচ.এস.সি.বাংলা ১ম পত্র (গদ্যাংশ) সাজেশন ১০০% কমন || HSC Bangla 1st Paper (Godangsho) Suggestion 100% Common
অপরিচিতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জ্ঞানমূলক ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন- ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ শে বৈশাখ।
২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন— কলকাতার ঠাকুর পরিবারে।
৩. 'গল্পগুচ্ছে' সংকলিত ছোটোগল্পের সংখ্যা- ৯৫।
৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত সর্বশেষ গল্পটির নাম— 'মুসলমানীর গল্প'।
৫. রবীন্দ্র ছোটোগল্পের স্বর্ণযুগ - কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কালপর্ব।
৬. 'রাজা', 'অচলায়তন', 'রক্তকরবী' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত— নাটক।
৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাবসান ঘটে— ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শে শ্রাবণ।
৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন— জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে।
৯. "অপরিচিতা" গল্পের নায়কের বয়স -সাতাশ বছর।
১০. অনুপমের মতে, বিশেষ মূল্য আছে— তার জীবনের।
১১. সংসারে অনভিজ্ঞ ও অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত— অনুপম।
১২. অনুপমের মা ছিলেন— গরিব ঘরের মেয়ে।
১৩. অনুপমের সংসারে প্রধান গর্বের সামগ্রী তার -মামা।
১৪. হরিশ কাজ করে -কানপুরে।
১৫. আসর জমাতে অদ্বিতীয় – হরিশ।
১৬. ‘ অপরিচিতা ' গল্পে উল্লিখিত দ্বীপের নাম- আন্দামান।
১৭. বিয়ের সময় অনুপমের বয়স ছিল – ২৩ বছর।
১৮. ' অপরিচিতা ' গল্পে ব্যক্তিত্ববোধে উৎকৃষ্ট উদাহরণ – শম্ভুনাথ চরিত্রটি।
১৯. কল্যাণী ব্রত গ্রহণ করেছে— নারীশিক্ষার।
২০. ট্রেনে দেখা হওয়ার সময় কল্যাণীর বয়স ছিল— ষোলো - সতেরো।
২১. দেখতে সুন্দর অথচ খাওয়ার অনুপযোগী ফল— মাকাল।
২২. ভারতের গয়া অঞ্চলের অন্তঃসলিলা নদী — ফল্লু।
২৩. মদনদেবের ব্যবহার্য পাঁচ ধরনের বাণ— পঞ্চশর।
২৪. শানাই , ঢোল ও কাঁসি এই তিন বাদ্যযন্ত্রে সৃষ্ট ঐকতানবাদন – রসনচৌকি।
২৫. 'অভ্র' হলো- এক ধরনের খনিজ ধাতু।
২৬. ' প্রদোষ ' শব্দের অর্থ- সন্ধ্যা।
২৭. রেলগাড়ির কত দেখাতে ব্যবহৃত হয় – একচক্ষু লণ্ঠন।
২৮. গানের যে অংশ দোহাররা বারবার পরিবেশন করে— ধুয়া।
২৯. 'অপরিচিতা' গল্পের লেখক— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ৩০. 'অপরিচিতা ' গল্পটি প্রথম গ্রন্থভুক্ত হয়— 'গল্পসপ্তক' - এ।
৩১. 'অপরিচিতা' গল্পের কথকের নাম- অনুপম।
৩২. ' অপরিচিতা ' গল্পে বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী নারী কল্যাণী।
৩৩. ' অপরিচিতা ' গল্পের ব্যক্তিত্বহীন চরিত্র- অনুপম।
৩৪. মনস্তাপে ভেঙে পড়া এক ব্যক্তিত্বহীন যুবকের গল্প— ' অপরিচিতা '।
৩৫. দেশ চেতনায় ঋদ্ধ ব্যক্তিত্বের জাগরণ দেখা যায়- কল্যাণীর মাঝে।
৩৬. শম্ভুনাথ সেনের প্রতিবাদী ভূমিকা দেখা যায়- কন্যার সম্মান রক্ষার্থে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. ‘অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি’ উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
২. অনুপমের বিবাহযাত্রা বর্ণনা করো।
৩. অনুপমের মামার মন কীভাবে নরম হলো?
৪. অনুপমের মামা সেকরাকে বিয়ে বাড়িতে এনেছিলো কেন?
৫. ‘আমার ভাগ্যের প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চসরের কোনো বিরোধ নাই’ -উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
৬. ‘কিন্তু ভাগ্য আমার ভালো, এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি ’-বক্তার এমন অনুভূতির কারণ বুঝিয়ে লেখ।
৭. ‘ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই’- উক্তিটি কোন প্রসঙ্গে করা হয়েছে?
৮. ‘কন্যার পিতা মাত্রেই স্বীকার করবেন আমি সৎপাত্র’- কেন?
৯. ‘ভালো মানুষ হওয়ার কোনো ঝঞ্ঝাট নাই’- ব্যাখ্যা করো।
১০. কল্যাণীর মাতৃ-আজ্ঞার ধরন ব্যাখ্যা করো।
১১. ‘ঠাট্টা তো আপনিই করিয়া সারিয়াছেন’- বুঝিয়ে দাও।
১২. ‘আমি তো চমকিয়া উঠিলাম’- কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
১৩. ‘প্রমাণ হইয়া গেল আমি কেহই নই’ ব্যাখ্যা করো।
১৪. ‘বাবাজি একবার এইদিক আসতে হচ্ছে’ কেন বলা হয়েছে?
১৫. শম্ভুনাথ বাবু অনুপমের সাথে মেয়ের বিয়ে দিলেন না কেন?
সৃজনশীল প্রশ্ন:
১. কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন, মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গিয়াছে। কিন্তু আর কিছু দিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে । মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গিয়াছে বটে, কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চিৎ উপরে আছে, সেইজন্য তাড়া ।
ক. অনুপমের পিসতুতো ভাইয়ের নাম কী?
খ. ‘অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোট ভাইটি’_ উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের বরের বাপের সাথে ‘অপরিচিতা” গল্পের অনুপমের মামার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করো।
ঘ. “উদ্দীপকের ঘটনাচিত্রে ‘অপরিচিতা’ গল্পের খণ্ডাংশ প্রতিফলিত হয়েছে” উত্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার পাঠ শেষ করতে করতেই আমার বোনের অনেক বয়স হয়ে যায়। তিন তিনবার তার বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে যাবার পর কেমন যেন হতাশ হয়ে পড়ি। একদিন তাকে ডেকে বলি, ‘সানজিদা, কাল বাসায় একটি নতুন বরপক্ষ তোকে দেখতে আসবে।” শুনে ওর চেহারা কঠিন হয়ে ওঠে, বলে, “তুই শুধু শুধু ব্যস্ত হচ্ছিস তপন। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আমার যা কাজ তা জীবনভর শেষ হবার নয়।’
ক. কাকে ‘মাকাল ফল’ বলে বিদ্রুপ করা হয়েছে?
খ. অনুপমের বিবাহ যাত্রার বর্ণনা দাও।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্যগুলো আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘অপরিচিতা’ গল্পের মূল বক্তব্য কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে? যৌক্তিক বিশ্লেষণ করো।
৩. এক বছর হলো বাজিতপুর নিবাসী কেরামত আলীর ছোট মেয়ে বিজলীর সাথে মনোহরপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার একমাত্র ছেলে হাশিমের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই হাশিমের পরিবার বিজলীর উপর অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করেছে। বিজালীর অপরাধ- বিয়ের সময় তার বাবা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যৌতুকের সমস্ত টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। তাই বিজলীকে নীরবে সহ্য করতে হচ্ছে এ নির্যাতন।
ক. ‘কন্সর্ট” শব্দের অর্থ কী?
খ. অনুপমের মামার মন কীভাবে নরম হলো?
গ. উদ্দীপকের বিজলীর সাথে “অপরিচিতা” গল্পের কল্যাণীর চরিত্রের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ. যদি অনুপমের সাথে কল্যাণীর বিয়ে হতো, তার পরিণতিও উদ্দীপকের বিজলীর মতো হতো? তোমার মতামত দাও।
৪. কারো ঘর ভাঙে ঝড়ে
কারো সংসার পুড়ে যায় যৌতুকের আগুনে ।
কেউ করে হায় হায়, বাপ-মা কাঁদে
মেয়েকে বিয়ে দিতে হয়-পড়ে যৌতুকের ফাঁদে ।
করবে না বিয়ে সোনালি নিজেকে করে পণ্য
এটা তার পণ সোনালি জীবনের জন্য।
ক. ‘অপরিচিতা” গল্পে কন্যাকে কী দিয়ে আশীর্বাদ করা হয়েছিল?
খ. “কিন্তু ভাগ্য আমার ভালো, এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি’ – বক্তার এমন অনুভুতির কারণ বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের ‘সোনালি’ ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন চরিত্রকে ইঙ্গিত করে? বর্ণনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে নিহিত সামাজিক.কাঠামো এবং “অপরিচিতা” গল্পের সামাজিক পটভূমি সাদৃশ্যযুক্ত” – যুক্তিসহ বর্ণনা করো।
৫. অপূর্ব রংপুর বাস স্টপেজে দীড়িয়ে দেখতে পেলেন একটি স্কুল বাসে একজন শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের ছড়া-গান শেখাতে শেখাতে নিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষিকাকে তার চেনা চেনা মনে হলো। তার সঙ্গেই কি অপূর্বের বিয়ে হবার কথা ছিল? অপূর্বের কৌতুহল আর কোলাহলের মধ্যেই বাসটি চলে গেল। শিক্ষিকাকে দেখে মনে হলো স্বাধীনচেতা ও ব্যক্তিত্বময়ী। ডাক্তার অপূর্বের মনে পড়ল সেই বিখ্যাত গানের কলি: আমার বলার কিছু ছিল না, ………. ।
ক. “অপরিচিতা’ গল্পে কাকে গজাননের ছোট ভাই বলা হয়েছে?
খ. “ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই” – উক্তিটি কোন প্রসঙ্গে করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
গ. ডাক্তার অপূর্ব এবং “অপিরিচিতা’ গল্পের অনুপম যেদিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের শিক্ষিকার মধ্যে “অপরিচিতা” গল্পের কল্যাণীর চারিত্রিক প্রবণতাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে তুমি মনে করো কি? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।
৬. কন্যার পিতা রামসুন্দর আমাদের রায় বাহাদুরের হাতে পায়ে ধরিয়া বলিলেন, “শুভ কার্য সম্পন্ন হইয়া যাক, আমি নিশ্চয়ই টাকাটা শোধ করিয়া দিব।” রায় বাহাদুর বললেন, “টাকা হাতে না পাইলে বর সভাস্থ করা যাইবে না।” এই দুর্ঘটনায় অন্তঃপুরে একটা কান্না পড়িয়া ইতোমধ্যে একটি সুবিধা হইল। বর সহসা তার পিতৃদেবের অবাধ্য হইয়া উঠিল। সে বাবাকে বলিয়া বসিল, “কেনাবেচা দরদামের কথা আমি বুঝি না; বিবাহ করিতে আসিয়াছি, বিবাহ করিয়া যাইব।
ক. বিয়ের সময় অনুপমের বয়স কত ছিল?
খ. ‘অন্নপূর্ণার কোলে গজাননের ছোটো ভাইটি।” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের বরের সাথে ‘অপরিচিতা” গল্পের অনুপমের বৈসাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ. “উদ্দীপকের ঘটনাটি ‘অপরিচিতা’ গল্পে বর্ণিত সামাজিক অসংগতির দিকটি তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।”- মন্তব্যটি
বিশ্লেষণ করো।
বিলাসী: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
জ্ঞানমূলক ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন— ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে।
২. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সন্ন্যাসী হয়ে গৃহত্যাগ করেন— ২৪ বছর বয়সে।৩. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জমিদারের বন্ধু হন- সংগীতজ্ঞ হিসেবে খ্যাতির সূত্রে।
৪. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জীবিকার তাগিদে যান— বর্মা মুল্লুকে।
৫. বর্মার বর্তমান নাম- মিয়ানমার।
৬. শরৎচন্দ্রের উপন্যাসে অপূর্ব মহিমায় চিত্রিত হয়েছে— সমাজের নীচু তলার মানুষের জীবন।
৭. শরৎচন্দ্রের শিল্পীমানসের মৌল বৈশিষ্ট্য— মানবতা ও মানবপ্রেম।
৮ . শরৎচন্দ্রের প্রথম মুদ্রিত রচনা— কুন্তলীন পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘ মন্দির ’ নামক গল্প।
৯. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট ডিগ্রি পান— ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে।
১০. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন— ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ই জানুয়ারি কলকাতায়।
১১. বিদ্যা অর্জন করতে ছেলেদের যাতায়াত করতে হয়— চার ক্লোশ পথ।
১২. মৃত্যুঞ্জয় পড়ত— থার্ড ক্লাসে।
১৩. মৃত্যুঞ্জয়ের জীবিকা নির্বাহের উপায় ছিল— কুড়ি - পঁচিশ বিঘার আম কাঁঠালের বাগান।
১৪. মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়া আম - কাঁঠালের বাগানের দখল পেয়েছিলেন- উপরের আদালতের নির্দেশে।
১৫. মৃত্যুঞ্জয়কে সেবা করে যমের মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে সাপুড়ের কন্যা বিলাসী।
১৬. মৃত্যুঞ্জয় অসুস্থ অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে ছিল— দশ - পনেরো দিন।
১৭. 'মৃত্যুঞ্জয় অন্নপাপ' করেছিল– নিম্ন বর্ণের বিলাসীর হাতে ভাত খেয়ে।
১৮. স্বর্গীয় মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের বিধবা পুত্রবধূ মনের বৈরাগ্যে চলে যান— কাশী।
১৯. ন্যাড়া সন্ন্যাসগিরিতে ইস্তফা দিল— মশার কামড় সহ্য করতে না পেরে।
২০. কায়স্থের ছেলে মৃত্যুঞ্জয় জাত বিসর্জন দিয়ে হলো– সাপুড়ে।
২১. সাপুড়েদের সবচেয়ে লাভের ব্যবসা- শিকড় বিক্রি।
২২. গোয়ালার বাড়িতে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হলো– খরিশ গোখরার দংশনে।
২৩. বিলাসী বিষপানে আত্মহত্যা করে– মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর সাত দিন পর।
২৪. হিন্দু পুরাণ অনুসারে বিদ্যা ও কলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী— বীণাপাণি বা সরস্বতী।
২৫. ' কামচাটুকা ' হলো— রাশিয়ার অন্তর্গত সাইবেরিয়ার উত্তর - পূর্বে অবস্থিত উপদ্বীপ।
২৬. বিখ্যাত সমুদ্র বন্দর এডেন— লবণ তৈরির জন্য প্রসিদ্ধ।
২৭. মোগল সম্রাট আকবরের পিতা- হুমায়ুন।
২৮. থার্ড ক্লাস হলো -বর্তমানের অষ্টম শ্রেণি।
২৯. 'সত্য' যুগ হলো হিন্দু পুরাণে বর্ণিত চার যুগের প্রথম যুগ।
৩০. ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত বিখ্যাত ও সুপ্রাচীন তীর্থক্ষেত্র— কাশী।
৩১. 'ধুচুনি' হলো— চাল ইত্যাদি ধোয়ার জন্য বহু ছিদ্রবিশিষ্ট বাঁশের ঝুড়ি।
৩২. হিন্দু ধর্মমতে , মনসা হলেন- সাপের দেবী।
৩৩. কামাখ্যা- ভারতের আসাম রাজ্যে অবস্থিত প্রাচীন তীর্থস্থান।
৩৪. বিষকন্ঠ শিব বা মহেশ্বরের অন্য নাম- মৃত্যুঞ্জয়।
৩৫. 'বাঙালির বিষ' বলতে বোঝানো হয়েছে— বাঙালির ক্রোধ, বিদ্বেষের ক্ষণস্থায়িত্বকে।
৩৬. মৃতের আত্মার সদগতি কামনার উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণকে যে ভোজ্য উৎসর্গ করা হয় তাকে বলে— ভুজ্যি উচ্ছৃগ্য।
৩৭. ভূদেবচন্দ্র মুখোপাধ্যায় হলেন- উনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ।
৩৮. Mammoth শব্দের অর্থ— মহাগজ বা অতিকায় হস্তী।
৩৯. "বিলাসী" গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়— 'ভারতী' পত্রিকায় ১৯১৮ সালে।
৪০. ' বিলাসী ' গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়— 'ভারতী' পত্রিকার বৈশাখ সংখ্যায়।
৪১. ' বিলাসী ' গল্পটি বিবৃত হয়েছে— ' ন্যাড়া ' নামের এক যুবকের জবানিতে।
৪২. ' বিলাসী ' গল্পে ছায়াপাত ঘটেছে- শরৎচন্দ্রের প্রথম জীবনের।
৪৩. ' বিলাসী ' গল্পে দুই ব্যতিক্রমধর্মী মানব - মানবীর প্রেমের মহিমা ছাপিয়ে গেছে— জাতিগত বিভেদের সংকীর্ণ সীমা।
৪৪. ' বিলাসী ' গল্পে লেখকের অবস্থান- উত্তম পুরুষে।
৪৫. বিলাসী স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছে -প্রেমের কারণে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. ‘ইহা আর একটি শক্তি’— বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
২. “ভয় পাই বাড়ার সময় পাইলাম না”- উক্তিটির প্রেক্ষাপট বর্ণনা কর।
৩. তাহার বয়স আঠারো কি আঠাশ ঠাহর করিতে পারিলাম না’ কেন? বুঝিয়ে বল।
৪. বাঙালির মন্ত্রতন্ত্রের সাথে সাপের বিষের তুলনা প্রসঙ্গে ন্যাড়ার উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
৫. মৃত্যুঞ্জয়ের ‘জাতবিসর্জনের’ কারণ বর্ণনা কর।
৬. কোন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে খুঢ়া মৃত্যুঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে? ব্যাখ্যা কর।
৭. মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি খুড়োর বৈরী মনোভাবের কারণ কী?
৮. ‘গ্রামের মধ্যে মৃত্যুঞ্জয়ের ছিল এমনি সুনাম।’ বিষয়টি ব্যাখ্যা কর।
৯. ‘বদন দগ্ধ না হয়’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
১০. ‘বাঙালির বিষ’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
সৃজনশীল প্রশ্ন:
১. গৌরাঙ্গ রায় উদার মানবিকতায় বিশ্বাসী হলেও সমাজের প্রচলিত সংস্কারকে উপেক্ষা করার মতো চারিত্রিক দৃঢ়তা তার ছিল না। কিছুদিন পূর্বে তার গ্রামের গোঁড়া হিন্দুরা এক কিশোরী মেয়েকে মৃতপ্রায় কুলীন বরের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয়। গৌরাঙ্গ রায় কাজটিকে মন থেকে সমর্থন না করলেও সেদিন তিনি গোঁড়াদের সঙ্গেই ছিলেন।
ক. সাপুড়েদের সবচেয়ে লাভের ব্যবসায় কোনটি?
খ. ‘গ্রামের মধ্যে মৃত্যুঞ্জয়ের ছিল এমনি সুনাম’ বুঝিয়ে লিখো।
গ. উদ্দীপকের গৌরাঙ্গের সঙ্গে ‘বিলাসী’ গল্পের ন্যাড়ার কীভাবে সাদৃশ্য রয়েছে? আলোচনা করো।
ঘ. “ধর্মীয় গোঁড়ামি মানুষের সহজাত বিকাশের অন্তরায়।” উদ্দীপক ও ‘বিলাসী’ গল্পের আলোকে মন্তব্যটি বিচার করো।
২. আমাদের দেশে সনাতন সমাজে বর্ণপ্রথা কঠোরভাবে বিদ্যমান রয়েছে। বিশেষ করে ছোঁয়াছুঁয়ির সমস্যাটা বেশ প্রকট। এই জাতপাতের সমস্যার কারণে বহু ছেলেমেয়ের জীবন অকালে ঝরে যায়। রক্ষণশীল সমাজ উঁচু ও নিচুকুলের বিবাহ সহজে মেনে নিতে পাওে না। তারা নানা উপায়ে বিবাহের পাত্র-পাত্রীকে গ্রামছাড়া করতেও দ্বিধা কওে না।
ক. মৃত্যুঞ্জয়ের বাগানটি কত বিঘার ছিল?
খ. ‘চার ক্রোশ মানে আট মাইল নয়, ঢের বেশি।’ উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের কোন বিষয়টি ‘বিলাসী’ গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটিতে ‘বিলাসী’ গল্পের সমাজ-বাস্তবতার আংশিক প্রতিফলন ঘটেছে।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
৩. উজ্জয়িনীর রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজসভার প্রখ্যাত জ্যোতিবিদ বরাহপুত্র মিহিরের স্ত্রী খনা। একদিন পিতা বরাহ এবং পুত্র মিহির আকাশের তারা গণনা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে খনা এ সমস্যার সমাধান দেন। রাজা বিক্রমাদিত্য তার গুণে মুগ্ধ হন। গণনা করে খনার দেওয়া পূর্বাভাসে রাজ্যের কৃষকরা উপকৃত হতেন বলে রাজা বিক্রমাদিত্য খনাকে দশম রত্ব হিসেবে আখ্যা দেন। কিন্তু খনার এই খ্যাতি ও সম্মান অল্প কাছে নিচু হওয়ার লজ্জায় প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বরাহের আদেশে মিহির খনার জিহ্বা কেটে দেন। এর কিছুকাল পরে খনার মৃত্যু হয়।
ক. খুড়া কোন বংশের?
খ. “ইহা আর একটি শক্তি’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. বিলাসী চরিত্রের কোন দিকটি খনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ তা বর্ণনা কর।
ঘ. ‘মৃত্যুগ্রয় ও মিহির পরস্পর বিপরীত চরিত্রের মানুষ ।’_ মন্তব্যটি যাচাই কর।
৪. সৌদামিনী মালো স্বামীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে ধানী জমি, বসতবাড়ি, পুকুরসহ কয়েক একর সম্পত্তির মালিক হয়। এই সম্পত্তির ওপর নজর পড়ে সৌদামিনীর জ্ঞাতি দেওর মনোরঞ্জনের। সৌদামিনীর সম্পত্তি দখলের জন্য সে নানা কৌশল অবলম্বন করে। একবার সৌদামিনী দুর্ভিক্ষের সময় ধান ক্ষেত্রের পাশে একটি মানবশিশু খুঁজে পায়। অসহায়, অসুস্থ শিশুটিকে সে তুলে এনে পরম যত্নে আপন সন্তানের মতো লালন পালন করে। মনোরঞ্জন সৌদামিনীকে সমাজচ্যুত করতে প্রচার করে যে, নমশূদ্রের ঘরে ব্রাহ্মণ সন্তান পালিত হচ্ছে। এ যে মহাপাপ, হিন্দু সমাজের জাত ধর্ম শেষ হয়ে গেল।
ক. ‘বিলাসী’ গল্পের বর্ণনাকারী কে?
খ. মৃত্যুঞ্জয়ের ‘জাতবিসর্জনের’ কারণ বর্ণনা কর।
গ. সৌদামিনী চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্যটি বিলাসীর চরিত্রের সঙ্গে মিলে যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘মনোরঞ্জন যেন বিলাসী গল্পের খুড়ারই প্রতিচ্ছবি’- বিষয়টি মূল্যায়ন কর।
৫. সুধীর রায় কুলীন বংশের লোক। তার বাগান বাড়িতে কেশব নামের এক মালি কাজ করে। নিচু বংশের বলে তিনি মালিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের চোখে দেখেন। একদিন তিনি বাগান বাড়িতে তার বসার চেয়ারে মালিকে বসতে দেখে রাগান্বিত হন। তিনি তৎক্ষনাৎ চেয়ারটি ভেঙে ফেলেন এবং তার রক্ষীকে দিয়ে বেদম প্রহার করান। এর কিছুদিন পর এ বাগান বাড়িতে তিনি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কোনো যানবাহন পাওয়া গেল না। এ অবস্থায় কেশব অস্থির হয়ে পড়ে। সে সময়ক্ষেপণ না করে সুধীর রায়ের অজ্ঞান দেহটাকে নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে প্রাণপণে ছুটতে থাকে। দীর্ঘ পথ পার হয়ে অবশেষে চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছায়। চিকিৎসা-সেবা পেয়ে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ক. বিলাসীর পারিবারিক পদবী কী?
খ. কোন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে খুঢ়া মৃত্যুঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে? ব্যাখ্যা কর।
গ. সুধীর রায়ের আচরণে সমাজের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ‘বিলাসী’ গল্প অবলম্বনে উত্তর দাও।
ঘ. কেশবের চারিত্রিক গুনাবলির আলোকে ‘বিলাসী’ গল্পে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নীচতলার মানুষগুলোকে যে মানব-মহিমি দিয়ে চিত্রিত করেছেন তা প্রমাণ কর।
৬. অনির্বাণ ব্রাহ্মণের ছেলে। কিন্তু বিলেতফেরত উচ্চশিক্ষিত অনির্বাণ ধর্মীয় অনেক কিছুই মানে না। বিশেষ করে বর্ণভেদ প্রথা তার কাছে মানবতাবিরোধী বলে মনে হয়। সে বাগানের মসনা মালির অপূর্ব সুন্দরী, শিক্ষিতা মেয়ে নির্মলাকে বিয়ে করে, নিজে পছন্দ করে। নিম্নবর্ণ বলে পরিবারের কেউ এ বিয়ে মেনে নিল না। পিতা জয়ন্ত বাবু অনির্বাণকে তার সমস্ত কিছু থেকে বঞ্চিত করলেন। সমাজের সংস্কারবাদী হিন্দুরা তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে একঘরে করল। অনির্বাণ নির্মলাদের সবাইকে নিয়ে শহরে চলে গেল।
ক. কামাখ্যা কী?
খ. মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি খুড়োর বৈরী মনোভাবের কারণ কী?
গ. উদ্দীপকের অনির্বাণ ও নির্মলার বিয়ে প্রসঙ্গে গ্রামবাসীর ক্ষোভ ‘বিলাসী’ গল্পের কোন অংশের সাথে মিল পাওয়া যায়।- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও নির্মলা ও বিলাসী দুজনই হিন্দু সমাজের অনুদারতা ও বর্ণপ্রথার শিকার। মূল্যায়ণ কর।
আমার পথ: কাজী নজরুল ইসলাম
জ্ঞানমূলক ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন— চুরুলিয়া গ্রামে।
২. কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম— ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪মে।৩. কাজী নজরুল ইসলাম পরিচিত— 'বিদ্রোহী কবি' হিসেবে।
৪. কাজী নজরুল ইসলামকে 'বিদ্রোহী' বলার কারণ— অন্যায় ও শোষণের প্রতিবাদ।
৫. কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালি পল্টনে যোগদান করেন— ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে।
৬. কাজী নজরুল ইসলাম বাক্শক্তি হারান – ৪৩ বছর বয়সে।
৭. কাজী নজরুল ইসলামকে এদেশে বরণ করে নেওয়া হয়— স্বাধীনতার পরে।
৮. কাজী নজরুল ইসলামকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ করা হয়েছে— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় মসজিদের পাশে।
৯. কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস— 'বাঁধনহারা , ‘মৃত্যু - ক্ষুধা', 'কুহেলিকা'।
১০. কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন— ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট।
১১. প্রাবন্ধিক বিপথ বলেছেন— সত্যবিরোধী পথকে।
১২. প্রাবন্ধিকের বিশ্বাস তাঁকে বিপথগামী করতে পারবে না— রাজভয় - লোকভয়।
১৩. প্রাবন্ধিকের মতে, নিজেকে নিজের কর্ণধার মনে করা- দম্ভ বা অহংকার নয়।
১৪. আত্মসত্যকে অস্বীকার করার ফলে মানুষ ক্রমেই— ছোটো হয়ে যায়।
১৫. প্রাবন্ধিকের মতে , বিনয়ের চেয়ে ভালো— অহংকারের পৌরুষ।
১৬. মানুষ আপন সত্য ছাড়া অন্যকে কুর্নিশ করে না— নিজেকে চিনলে।
১৭. মহাত্মা গান্ধী মানুষকে শিখিয়েছিলেন— স্বাবলম্বী হতে।
১৮. সবচেয়ে বড়ো দাসত্ব হলো— পরাবলম্বন।
১৯. সত্যবিরোধী পথ মানুষকে - বিপথগামী করে।
২০. নিজেকে চিনলে মানুষের মনে আপনা-আপনি- একটা জোর আসে।
২১. আত্মাকে চেনার মাধ্যমে আসে— আত্মনির্ভরতা।
২২. ভুলের মধ্য দিয়েই পাওয়া যায়— সত্যকে।
২৩. 'আমার পথ' প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বড়ো বলেছেন— মানবধর্মকে।
২৪. এ রচনায় প্রাবন্ধিকের অন্যতম উদ্দেশ্য – হিন্দু- মুসলমানের মিলন।
২৫. নেতৃত্ব প্রদানের সামর্থ্য আছে এমন ব্যক্তি— কর্ণধার।
২৬. কুর্নিশ ' শব্দের অর্থ— অভিবাদন জানানো।
২৭. সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টায় প্রাবন্ধিক নিজেই বসেছেন— সারথির আসনে।
২৮. 'মেকি' শব্দের অর্থ— মিথ্যা বা কপট।
২৯. 'আগুনের ঝান্ডা' বলতে বোঝায়— অগ্নিপতাকা।
৩০. লেখক অগ্নিপতাকা উড়াতে চান— সমাজ থেকে ভণ্ডামি ও কপটতা দূর করতে।
৩১. দেশের শত্রু, যা কিছু মিথ্যা, মেকি প্রভৃতি দূর করতে প্রয়োজন— আগুনের সম্মার্জনা।
৩২. 'সম্মার্জনা' শব্দের অর্থ— ঘষে - মেজে পরিষ্কার করা।
৩৩. 'আমার পথ' প্রবন্ধটির রচয়িতা— কাজী নজরুল ইসলাম।
৩৪. ' আমার পথ ' সংকলিত হয়েছে— ' রুদ্র - মঙ্গল ' থেকে।
৩৫ . লেখক এমন এক আমি'র আহ্বান করেছেন , যার পথ— সত্যের পথ।
৩৬. সামাজিক বাধার কথা জেনেও লেখক প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন— নিজের বিশ্বাসকে।
৩৭. অতি বিনয় প্রকাশে স্পষ্ট হয়ে ওঠে— আত্ম - অবমাননা।
৩৮. নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রকাশ করতে না জানলে তৈরি হয়— পরনির্ভরতা।
৩৯. কবি নজরুলের সত্য অবিনয়কে মানলেও সহ্য করে না— অন্যায়কে।
৪০. নজরুল ভুল করতে রাজি আছেন, কিন্তু প্রস্তুত নন– ভণ্ডামি করতে।
৪১. উৎকৃষ্ট মানবসমাজ গড়ে তোলা সম্ভব — সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে।
৪২. ভুলের মধ্য দিয়ে সত্যকে পাওয়া যায়— ভুল থেকে শিক্ষা নিলে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. কবি নিজেকে ‘অভিশাপ রথের সারথি’ বলে অভিহিত করেছেন কেন?
২. মেয়েলি বিনয়ের চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক অনেক ভালো-কেন?
৩. ‘আমার পথ দেখাবে আমার সত্য।’ – কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
৪. কাজী নজরুল ইসলাম-এর মতে, দেশের দীর্ঘদিনের পরাধীনতার কারণ কী?
৫. ‘মানুষ-ধর্মই সবচেয়ে বড় ধর্ম।’ কেন?
৬. ‘আমি আছি’- এই কথা না বলে সবাই বলতে লাগলাম ‘গান্ধীজি আছেন” – উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
৭. অন্তরে মিথ্যার ভয় থাকলে প্রাবন্ধিক কেন বাইরের ভয়কে ভয় মনে করেন?
৮. কাজী নজরুল ইসলাম হিন্দু-মুসলমানদের মিলনের অন্তরায়কে দূর করতে চেয়েছিলেন কেন?
৯. ‘ভুলের মধ্য দিয়েই সত্যকে পাওয়া যায়।’ – বুঝিয়ে লেখ।
১০. ‘যার নিজের ধর্মে বিশ্বাস আছে, যে নিজের ধর্মের সত্যকে চিনেছে, সে কখনো অন্য ধর্মকে ঘৃণা করতে পারে না।’ – ব্যাখ্যা কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন:
১. নজরুল বলেছেন, মানুষের মাঝে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে পারলেই ধর্মের প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হবে, এক ধর্মের সঙ্গে অন্য ধর্মের বিরোধ মিটে যাবে । সমগ্র মানব সমাজকে এক্যবদ্ধ করার মূল শক্তি হলো সম্প্রীতি।
ক. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে ‘আমার পথ’ আমাকে কী দেখাবে?
খ. আগুনের সম্মার্জনা বলতে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কি বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সামঞ্জস্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “নিজের বিশ্বাস এবং সামর্থকে ব্যবহার করতে না জানলে সৃষ্টি হয় পরনির্ভরতা” – উদ্দীপক ও ‘আমার পথ’ প্রবন্ধ অবলম্বনে মন্তব্যটি বিচার করো।
২. রফিকুল ইসলাম একজন সাদা মনের মানুষ। শিক্ষকতা পেশায় থেকে গড়েছেন আলোকিত মানুষ। নিজের নেতৃতে পরিচালনা করেছেন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান “কালান্তর” ৷ জনকল্যাণের পাশাপাশি তিনি এলাকার মাতব্বরদের ভণ্ডামির প্রতিবাদ করেন। মিথ্যা ও নতজানুতার বিরুদ্ধে তিনি সদা সোচ্চার। ফলে অনেকেরই শত্রুতে পরিণত হন তিনি। তবে তিনি দমে যান না, তিনি বিশ্বাস করেন “সত্য ও ন্যায়ের পথই সহজ পথ”।
ক. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কাকে লেখক সালাম জানিয়েছেন?
খ. ‘সবচেয়ে বড় দাসত্ব বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের রফিকুল ইসলামের বিশ্বাসের সঙ্গে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের যে দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত নয়, তা আলোচনা করো।
৩. আমি জীবনে অনেক আত্মপ্রবঞ্চনা করে করে অন্তরে অশেষ যন্ত্রণা ভোগ করেছি। কত রাত্রি অনুশোচনায় ঘুম হয় নাই। এখন ভুল বুঝতে পেরেছি। এখন সোজা এই বুঝেছি যে, আমি যা ভালো বুঝি, যা সত্য বুঝি, শুধু সেটুকু প্রকাশ করব, বলে বেড়াব। তাতে লোকে যতই নিন্দা করুক, আমি আমার কাছে ছোট হয়ে থাকব না, আত্মপ্রবঞ্চনা করে আর আত্মনির্যাতন ভোগ করব না।
ক. কত সালে কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালি পল্টনে যোগ দেন?
খ. “মানুষ-ধর্মই সবচেয়ে বড় ধর্ম’_ বুঝিয়ে লেখো ।
গ. উদ্দীপকের ভাবার্থের সাথে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখকের মনের যে ভাবের মিল পাওয়া যায় তা বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আংশিক দিক প্রতিফলিত হয়েছে-_ উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।
৪. স্বপ্নচূড়া গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান মি. রহমান রাশভারি মানুষ। কর্মচারীরা আনুগত্যের ভাব প্রকাশে তার সব কথাতেই হ্যাঁ স্যার, জি স্যার করেন। কেবল মতিন সাহেব তা করেন না। যেটি ঠিক সেখানে হ্যাঁ, যেটি ঠিক নয় সেখানে না বলেন। সহকর্মীরা মতিন সাহেবকে গৌয়ার ও বেয়াদব ভাবেন। চেয়ারম্যান সাহেবও মাঝেমধ্যে মতিন সাহেবের গৌয়াতুমিতে বিরক্ত হন। হঠাৎ কোষাধাক্ষের মৃত্যুতে পদটি শূন্য হলে লোভনীয় এ পদে পদায়ন পেতে সহকর্মীরা চেয়ারম্যানকে তোয়াজ করতে থাকেন। অবশেষে চেয়ারম্যান যেদিন উক্ত পদের নিয়োগপত্র ইস্যু করেন তা দেখে সবার চোখ ছানাবড়া। কারণ সেই পদের নিয়োগপত্র পান মতিন সাহেব।
ক. কাজী নজরুল ইসলাম কত বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন?
খ. মানুষ-ধর্মকে সবচেয়ে বড় ধর্ম বলা হয় কেন?
গ উদ্দীপকে “আমার পথ” প্রবন্ধটির কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “মতিন সাহেবের সততাই তাকে উক্ত পদে ভূষিত করে” উদ্দীপক ও প্রবন্ধের আলোকে সততার স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।
৫. সুমন সুযোগ পেলেই নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়। ছাত্র জীবনের এ অভ্যাসটি আজ তার কর্ম জীবনেও বহমান। এর সঙ্গো যুক্ত হয়েছে অতিরিন্ত বিনয় ও তোষামোদী। পরনির্ভরশীল এ মানুষটি অফিসের কোনো কাজই এখন আর সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেন না। এ জন্য লোকজন তাকে পছন্দ করে না। অফিসে তার গ্রহণযোগ্যতা কমে আসছে। অন্যদিকে শফিক সাহেবের সততা, দৃঢ়তা এবং কর্মনিষ্ঠা তাকে সকলের নিকট প্রিয় করে তোলেছে। তিনি সকলের নিকট অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
ক. কোন বোধে জাগ্রত হতে পারলেই ধর্মের সত্য উন্মোচিত হবে?
খ. “একমাত্র মিথ্যার জলই এই শিখাকে নিভাতে পারবে।’ – কথাটি বুঝিয়ে দাও।
গ. উদ্দীপকের সুমনের মধ্যে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের শফিক সাহেব ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের লেখকের প্রতিভূ – মন্তব্যটি বিচার করো।
মানব-কল্যাণ: আবুল ফজল
জ্ঞানমূলক ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. আবুল ফজল জন্মগ্রহণ করেন— ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের পহেলা জুলাই।
২. প্রাবন্ধিক আবুল ফজলের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া।৩. আবুল ফজল শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেন— চট্টগ্রাম ও ঢাকায়।
৪. আবুল ফজল কর্মজীবন শুরু করেন— স্কুলশিক্ষক হিসেবে।
৫. আবুল ফজল কলেজে অধ্যাপনা করেন— প্রায় ত্রিশ বছর।
৬. আবুল ফজল উপাচার্য ছিলেন– চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের।
৭. আবুল ফজল উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন— রাষ্ট্রপতির।
৮. আবুল ফজল সমধিক খ্যাত— প্রগতিবাদী বুদ্ধিজীবী হিসেবে।
৯. কথাশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেলেও আবুল ফজল মূলত— চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক।
১০. আবুল ফজলের প্রবন্ধে গভীর ও স্বচ্ছ দৃষ্টির পরিচয় পাওয়া যায়— সাহিত্য , সংস্কৃতি , সমাজ ও রাষ্ট্র সম্পর্কে।
১১. আবুল ফজলের উপন্যাসগ্রন্থ— 'চৌচির' , 'রাঙা প্রভাত।
১২. আবুল ফজলের গল্পগ্রন্থ— ‘মাটির পৃথিবী’, 'মৃতের আত্মহত্যা'
১৩. আবুল ফজলের প্রবন্ধগ্রন্থ— ‘ সাহিত্য সংস্কৃতি সাধনা ’ , ‘ সাহিত্য সংস্কৃতি ও জীবন ’ , ‘ মানবতন্ত্র।
১৪. আবুল ফজলের দিনলিপিগ্রন্থ— ' রেখাচিত্র ’ , ‘ দুর্দিনের দিনলিপি'।
১৫. আবুল ফজল মৃত্যুবরণ করেন— ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ৪ মে।
১৬. প্রচলিত ধারণায় সস্তা আর মামুলি অর্থে ব্যবহৃত হয়— মানব - কল্যাণ কথাটা।
১৭. "ওপরের হাত সবসময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ" – বলেছেন ইসলামের নবি।
১৮. অনুগ্রহ বর্ষণ করে— ওপরের হাত।
১৯. দান বা ভিক্ষা গ্রহণকারীর দীনতা প্রতিফলিত হয় তার সর্ব অবয়বে।
২০. মানব - মর্যাদার দিক থেকে অনুগ্রহকারী ও অনুগৃহীতের তফাত— আকাশ পাতাল।
২১. জাতির যৌথ জীবন আর যৌথ চেতনার প্রতীক— রাষ্ট্র।
২২. জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে গড়ে তোলার দায়িত্ব— রাষ্ট্রের।
২৩. রাষ্ট্র আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক গড়ে তুলতে পারে না— চাটুকারিতাকে প্রশ্রয় দিলে।
২৪. করুণার বশবর্তী হয়ে দান - খয়রাত করা হলো— মনুষ্যত্বের অবমাননা।
২৫. মানুষের মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি আর মানবিক চেতনার বিকাশ হলো— মানব কল্যাণ।
২৬. সমাজের ক্ষুদ্রতম অঙ্গ বা ইউনিট— পরিবার।
২৭. মানব কল্যাণের একমাত্র উপায়— সমতা আর সহযোগ - সহযোগিতা।
২৮. 'তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন ? ' উক্তিটি— বঙ্কিমচন্দ্রের।
২৯. বল প্রয়োগ বা সামরিক শাসন দিয়ে মানুষকে বানানো যায়— তাঁবেদার।
৩০. সকল সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে— সাহস ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে।
৩১. অনুগ্রহ বা আনুকূল্য পেয়েছে এমন ব্যক্তিকে বলে— অনুগৃহীত।
৩২. ‘ মনীষা ’ শব্দের অর্থ— বুদ্ধি , মনন , প্রতিভা , মেধা , প্রজ্ঞা।
৩৩. র্যাশনাল শব্দের অর্থ— বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন।
৩৪. সংকীর্ণতা ও গোঁড়ামিমুক্ত উদার মানসিকতাই— মুক্তবুদ্ধি।
৩৫. ‘ মানব - কল্যাণ ’ প্রবন্ধের রচয়িতা— আবুল ফজল।
৩৬. "মানব - কল্যাণ" প্রবন্ধটি রচিত হয় – ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে।
৩৭. ' মানব - কল্যাণ ” প্রবন্ধটি প্রথম সংকলিত হয়— ‘ মানবতন্ত্র ' গ্রন্থে।
৩৮. অনেকে দুস্থ মানুষকে দান - খয়রাত করাকে মনে করেন- মানব কল্যাণ।
৩৯. দান - খয়রাত করাকে মানব - কল্যাণ মনে করা— সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক।
৪০. মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস হলো— মানব - কল্যাণ।
৪১. সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানো— মানব - কল্যাণের লক্ষ্য।
৪২ . কল্যাণময় পৃথিবী রচনা করা সম্ভব— মুক্তবুদ্ধির সহায়তায়।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. ‘রাষ্ট্র জাতির যৌথ জীবন আর যৌথ চেতনারই প্রতীক’ – উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
২. মানব-কল্যাণ কথাটা আমরা সস্তা ও মামুলি বানিয়ে ফেলেছি কীভাবে?
৩. কীভাবে বিজ্ঞানের অভাবনীয় আবিষ্কারকে ধ্বংসের পরিবর্তে সৃজনশীল মানবিক কর্মে নিয়োগ করা যায়?
৪. মানব কল্যাণ মানব-অপমানে পরিণত হয়েছে কীভাবে?
৫. যে রাষ্ট্র হাত পাতা বা চাটুকারিতাকে প্রশ্রয় দেয়, সে রাষ্ট্রের পরিণতি ব্যাখ্যা করো।
৬. মানব-কল্যাণ কীভাবে মানব-মর্যাদার সহায়ক হয়ে উঠবে?
৭. মনুষ্যত্বের অবমাননা’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
৮. ‘এ সত্যটা অনেক সময় ভুলে থাকা হয়।’ – কোন সত্যটা? ব্যাখ্যা করো।
৯. ‘দুঃখের বিষয়’ বলতে প্রাবন্ধিক কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা করো।
১০. কীভাবে কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব বলে প্রাবন্ধিক মনে করেন?
মাসি-পিসি: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
জ্ঞানমূলক ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম- বিহারের সাঁওতাল পরগনায়।
২. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস— ঢাকার বিক্রমপুর।
৩. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম— প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
৪. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচেছিলেন— আটচল্লিশ বছর।
৫. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত প্রথম গল্প— অতসীমামী।
৬. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়— ২০ বছর বয়সে।
৭. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত – বিজ্ঞানমনস্ক লেখক।
৮. "পদ্মানদীর মাঝি" উপন্যাসের স্রষ্টা— মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
৯. "প্রাগৈতিহাসিক" ছোটোগল্পের স্রষ্টা— মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
১০. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন— ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে।
১১. জগু আহ্লাদিকে ছ্যাঁকা দিত— কলকেপোড়া দিয়ে।
১২. আহ্লাদির স্বামীর নাম— জগু।
১৩. বুড়ো রহমানের মেয়ে মারা গেছে- শ্বশুরবাড়িতে।
১৪. আহ্লাদির বাবা মারা যায়— কলেরায় ভুগে।
১৫. আহ্লাদি বেঁচে গিয়েছিল— মাসি - পিসির সেবায়।
১৬. মাসি - পিসি শাকসবজি ও ফলমূল সংগ্রহ করত— গেরস্ত বাড়ি থেকে।
১৭. জগুর প্রবল লোভ ছিল – সম্পদের প্রতি।
১৮. নিজেকে ছ্যাঁচড়া , নোংরা , নর্দমার মতো লাগে- আহ্লাদির।
১৯. মাসি - পিসি পুণ্যের আশায় উপোস করেছেন— শুক্লপক্ষের একাদশীতে।
২০. মাসি - পিসির সাহসিকতায় দলবল নিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়— কানাই।
২১. কাঁথা - কম্বল জলে চুবিয়ে রাখতে চায়— পিসি।
২২ . মাসি - পিসির যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়— প্রতিবাদী রূপ।
২৩. শালকাঠ নির্মিত বা তালকাঠের সরু ডোঙা— সালতি।
২৪ "সোমত্ত" শব্দের অর্থ— সমর্থ বা যৌবনপ্রাপ্ত।
২৫. হাসি - তামাশাযুক্ত বিবাদ - বিসম্বাদ বা ঝগড়াকে বলে- খুনসুটি।
২৬. ‘পাঁশুটে ’ শব্দের অর্থ— ফ্যাকাশে।
২৭. 'ব্যঞ্জন' শব্দের অর্থ— রান্না করা তরকারি।
২৮. 'রসুই চালা ' শব্দের অর্থ- রান্নাঘর।
২৯. কাটারি হলো -এক ধরনের কাটবার অস্ত্র।
৩০. "পরিস্থিতি'' গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয় – অক্টোবর ১৯৪৬ সালে।
৩১. "মাসি - পিসি"' গল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে- মানিক রচনাবলির ৫ম খণ্ড থেকে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. ‘যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
২. আহ্লাদিকে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে যেতে হয় কেন?
৩. মাসি-পিসির জমানো টাকা কেন খরচ হয়ে গিয়েছিল?
৪. আহ্লাদিকে জগু কেন মারধর করে?
৫. মাসি-পিসি রোজগারের জন্য কী উপায় খোঁজে?
৬. জগু কেন মামলা করতে চাইল?
৭. ঈষৎ তন্দ্রার ঘোরে আহ্লাদি শিউরে ওঠে কেন?
৮. আহ্লাদি কেন স্বামীর ঘরে যেতে চায় না?
৯. রাতের বেলা কানাই পেয়াদা নিয়ে আসে কেন?
সৃজনশীল প্রশ্ন:
১. বাপ-মা মরা অভাগী মেয়ে প্রতিমা দরিদ্র কাকা-কাকির কাছে বড় হয়েছে। দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে অনেক কষ্টে ভাই-ঝিকে বিয়ে দেন কাকা। অভাগী প্রতিমা শ্বশুরবাড়িতেও সুখের নাগাল পায় না। কারণ, তার কাকার কাছ থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য স্বামী- শাশুড়ি তার ওপর প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এমনকি অন্তঃসত্তা জেনেও তার স্বামী একদিন মারধর করে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে। জ্ঞান ফিরে আসলে, প্রতিমা কোনোরকমে পালিয়ে কাকা- কাকীর কাছে চলে আসে। ভাইঝির এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে কাকা-কাকী সিদ্ধান্ত নেয়, অমন শ্বশুরবাড়িতে তাকে আর পাঠাবে না তারা।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত বছর বেঁচেছিলেন?
খ. “যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি” ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের প্রতিমার সাথে “মাসি-পিসি” গল্পের আহ্লাদীর সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করো।
ঘ. “অর্থলিপ্সা মানুষকে পরিপূর্ণ পশু করে তোলে -উদ্দীপকে ও “মাসি-পিসি” গল্পে এ সত্যটি সন্দেহাতীতভাবে প্রকাশিত হয়েছে” মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
২. বকুল যখন স্বামীহারা হয়, তখন তার মেয়ে পারুলের বয়স দুই বছর। একদিকে অর্থকষ্ট, অপরদিকে বদলোকের কুদৃষ্টি। লোকের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে, খেয়ে না খেয়ে মেয়েটাকে বড় করে বকুল। একসময় মেয়ের বিয়েও দেয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই অত্যাচারী স্বামীর সাথে সম্পর্ক ছেদ করে মায়ের কাছে ফিরে আসে পারুল। সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার জন্য মেয়ে পারুল হয় বকুলের অবলম্বন। মায়ের জীবন- সংগ্রাম দেখে বড় হওয়া পারুল মায়ের চেয়ে সাহসী এবং আত্মমর্যাদাশীল । বাড়ির পাশে শাক-সবজি চাষ করে, ঘরে হাস-মুরগী পালন করে, ধান ভেনে, কীথা সেলাই করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করে মা ও মেয়ে। যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জীবন বলি রাখার দৃঢ় প্রত্যয় বকুল ও পারুলের চাল চলনে।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
খ. “নিজেকে তার ছ্যাচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে’ – কার, কেন?
গ. উদ্দীপকের পারুলের সাথে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের আহ্লাদীর চারিত্রিক বৈপরীত্য দেখাও।
ঘ. উদ্দীপকটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘মাসি-পিসি’ গল্পের মন্তব্য ধারণ করে- তোমার মতামত দাও।
৩. স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মরিশাসে চাকরি করেন। একমাত্র মেয়ে আঁখিকে পড়াশোনার জন্য ঢাকায় মামার বাড়িতে রেখেছিলেন। বাড়িতে ছিল মামা-মামি ও মামাত ভাই তরিকুল । গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর স্টেশনে ব্যাগের ভেতর আঁখির লাশ পাওয়া যায়। আঁখির নিখোঁজ হওয়ার পরে দাফন-কাফন সর্বত্র ছিল তরিকুলের পদচারণা । ইতোমধ্যে তরিকুল গ্রেফতার হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জনাববন্দিতে বলেছে যে, সেদিন বাসায় আঁখির মামা-মামি ছিল না। জীখিকে একা পেয়ে সে পাশবিক নির্যাতন করে গলা টিপে হত্যা করে।
ক. সালতি কী?
খ. বুড়ো রহমান খড়ের আঁটি তুলে দেয়ার ফাকে ফাকে আহ্লাদির দিকে তাকায় কেন?
গ. “মাসি-পিসি” গল্পের মাসি-পিসির দায়িত্ববোধের সাথে উদ্দীপকের মামা-মামির দায়িত্ববোধের তুলনা করো?
ঘ. “যুগের উন্নতি হলেও নারীর প্রতি লোলুপ দৃষ্টিভঙ্গির কোন পরিবর্তন হয়নি” – মন্তব্যটি “মাসি-পিসি” গল্প ও উদ্দীপকের আলোকে যাচাই করো।
৪. যুবতী নবিতুন ‘সারেং বৌ’ উপন্যাসের নায়িকা। জীবিকার তাগিদে স্বামীকে দূর পথে বছরের অধিকাংশ সময় কাটাতে হয়। চারপাশের অশুভ ইঙ্গিত তাকে যখন তখন তাড়া করে বেড়ায়। আছে দারিদ্র্য ও দুর্যোগ । আত্মবিশ্বাস, সাহস, বুদ্ধিমতা আর দৃঢ়তা দিয়ে সবকিছু জয় করে সে। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা আর সুন্দর জীবনের স্বপ্ন তাকে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগায়।
ক. কে বাঘের মতো ছিল?
খ. “সোয়ামি নিতে চাইলে বৌকে আটকে রাখার আইন নেই’ – ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের নবিতুনের সঙ্গে “মাসি-পিসি” গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি বর্ণনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের নবিতুন “মাসি-পিসি” গল্পের আহ্লাদির বিপরীত” – উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
৫. স্বামী পরিত্যক্তা রানুকে স্নেহ-মমতা-সাহস দিয়ে আগলে রেখেছে তার খালা আনোয়ারা। আনোয়ারা বিধবা হলেও ছোটখাটো একটা ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে পেরেছে। তার স্পর্ধা ও দৃঢ়তা দেখে এলাকার কেউ রানুর দিকে চোখ তুলে তাকানোরও সাহস পায় না।
ক. কে সিঁথির সিঁদুর পর্যন্ত ঘোমটা টেনে দেয়?
খ. কেমন একটা স্বস্তি বোধ করে মাসি-পিসি – কেনো?
গ. উদ্দীপকে “মাসি-পিসি” গল্পের কোন দিকটি উঠে এসেছে? আলোচনা করো।
ঘ. অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে সমাজে নারীর অবস্থান বদলে যায়’ – উদ্দীপক ও “মাসি-পিসি” গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
৬. নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই মানবসভ্যতা আজ এতদূর প্রসারিত। নারীকে উপেক্ষা করে কোনো সভ্যতা সৃষ্টি হতে পারে না। নারীকে তার আপন মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে দরকার পুরুষের সহযোগিতা । কিন্তু এই পুরুষের হীন মানসিকতার কারণেই কখনো কখনো নারীকে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত হতে হয়। বেছে নিতে হয় কঠিন জীবন, হতে হয় সাহসী ও প্রতিবাদী।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?
খ. ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয় – উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের হীন মানসিকতার পুরুষের সঙ্গে “মাসি-পিসি” গল্পের কার বা কাদের সাদৃশ্য রয়েছে? নির্ণয় করো।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি “মাসি-পিসি” গল্পে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে? আলোচনা করো।
বায়ান্নর দিনগুলো: শেখ মুজিবুর রহমান
জ্ঞানমূলক ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
২. বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
৩. শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম— ১৭ ই মার্চ , ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ।
৪. শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান— গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়।
৫. শেখ মুজিবুর রহমানের পিতার নাম- শেখ লুৎফর রহমান।
৬. বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিত— ছয় দফা আন্দোলন।
৭. বঙ্গবন্ধু ৭ ই মার্চের ভাষণ দেন— রেসকোর্স ময়দান থেকে।
৮. বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন- ১৯৭১ সালের ২৬ - এ মার্চ প্রথম প্রহরে।
৯. বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস— ১০ ই জানুয়ারি।
১০. বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন— ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট।
১১. শেখ মুজিবুর রহমান জেলের মধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন— অনশন ধর্মঘট করার জন্য।
১২. রাজবন্দিদের ডেপুটি জেলার- মোখলেসুর রহমান।
১৩. বঙ্গবন্ধুকে অনশন করতে নিষেধ করেছিলেন— সিভিল সার্জন।
১৪. জেল পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যাওয়া হয় – ফরিদপুর জেলে।
১৫. বঙ্গবন্ধুকে ঢাকা জেলের গেটে নিয়ে যাওয়া হয়— ১৫ ই ফেব্রুয়ারি।
১৬. জেলখানায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী ছিলেন- মহিউদ্দিন আহমদ।
১৭. জাহাজ চলে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যাওয়া হয়- নারায়ণগঞ্জ থানায়।
১৮. বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী মহিউদ্দিন ভুগছিলেন— প্লুরিসিস রোগে।
১৯. ভাষা - আন্দোলন হয়- ১৯৫২ সালে।
২০. ২১ শে ফেব্রুয়ারির ঘটনা বঙ্গবন্ধুকে জানিয়েছিলেন– সিপাহি।
২১. ২১ শে ফেব্রুয়ারির শহিদদের স্মরণে ফরিদপুরে শোভাযাত্রা হয়— ফেব্রুয়ারির ২২ তারিখে।
২২. দুই চামচ ডাবের পানি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অনশন ভাঙিয়েছিলেন— মহিউদ্দিন আহমদ।
২৩. বঙ্গবন্ধু পুরোনো জায়গায় ফিরে এলেন- সাতাশ - আটাশ মাস পরে।
২৪. জেল থেকে মুক্তির পর বঙ্গবন্ধু বাড়ি পৌছান— পাঁচদিন পর।
২৫. ন্যায্য দাবি পূরণের জন্য আহার বর্জনকে বলে— অনশন।
২৬. ‘ সুপারিনটেনডেন্ট ' শব্দের অর্থ— তত্ত্বাবধায়ক।
২৭. মহিউদ্দিন আহমদ জন্মগ্রহণ করেন— ১৯২৫ সালে।
২৮. জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ছিলেন— মহিউদ্দিন আহমদ।
২৯. বেলুচিস্তান প্রদেশের লোকদের বলা হয়— বেলুচি।
৩০. ভিক্টোরিয়া পার্কের বর্তমান নাম— বাহাদুর শাহ্ পার্ক।
৩১. ‘ প্লুরিসিস ' হলো এক ধরনের -বক্ষব্যাধি।
৩২. শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ডাক নাম ছিল— রেণু।
৩৩. সরকারি কর্মচারীদের কর্তৃত্বমূলক ব্যবস্থা— আমলাতন্ত্র।
৩৪. রেডিওগ্রাম হলো -বেতারবার্তা।
৩৫. প্রকোষ্ঠ বলতে বোঝায়— ঘর বা কুঠরি।
৩৬. ' অসমাপ্ত আত্মজীবনী ' গ্রন্থের রচয়িতা— শেখ মুজিবুর রহমান।
৩৭. ' অসমাপ্ত আত্মজীবনী ' প্রকাশিত হয়- ২০১২ সালে।
৩৮. বঙ্গবন্ধু ' অসমাপ্ত আত্মজীবনী ' লিখতে শুরু করেন- ১৯৬৭ সালে।
৩৯. ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধু বন্দি ছিলেন -ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে।
৪০. ঐতিহাসিক আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুকে বন্দি রাখা হয়— ১৯৬৮ সালে।
৪১. বঙ্গবন্ধু আগরতলা মামলায় আটক থাকায় বন্ধ হয়ে যায়— আত্মজীবনী রচনা।
৪২. ' অসামাপ্ত আত্মজীবনী'তে স্থান পেয়েছে- ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ঘটনা।
৪৩. 'বায়ান্নর দিনগুলো' রচনার ভাষা- সহজ সরল।
৪৪. 'বায়ান্নর দিনগুলো' রচনায় বঙ্গবন্ধুর মধ্যে লক্ষণীয় দিক— দৃঢ়চেতা মনোভাব।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. শেখ মুজিবুর রহমান অনশন ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?
২. “ইয়ে ক্যায়া বাথ হ্যায়, আপ জেলখানা মে’ কে, কেন বলেছিলেন?
৩. ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ নেয়ার পথে শেখ মুজিব গাড়িতে উঠতে-নামতে দেরি করছিলেন কেন?
৪. “দুঃখ আমার নেই”-শেখ মুজিব কেন একথা বললেন?
৫. বঙ্গবন্ধুকে নাকের ভেতর নল দিয়ে খাবার খাওয়ানো হচ্ছিল কেন?
৬. বঙ্গবন্ধু ও তার সহবন্দি মহিউদ্দিন সাহেব অনশন ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?
৭. জেলের কর্তা-ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহবন্দির বলার কিছু নেই কেন?
৮. বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহবন্দিকে অন্য জেলে পাঠানোর কারণ কী?
৯. ঢাকা জেল থেকে ফরিদপুর জেলে রওনা হতে বঙ্গবন্ধু দেরি করলেন কেন?
১০. আর্মড পুলিশের সুবেদার বঙ্গবন্ধুকে খুবই ভালোবাসত এবং শ্রদ্ধা করত কেন?
১১. বঙ্গবন্ধু ট্যাক্সিওয়ালাকে বেশি জোরে চালাতে নিষেধ করার মূল কারণ কী?
১২. বঙ্গবন্ধু রাতে হোটেলে খেতে গেলেন কেন?
১৩. নানা নির্যাতন, নিপীড়ন এমনকি মরণেও কেন বঙ্গবন্ধুর দুঃখ নেই?
১৪. বঙ্গবন্ধু তাঁর ফরিদপুর জেলে আসার কথা কীভাবে ফরিদপুরের সহকর্মীদের কাছে পৌঁছালেন?
১৫. বঙ্গবন্ধু আর তাঁর সহবন্দিকে জেল কর্তৃপক্ষ কীভাবে খাওয়াচ্ছিল?
১৬. জেল কর্তৃপক্ষ হ্যান্ডকাফ পরানোর লোকজন নিয়ে আসে কেন?
১৭. বঙ্গবন্ধু একজন কয়েদিকে দিয়ে গোপনে কেন কয়েক টুকরা কাগজ আনলেন?
১৮. ২১শে ফেব্র“য়ারি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহবন্দিদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা নিয়ে কাটানোর কারণ কী?
১৯. বঙ্গবন্ধু ২১শে ফেব্র“য়ারিতে ছাত্রজনতার মিছিলে গুলি করাকে মুসলিম লীগ সরকারে বড় অপরিণামদর্শিতার কাজ বললেন কেন?
২০. ১৯৫২ সালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ সরকারের দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধর।
২১. অনশনে মৃত্যু সম্পর্কে সিভিল সার্জনের জিজ্ঞাসার জবাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
২২. ব্যাখ্যা কর- “হাসু আপা, হাসু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি?”
সৃজনশীল প্রশ্ন:
১. কৃষ্ণাঙ্গ নেতা নেলসন মেন্ডেলা জীবনের অধিকাংশ সময়ই কারাবন্দি ছিলেন। জেলখানায় বসেই তিনি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও অনশন করেছেন। বন্দি অবস্থাতেও তিনি বিভিন্ন গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে অধিকার আদায়ের জোর সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।
ক. রেণু কে?
খ. যদি এ পথে মৃত্যু এসে থাকে তবে তাই হবে’_ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে “বায়ান্নর দিনগুলো’ প্রবন্ধের প্রতিফলিত দিকগুলো আলোচনা করো।
ঘ. “নেলসন মেন্ডেলার আন্দোলন ছিল বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আর “বায়ান্নর দিনগুলো” রচনায় শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলন ছিল জাতিসত্তার পক্ষে” – উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।
২. তিতুন নামে ৭/৮ বছরের একটি মেয়েকে তার পালকমাতা বলছেন, ‘আমি তোমাকে ডাস্টবিন থেকে পেয়েছি। তোমার প্রকৃত মা-বাবাকে পেলে তোমাকে তাদের হাতে তুলে দেবো ।’ মেয়েটি ক্রমাগত কাঁদছে আর বলছে, ‘না তোমরাই আমার মা-বাবা । আমি যাবো না তাদের কাছে। আর কাউকে মাও বলবো না।’ কেবল তিতুনকে নয়, এরকম অনেক পরিচয়হীনের ভরসা “আশ্রয়” নামক এনজিও । পরিচয়হীন শিশুদের অধিকার সংরক্ষণে নিবেদিত ‘আশ্রয়’ শিশুদেরকে লালন-পালন করছে। কোনো কোনো নিঃসন্তান দম্পতিদেরও সন্তান পাবার আশ্রয়স্থল ‘আশ্রয়’। ‘আশ্রয়’ সারাদেশে পরিচয়হীন শিশুদের অস্তিত্ব ক্ষার ভরসাস্থল।
ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলখানা থেকে কতটি চিঠি লিখেছিলেন?
খ. মাতৃভাষা আন্দোলন বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের তিতুন “বায়ান্নর দিনগুলো” রচনার কোন চরিত্রকে মনে করিয়ে দেয়? তার সঙ্গে তিতুনের তুলনামূলক আলোচনা করো।
ঘ. আশ্রয়ের বিশ্বাস এবং “বায়ান্নর দিনগুলো” রচনার চেতনা একসূত্রে গাঁথা– উক্তিটি মূল্যায়ন করো।
৩. আফ্রিকার জনমানুষের প্রিয় নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা । বর্ণবাদ, বৈষম্য আর শোষণ নিপীড়নের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকার কালো মানুষগুলোর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্বের পুরোধা ছিলেন তিনি। তাকে সইতে হয়েছে নির্ধাতন, খাটতে হয়েছে জেল। তার সাতাশ বছরের সশ্রম কারাভোগ ও ত্যাগের বিনিময়ে আফ্রিকার মানুষদের মুক্তি তথা স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
ক. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
খ. অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যদি মরতে পারি, সে মরাতেও শান্তি আছে’ – লেখক একথা বলেছিলেন কেন?
গ. উদ্দীপকের নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে ‘বায়ান্নর দিনগুলো” রচনার লেখকের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি তুলে ধরো।
ঘ. “পরিপ্রেক্ষিত ভিন্ন হলেও সংগ্রামী চেতনায় মুজিব-ম্যান্ডেলা এক সূত্রে গাঁথা’- উদ্দীপক ও “বায়ান্নর দিনগুলো” রচনার আলোকে মন্তব্যটি যাচাই করো।
৪. মিছিলটা তখন মেডিকেলের গেট পেরিয়ে কার্জন হলের কাছাকাছি এসে গেছে। তিনজন আমরা পাশাপাশি হাটছিলাম। রাহাত স্লোগান দিচ্ছিলো । আর তপুর হাতে ছিলো একটা মস্ত প্ল্যাকার্ড। তার ওপর লাল কালিতে লেখা ছিলো, “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই”। মিছিলটা হাইকোর্টের মোড়ে পৌছতে অকস্মাৎ আমাদের সামনের লোকগুলো চিৎকার করে পালাতে লাগলো চারপাশে । ব্যাপারটা কী বুঝবার আগেই চেয়ে দেখি, প্ল্যাকার্ডসহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে তপু। কপালের ঠিক মাঝখানটায় গোল একটা গর্ত। আর সে গর্ত দিয়ে নির্বরের মতো রক্ত ঝরছে তার ।
ক. রেণুর পুরো নাম কী?
খ. আমরা অনশন ভাঙব না’ – উক্তিটি বুঝিয়ে দাও ।
গ. “উদ্দীপকের সাথে পাঠ্য বইয়ের “বায়ান্নর দিনগুলো’ শীর্ষক আত্মজীবনীমূলক রচনার পটভূমিগত অভিন্নতা রয়েছে।” – মন্তব্যটি যাচাই করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকে গল্পকথকের জবানীতে বর্ণিত মহান একুশের ভাষাচিত্রটির সাথে “বায়ান্নর দিনগুলো” রচনাটির কথক ও কাহিনির ভিন্নতাও রয়েছে’ – তোমার মতামতসহ মন্তব্যটি যাচাই করো।
৫. পরাধীন ভারতবর্ষের অত্যাচারিত, অবহেলিত মানুষের করুণ অবস্থা বিদ্রোহী করে তোলে ভগৎ সিংকে। জালিয়ানওয়ালাবাগে জেনারেল রেজিনাল্ড ডায়ারের নির্বিচারে সাধারণ মানুষ হত্যাকাণ্ড তাকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করে তোলে ৷ আন্দোলনের কারণে তাকে কারাগারে যেতে হয়। দীর্ঘ ৬৩ দিন অনশন করার পর ভগৎ সিংয়ের জনপ্রিয়তা সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সান্ডার্স হত্যা মামলায় ভগৎ সিংকে অভিযুস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেয় ব্রিটিশ সরকার।
ক. “ঢাকায় ভীষণ গোলমাল হয়েছে” – এ খবরটি বঙ্গবন্ধু কীভাবে পেয়েছিলেন?
খ. বঙ্গবন্ধুর মতে মুসলিম লীগ কী অপরিণামদর্শিতার কাজ করল? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের বিপ্লবী ভগৎ সিং ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের তুলনামূলক আলোচনা কর।
ঘ. “অত্যাচারিত মানুষের মুক্তির আন্দোলনে যুগে যুগে মহামানবেরা আত্মত্যাগ করেছেন। ভগৎ সিং ও বঙ্গাবন্ধুর জীবন তারই দৃষ্টান্ত’ – এ বিষয়ে তোমার মতামত দাও।
৬. আফ্রিকার গণমানুষের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। আফ্রিকায় সংঘটিত বর্ণবাদ, বৈষম্য ও শেতাজ্তাদের শোষণ- নিপীড়নের বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গদের দীর্ঘ আন্দোলন ও কঠোর সংগ্রামের নেতৃত্বের পুরোধা তিনিই ছিলেন। সাধারণ মেহনতি, নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায় করতে তাকে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে, জেলে যেতে হয়েছে। দীর্ঘ সাতাশ বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে সশ্রম কারাভোগের পর আফ্রিকার মুক্তিপাগল মানুষকে তিনি স্বাধীনতা উপহার দেন।
ক. ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু কোন পদকে ভূষিত হন?
খ. “বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা না করে উপায় নাই’- উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের নেলসন ম্যান্ডেলা চরিত্রের সাথে “বায়ান্নর দিনগুলো তুলনামূলক আলোচনা তুলে ধরো ।
ঘ. প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও সংগ্রামী ও অধিকার সচেতন শেখ মুজিবুর রহমান ও নেলসন ম্যান্ডেলা একই চেতনায় উদ্বুদ্ধ’ – “বায়ান্নর দিনগুলো” রচনার বিষয়বস্তুর আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করে তোমার মতামত প্রদান করো।
রেইনকোট: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
জ্ঞানমূলক ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জন্ম- ১৯৪৩ সালে।
২. আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জন্মস্থান— গাইবান্ধার গোটিয়া গ্রাম।
৩. আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের পিতৃনিবাস— বগুড়া।
৪. আখতারুজ্জামানের পিতৃপ্রদত্ত নাম— আখতারুজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস।
৫. আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্পগ্রন্থ— ৫ টি।
৬. আখতারুজ্জামানের উপন্যাস দুটি হলো- ' চিলেকোঠার সেপাই ' ও ‘ খোয়াবনামা '।
৭ . আখতারুজ্জামান ইলিয়াস মৃত্যুবরণ করেন— ১৯৯৭ সালে।
৮. ঢাকা কলেজের মাঠ পেরিয়ে বাঁ দিকে— প্রিনসিপ্যালের কোয়ার্টার।
৯. কলেজ জিমন্যাশিয়ামটি ব্যবহৃত হচ্ছে— মিলিটারি ক্যাম্প হিসেবে।
১০. পাকিস্তানের জন্য দিন - রাত দোয়া - দরুদ পড়ে— প্রিন্সিপ্যাল।
১১. কলেজের প্রিনসিপ্যালের নাম- ড . আফাজ আহমদ।
১২. নুরুল হুদা পেশায় ছিলেন– শিক্ষক।
১৩. মিন্টু মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে— জুনের ২৩ তারিখ।
১৪. নুরুল হুদার ছেলের বয়স— পাঁচ বছর।
১৫. কলেজে মোট আলমারি কেনা হয়েছে— দশটি।
১৬. উর্দু বিষয়ের প্রফেসর ছিলেন– আকবর সাজিদ।
১৭. মিলিটারিরা ছদ্মবেশী মিসক্রিয়ান্ট মনে করে— কুলিদের।
১৮. জেনারেল স্টেটমেন্ট অর্থ— সাধারণ বিবৃতি।
১৯. ‘ তোড় দিয়া ’ শব্দের অর্থ— উড়িয়ে দিয়েছে।
২০. ইলেকট্রিক ট্রান্সফর্মার উড়িয়ে দিয়েছে— মিসক্রিয়ান্টরা।
২১. ' ক্যায়সে ' শব্দের অর্থ— কীভাবে।
২২. "মিসক্রিয়ান্ট" বলতে বোঝানো হয়েছে— মুক্তিযোদ্ধাদের।
২৩. "ফওরন'' অর্থ— তাড়াতাড়ি।
২৪. ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতকে বলা হয়েছে— ক্রাক - ডাউনের রাত।
২৫. ' জেনারেল মনসুন ' বলতে বোঝানো হয়েছে— বর্ষা ঋতুকে।
২৬. ‘ রেইনকোট ' গল্পটি প্রকাশিত হয় – ১৯৯৫ সালে।
২৭. ‘ রেইনকোট ’ গল্পটির উৎস— ‘ জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল ’।
২৮. রেইনকোট গল্পটি রচিত— মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে।
২৯. "রেইনকোট" গল্পে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক— রেইনকোটটি।
৩০. নুরুল হুদা যে রেইনকোটটি পরে সেটি— তার শ্যালক মিন্টুর।
৩১. নুরুল হুদা স্বভাবতই— ভীতু প্রকৃতির মানুষ।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. ‘ক্যাপ্টেনের এদিকে তাকে ঠেলা মুশকিল’- কেন?
২. নুরুল হুদাকে এক্সট্রা তটস্থ থাকতে হয় কেন?
৩. ‘রেইনকোট’ গল্পে ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দটি কেন ব্যবহার করা হয়েছে?
৪. নুরুল হুদা কেন চারবার বাড়ি পাল্টায়?
৫. ইসহাক মিয়ার দাপট বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
৬. প্রিন্সিপাল কেন দিন-রাত দোয়া-দরুদ পড়তো?
৭. নুরুল হুদা কেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাটের নিচে শুয়েছিলেন?
৮. ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নুরুল হুদা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান কেন?
৯. দেশে একটা কলেজেরও শহিদ মিনার অক্ষত নেই।-কারণ ব্যাখ্যা কর।
১০. রেইনকোট খুলে ফেললেও নুরুল হুদার শরীরে তার ওম লেগে থাকার কারণ কী?
১১. ‘এসব হলো ইনটার্নাল অ্যাফেয়ার।’- কথাটি কী নির্দেশ করে?
১২. মিলিটারি প্রাদুর্ভাবের পর পিওনকে দেখে সবাই তটস্থ থাকত কেন?
১৩. নুরুল হুদা অনেক সুরা মুখস্থ করেছে কেন?
১৪. ‘এদিককার মানুষ চোখে খালি নৌকা দেখে, নৌকা ভরা অস্ত্র।’- উক্তিটিতে কী বোঝানো হয়েছে?
১৫. প্রিন্সিপাল আফাজ আহমদ আজকাল আকবর সাজিদকে তোয়াজ করেন কেন?
১৬. কথক কেন বললেন, “এই বৃষ্টির মেয়াদ আল্লা দিলে পুরো তিন দিন।”
১৭. পিয়নকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে ইচ্ছা করেছিল কেন?
১৮. মিলিটারি আক্রমণের পর থেকে ‘রেইনকোট’ গল্পের কথক চারবার বাড়ি পাল্টালেন কেন?
সৃজনশীল প্রশ্ন:
১. সন্তানকে রক্ষা করতে নিজের বুকে গুলি পর্যন্ত খেলেন লিপি মণ্ডল। এরপরও শেষ রক্ষা হলো না। ছয় বছরের শিশু পুত্র পরাগ মণ্ডলকে দিন দুপুরে অপহরণ করে নিয়ে গেল দুবৃত্তরা। শিশুটির এখনো কোনো খোঁজ নেই। এ ধরনের একটি ঘটনা তখনই ঘটে যখন আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে । আইনশৃঙ্খলার অবনতি জনমনে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে।
ক. কার জন্য নুরুল হুদাকে তটস্থ থাকতে হয়?
খ. নুরুল হুদার স্ত্রী কেন বাড়ি পাল্টানোর জন্য হন্যে হয়ে লেগে গেলেন?
গ. উদ্দীপকের লিপি মণ্ডলের সাথে ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য আছে? আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের সন্তানহারা লিপি মণ্ডল যেন রেইনকোট” গল্পের নুরুল হুদারই প্রতিনিধিত্ব করে” – উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
২. ঘর থেকে বেরুতেই হাসিব গুলির শব্দ শুনতে পেল। ভয়ে ভয়ে রাস্তার মোড়ের দিকে এগিয়ে যেতেই সদ্যমৃত একটা লাশ দেখতে পেল। হাসিব কী করবে ভেবে পাচ্ছিল না। সে কী বাসায় ফিরে যাবে, নাকি বাজারের দিকে যাবে। ছোট ছেলেটার জ্বরের কথা ভেবে ওষুধের দোকানের দিকে এগিয়ে চলল। বাজারের মোড়ের কাছে যেতেই তিন-চারজন রাজাকার তাকে ঘিরে ধরল। স্থানীয় স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসিব নিজের পরিচয়পত্র তাদের দেখালো । কিন্তু তারা পরিচয়পত্রটি ছুড়ে ফেলে দিল। মুক্তিবাহিনী সন্দেহে হাসিবকে চোখ বেঁধে নিয়ে গেল মিলিটারি ক্যাম্পে।
ক. “দেখি তো; ফিট করে কিনা’ – কী ফিট করার কথা বলা হয়েছে?
খ. পাকিস্তান যদি বাঁচাতে হয় তো সব স্কুল কলেজ থেকে শহীদ মিনার হটাও’ কেন?
গ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর সাথে ‘রেইনকোট” গল্পে বিধৃত ঘটনাবলির সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য আলোচনা করো।
ঘ. ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জনজীবন ছিল আতঙ্কভরা” – উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্পে অবলম্বনে উক্তিটির মূল্যায়ন করো।
৩. কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে এক রাতের জন্য আশ্রয় দিয়েছিল রহমত। ভুল করে একজন মুক্তিযোদ্ধা একটি শার্ট ফেলে গেলে দিনমজুর রহমত শাটটি গায়ে দিয়ে মাঠে কাজ করতে যায়। হঠাৎ সে নিজের ভেতর এক ধরনের উত্তেজনা অনুভব করে । সেদিন বাড়ি না ফিরে সে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য সীমান্ত পাড়ি দেয়।
ক. নুরুল হুদার শ্যালকের নাম কী?
খ. ‘আব্বু তা হলে মুক্তিবাহিনী’ – কে, কেন বলেছে?
গ. উদ্দীপকে ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন দিকটি বর্ণিত হয়েছে? আলোচনা করো।
ঘ. “মুক্তিযোদ্ধার শার্ট” কিংবা “রেইনকোট” ও কাউকে বদলে দিতে পারে’__ উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো।
৪. চকচকে রোদ। সড়কের উত্তরে রাইফের রেঞ্জের মধ্যে গামছাপরা এক কিশোর তিন-চারটে গরু খেদিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তার মাথায় ছালা বোঝাই ঘাস। কীধে লাঙল-জোয়াল। সম্ভবত সে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছে। মুক্তি! মুক্তি! একজন সৈনিক চিৎকার করে ওঠে। কাঁহা? কাঁহা? অপরেরা প্রশ্ন করে। সৈনিকটি জবাব দেয়, ‘ডাহনা তরফ দেখ” কলিমদ্দি দফাদার সবিনয়ে বলতে চায়, মুক্তি নেহি ক্যাপ্টিন সাব; উয়ো রাখাল হ্যায়, মেরা চেনাজানা হ্যায়। চুপ রাও সালে কাফের কা বাচ্চা কাফের । মুক্তি, আলবৎ মুক্তি। বলেই সকলে একসঙ্গে গুলি ছোড়ে। এলাকা কেঁপে ওঠে। ধ্বনি-প্রতিধ্বনি হয়ে দূরে ছড়িয়ে পড়ে। কলিমদ্দি দফাদারের বাল্যকালের পাতানো দোস্ত সাইজদ্দি খলিফার ষোলো বছরের ছেলে একবার মাত্র মা বলে। ধরাশায়ী দেহটা থেকে আর কোনো ধ্বনি কানে আসে না।
ক. মিলিটারি নুরুল হুদাকে কোন ভাষায় প্রশ্ন করেছিল?
খ. শহিদ মিনারকে কেন পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা বলা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের ঘটনার সাথে “রেইনকোট’ গল্পের কোন ঘটনার মিল রয়েছে এবং কীভাবে তা বর্ণনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকে ফুটে ওঠা নির্বিচার হত্যা ও পাশবিক আচরণের জন্যেই পাকিস্তানিদের নিয়ে এ দেশের মানুষের মধ্যে সব সময় আতঙ্ক বিরাজ করত ।”__ মন্তব্যটি ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে বিশ্লেষণ করো।
৫. ১৭ মে ১৯৭১, সোমবার রেডিও-টিভিতে বিখ্যাত ও পদস্থ ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে প্রোগ্রাম করিয়ে কর্তাদের তেমন সুবিধা হচ্ছে না বোধ হয়। তাই এখন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের ধরে ধরে তাদের দিয়ে খবরের কাগজে বিবৃতি দেওয়ানোর কুটকৌশল শুরু হয়েছে। আজকের কাগজে ৫৫ জন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীর নাম দিয়ে এক বিবৃতি বেরিয়েছে। |….] এদের মধ্যে কেউ কেউ সানন্দে ও সাগ্রহে সই দিলেও বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী যে বেয়নেটের মুখে সই দিতে বাধ্য হয়েছেন, তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই।” [তথ্যসূত্র: ‘একাত্তরের দিনগুলি’ – জাহানারা ইমাম]
ক. ‘মিসক্রিয়ান্ট’ শব্দের অর্থ কী?
খ. রেইনকোট পরার পর থেকে নুরুল হুদার হাত-পা কেন শিরশির করতে থাকে? ব্যাখ্যা করো।
গ. বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীদের দিয়ে খবরের কাগজে বিবৃতি দেওয়ানোর বিষয়টি রেইনকোট গল্পের কোন ঘটনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? আলোচনা করো।
ঘ. “পাকিস্তানীদের সকল অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে এদেশের সকল মানুষ দেশকে স্বাধীন করার নিরন্তর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল’ – উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্পের আলোকে আলোচনা করো।
এইচ.এস.সি.বাংলা ২য় পত্র সাজেশন ১০০% কমন পেতে ক্লিক করতে পারো