বিচার বিভাগ কি?
বিচার বিভাগ একটি সরকারি বৈদ্যুতিন প্রতিষ্ঠান বা অধিকারিক সংস্থা হতে পারে, যা একটি দেশের বিচার প্রক্রিয়াগুলি নির্ধারণ করে থাকে এবং ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়ার কাজে সাহায্য করে। এই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মাননা ও সাক্ষরতা সম্পন্ন ন্যায্য নিষ্পাদন করা, দোষী বা অপরাধীদের প্রাধান্য জন্য শাস্তিপ্রদান করা, আইনি উদ্দেশ্যসাধনের জন্য মামলা শৃঙ্খলা করা, সামাজিক ন্যায্যতা সংরক্ষণ করা, আইনি সেবা প্রদান করা, আইনি পরামর্শ প্রদান করা, আইনি সিদ্ধান্ত দেওয়া, ন্যায্য সমস্যার সমাধান করা, আইনি সংঘটনার ম্যানেজমেন্ট করা, মামলা দায়ের সৃজন করা, আইনি তদন্ত প্রদান করা ইত্যাদি বিচার সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে সাহায্য করা।
বিচার বিভাগের সদস্যরা সাধারণভাবে ন্যায্য প্রক্রিয়ার কাজে আগ্রহী এবং নির্ভিক হতে হয়, এবং তাদের নির্ধারিত কাজের জন্য আইনের সাথে সামর্থ্য এবং নির্ভিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিচার বিভাগের সদস্যদের নির্ধারিত পদক্ষেপে নির্ধারিত নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং উচ্চতম বিচারিক ম্যাগিস্ট্রেট বা বিচারিক নিয়োগ সূচনা দ্বারা নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিচার বিভাগ সরকারি ন্যায্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের মামলা এবং বিচারিক সংঘটনা সমাধান করে এবং ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়ার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করে। তাদের কাজের প্রাথমিক লক্ষ্য সামাজিক ন্যায্যতা এবং আইনের সাথে মেলানো।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কার্যাবলী
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ব্যবস্থাপনা এবং বিচারিক কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। এই সংস্থা সরকারী ও বেসরকারী বিচারিক কাজে সাহায্য করে, বাংলাদেশের সাংবিদানিক প্রক্রিয়াকরণের অংশ হিসেবে কাজ করে, যাতে ন্যায় সেবা প্রদান করা হয়। বিচার বিভাগের কার্যাবলী নিম্নোক্ত মৌলিক কার্যক্রমের সাথে সংঘটিত:
1. ন্যায় প্রদান: বিচার বিভাগ ন্যায় সেবা প্রদান করে, যাতে মানুষের ন্যায় ও অধিকার সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে। এই কাজে ন্যায়পালিকা, কোর্ট সিস্টেম, এবং বিচারিক প্রক্রিয়া শাস্ত্র আপেক্ষিকভাবে সহায়ক করে।
2. বিচারিক প্রক্রিয়া: বিচার বিভাগের মাধ্যমে আইনের মধ্যে অসুস্থতা বা আইনী বিতর্কের সমাধান করা হয়। এটি সম্প্রাপ্ত মামলা, সাক্ষাত্কার, ও নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সহ বিচারিক কাজে সহায়ক করে।
3. বিচারিক শিক্ষা: বিচার বিভাগ ন্যায়বিদ ও অধিবাদীদের জন্য বিচারিক শিক্ষা প্রদান করে, যাতে ন্যায় পেশাদার কার্যক্রমে যোগ দিতে পারেন।
4. আইন সংস্থান: বিচার বিভাগ আইন সংস্থান ও ন্যায় সংস্থান সম্পর্কে আইন তৈরি এবং প্রস্তুতি করে।
5. মানুষের ন্যায় প্রাপ্তির সাথে সংজ্ঞানা: বিচার বিভাগ সমাজের ন্যায় ও অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে এবং জনগণকে তাদের ন্যায় প্রাপ্তির সাথে সংজ্ঞানা দেওয়ার দিকে কাজ করে।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ন্যায়পালিকা, আদালত, এবং অন্যান্য ন্যায় সংস্থানের মাধ্যমে ন্যায় প্রদান করে এবং আইনি মামলা নিষ্পত্তির জন্য কাজ করে। এই সংস্থাগুলি বাংলাদেশের সাংবিদানিক প্রক্রিয়াকরণের অংশ হিসেবে গ্রাহ্য এবং ন্যায়ের প্রতি লোকের আমলের ন্যায় ও অধিকার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কাজ করে।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের পর্যালোচনা কি?
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান, যা ন্যায় প্রণালী সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশের ন্যায় ব্যবস্থা সার্বজনীন মান্য করে। বিচার বিভাগের প্রধান কাজ ন্যায় প্রণালী সংরক্ষণ, আইন ও ন্যায় নিয়ে বিচার করা, আইনী সাহিত্যের পরিশোধ, আইনি সাহিত্যের অনুসন্ধান এবং ন্যায় প্রস্তুতি সংক্রান্ত কাজ করা।
বিচার বিভাগের কাজের মধ্যে বিভিন্ন স্তরের বিচারকের নির্দেশনা দেওয়া, আপিল মামলা শৃঙ্খলা, আইনি সাহিত্য প্রকাশনা, ন্যায় শিক্ষা প্রদান ইত্যাদি কাজ সম্পাদন করা হয়। এছাড়াও, বিচার বিভাগ বাংলাদেশের আইনগত সামগ্রিক পরিষ্কার এবং ন্যায় প্রণালী সংবাদ এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে বিচার বিষয়ে জানতে সাহায্য করে।
এই অধিকারপ্রাপ্ত ও স্বাধীন বিচার বিভাগটি বাংলাদেশের ন্যায় ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে এবং ন্যায় প্রণালী সংরক্ষণ এবং ন্যায় ব্যবস্থা স্থাপনে সাহায্য করে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কি?
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সরকারের ন্যায়িক সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো, যা ন্যায় প্রণালীর স্বাধীনতা এবং স্বায়ত্তশাসন সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও ন্যায়ের নিশ্চিততা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এটি সরকারের অবশ্যই সাবধানীতি এবং ন্যায়িক নির্ণয়ের প্রতি অস্বাধীন এবং স্বায়ত্তশাসন দর্শানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাধি নিয়ে আসে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বৈশিষ্ট্যে লিখ
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা মৌলিকভাবে নিম্নলিখিত কিছু বৈশিষ্ট্যে ভিত্তি করে:
1. আইন এবং ন্যায় প্রণালীর স্বাধীনতা: বিচার বিভাগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইন এবং ন্যায় প্রণালীর স্বাধীনতা অধিকার করে এবং সরকারের বাহ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ থাকে।
2. স্বায়ত্তশাসন: বিচার বিভাগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ন্যায় প্রণালী নির্ধারণ করে এবং ন্যায় প্রণালীর কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় এবং সম্পদ প্রদান করে।
3. প্রতিরক্ষা ও ন্যায়ের নিশ্চিততা: বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ন্যায় নিষ্পত্তির সাথে সম্পর্কিত স্বাধীনতা প্রদান করে এবং ন্যায় প্রণালী নির্ধারণ করে যাতে সমাজের মধ্যে ন্যায়ের নিশ্চিততা থাকে।
4. প্রতিস্থাপন: বিচার বিভাগ সরকারের দ্বিধা ও অস্বাধীনতা সংশোধন করতে সাহায্য করতে পারে এবং ন্যায় প্রণালীর সুস্থি এবং ন্যায়িক নির্ণয়ের প্রতি সরকারের আপাতত দায়িত্ব প্রদান করতে পারে।
সরকারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমান্তরালভাবে কাজ করার এবং প্রত্যাপক কার্যক্রম চালানোর মাধ্যমে বিচার বিভাগ স্বাধীনতা এবং ন্যায়ের নিশ্চিততা নিশ্চিত করে সাহায্য করে। এটি একটি সুস্থ ন্যায়িক প্রণালীর গঠন ও কাজের নিয়ম নির্ধারণ করে এবং ন্যায় প্রণালী কর্মচারীদের নির্দিষ্ট স্বাধীনতা ও নির্ণয়ের প্রতি সমর্থন প্রদান করে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রয়োজন কেন?
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক সমাজে গুরুত্বপূর্ণ একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা, এবং এটি একটি নির্দিষ্ট কারণে প্রয়োজন:
1. ন্যায্যতা ও ইনস্যুরেন্স: বিচার বিভাগ সমাজে ন্যায্যতা ও ইনস্যুরেন্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। এটি সমাজের সবাইকে ন্যায্যতা এবং ইনস্যুরেন্সের সুযোগ প্রদান করে এবং সমাজের অসুযোগ বা অবগুণ সংশোধনের সুযোগ দেয়।
2. সরকারের বিভাগবিভাগ কাজ: বিচার বিভাগ সরকারের বিভাগবিভাগ কাজের মৌলিক অংশ খেলে, যাতে এটি সরকারের এবং সরকারের আনুষাঙ্গিক সংস্থাগুলির কাজের প্রাধান্য দেয়।
3. সামাজিক ন্যায্যতা: বিচার বিভাগ সামাজিক ন্যায্যতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি সমাজের সবাইকে সমান ন্যায্যতা ও সমান অধিকারের সাথে বাঁচানোর জন্য আবশ্যক।
4. সংবিধানের রক্ষণ: বিচার বিভাগ সংবিধানের রক্ষণ এবং নির্ধারণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। এটি সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মানবাধিকার সংরক্ষণে সাহায্য করে।
5. সামাজিক সুরক্ষা ও সুরক্ষা: বিচার বিভাগ সামাজিক সুরক্ষা ও সুরক্ষা সরকারের জন্য ন্যায্য উপায়ে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য একটি প্রধান প্রাধান্য দেয়, যেটি সমাজের অসুযোগগুলি ও আত্মবিশ্বাসের সংরক্ষণে সাহায্য করে।
সামাজিক ন্যায্যতা, ন্যায্যতা, সরকারের কাজ, সংবিধানের রক্ষণ, এবং সামাজিক সুরক্ষা ও সুরক্ষা সাধারণ সমাজের নির্দিষ্ট মৌলিক প্রয়োজনীয়তা, এবং এই সমাজের সবার সুযোগ এবং অধিকার সাহায্য করে এবং সমাজ ও সরকারের সুষ্ঠু কাজের প্রতি নির্দিষ্ট নজর রাখে।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কিভাবে রক্ষা করা যায়?
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় নিম্নলিখিত হতে পারে:
1. আইনের সামনে আসুন: যতটুকু সম্ভব, আপনি বিচার বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং আপনার প্রতিক্রিয়া, যাচাই বা আপাতত যে কোন বিচারিক সমস্যার সাথে সামগ্রিক প্রশাসন করতে পারে।
2. বৈধ প্রতিবাদ বিচারক: আপনি যদি মনে করেন যে আপনার বৈধ অধিকার বা স্বাধীনতা লঙ্ঘন হয়েছে, তবে আপনি এই সমস্যাটি বিচারিক কাছে নিতে পারেন।
3. আইনগত পরামর্শ: যদি আপনি নিজে বা আপনার পরিবারের কাউকে নিয়োগ করতে চান বা কোন আইনি সমস্যার সাথে সাহায্য চান, তবে এটি উচিত হতে পারে যে আপনি একজন বৈধ প্রশাসন ব্যবস্থাপনা ব্যক্তি বা আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।
4. প্রধান আইন প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে যোগাযোগ: বাংলাদেশে আইনের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রধান প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা রয়েছে, যেমন আপিলেট ডিভিশন, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, ওম্বুদ্সম্মান, এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। এই প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে যোগাযোগ করে আপনি সমস্যার সমাধানে সাহায্য পেতে পারেন।
5. মিডিয়া এবং সামাজিক নেটওয়ার্ক: আপনি যদি মনে করেন যে আপনার মামলা সমাজের সাথে ব্যাপার করে এবং সর্বজনীন সমর্থন প্রদান করতে পারে, তবে মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করার মাধ্যমে সামাজিক চেতনা তৈরি করতে পারেন।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নির্ভরযোগ্যতা রক্ষা করা জনগণের জানা-মানা, সমর্থন, ও আইনশৃঙ্গে ভরপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্ভব। আপনি আপনার আইনি অধিকার এবং স্বাধীনতা প্রতিরক্ষা করতে পারেন এবং আপনির সমস্যার সমাধানে সাহায্য পেতে আপনির স্থানীয় বিচার প্রক্রিয়াগুলি ব্যবহার করতে পারেন।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ গঠন
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ব্যাপকভাবে বিভাজিত হয়ে থাকে এবং সরকারি এবং বেসরকারি বিচার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ন্যায় প্রদান করে। বিচার বিভাগের কিছু গুরুপ এবং প্রধান আদালত নিম্নলিখিত হতে পারে:
1. বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট: বাংলাদেশের সর্বমত উচ্চতম ন্যায় প্রদান করে এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট একটি দ্ব্যাধিকারিক ন্যায়পীঠ হিসেবে কাজ করে, যেখানে আপিল এবং প্রধান মামলা প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।
2. বিচারপতি প্রশাসনিক ন্যায় অধিদপ্তর (Judicial Administration Training Institute - JATI): এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বিচারপতিদের প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং ন্যায় বিষয়ে তাদের পেশাদার উন্নতি সাধনে সাহায্য করে।
3. বিচারপতি ন্যায় পরিষদ (Judicial Service Commission): এই পরিষদ বাংলাদেশের ন্যায় পরিষেবা সাধারণভাবে নিয়োগ এবং পদোন্নতি সাধানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।
4. বাংলাদেশের বিভাগীয় ন্যায় প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশে বিভিন্ন স্তরের ন্যায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন মাগিস্ট্রেট কোর্ট, সদর উপন্যাস, ন্যায় কর্মকর্তা কোর্ট, দ্ব্যাধিকারিক ন্যায়পীঠ, ইউনিয়ন ন্যায় পরিষদ, ইউনিয়ন আপিল ন্যায় পরিষদ, এবং আপিলেট ডিভিশনের ন্যায় পরিষদ।
এই ন্যায় প্রতিষ্ঠানগুলি বাংলাদেশে ন্যায় প্রদান করে এবং ন্যায় বিষয়ে মামলা সমাধান করে। প্রতিটি ন্যায় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কাজকর্ম এবং কার্যধারার নির্ধারণ থাকে। বিচার বিভাগের গঠন এবং কাজের সংক্ষেপ তথ্য সম্পর্কে নতুন তথ্য জানতে, আপনি বাংলাদেশের সরকার বা বিচার বিভাগের আধিকারিক ওয়েবসাইট সংদর্শন করতে পারেন।
বিচার বিভাগের ক্ষমতা
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের বিভাগসমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা মর্যাদাপূর্ণ হলো বিচার বিভাগ। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতার ওপর সুশাসন অনেকাংশে নির্ভর করে। এটি নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রহরী হিসেবে কাজ করে। বস্তুত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা ছাড়া গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায় সাধারণভাবে বলা যায়, সরকারের যে বিভাগ বিচারকার্য সম্পাদন করে তাকে বিচার বিভাগ বলে। অর্থাৎ যে বিভাগ সমাজে ব্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের প্রচলিত আইন ও নিয়মকানুন দ্বারা বিচারকার্য পরিচালনা করে তাকে বিচার বিভাগ বলে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগও এর ব্যতিক্রম নয়। বিচারকার্য পরিচালনার পাশাপাশি সংবিধানের বাধ্য করাও বিচার বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব।
সংবিধান অনুসারে বাংলাদেশে বিচার বিভাগের অবস্থান অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। সংবিধান হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। আর এ সংবিধানের পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের বিধি বহির্ভূত যেকোনো আইন বাতিলযোগ্য। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ সরকারের বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আইন অনুযায়ী বিচারকাজ পরিচালনা করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবিধান কার্যকর হয় । উক্ত সংবিধানে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সমন্বয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ স্তর সুপ্রিম কোর্ট গঠনের কথা বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে অধস্তন আদালতও রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বিচার বিভাগে বেশ কয়েকটি বিশেষ আদালতও রয়েছে। যেমন- শ্রম আদালত, শিশু অপরাধ আদালত, প্রশাসনিক ট্রাইনাল, দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আদালত, মেরিন কোর্ট , নারী ও শিশু নির্যাতন সম্পর্কিত বিশেষ ট্রাইবুনাল ইত্যাদি।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ রয়েছে। ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় একে সরকারের অন্য বিভাগের আওতাদুর করা হয়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশকাল থেকে শুরু করে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ একীভূত ছিল। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ১৯৯৫ সালে মাজদার হোসেনসহ ৪৪০ জন বিচারক সরকারকে বিবাদী করে উচ্চ আদালতে এ বিষয়ে মামলা করে। এ মামলার প্রেক্ষিতেই প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীন বিচার বিভাগ। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের নিরুজছ প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যথা-
১. বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ন্যায় ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা পরিচালনার মাধ্যমে দ্রুত শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠিত ও পরিচালিত।
২. বাংলাদেশের বিচার বিভাগের গঠনীতি পদসোপানভিত্তিক (Hierarchical)। এটি আপিপ্স বিভাগ , হাইকোর্ট বিভাগ , অধস্তন আদালতসমূহ এবং প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল নিয়ে গঠিত। সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত। এরপর রয়েছে জেলা জজ আদালত , মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত , যুগ্ম জজ আদালত ও সহকারী জজ আদালত।
৩. বিচার বিভাগের উচ্চম্বরে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার বিচার একই আদালতে অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং জেলা ও দায়রা বিচারকগণ দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার করেন। তবে নিম্নস্তরের ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার জন্য পৃথক আদালত করেছে।
৪. প্রশাসনিক ট্রাইবুনালের অস্তিত্ব বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার অপর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। সংবিধানের ১১৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ, বরখাস্ত, নওমান, চাকরির শর্তাবল, রাষ্ট্রায়ত সম্পর্কির ব্যবস্থাপনা ও সরকার পরিচালিত কোনো সম্পতির প্রশাসন ইত্যাদি বিরোধের মীমাংসা এক বা একাধিক প্রশাসনিক ট্রাইওনাদের এখতিয়ার বলে গণ্য হবে।
৫. ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮ (১) অনুযায়ী সকল মেট্রোপলিটন এলাকায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট , অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অন্যান্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রয়েছে।
৬. ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ এবং ২৫ ধারায় জাস্টিস অব দি পিস (Justice of the Peace) এর কথা বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ পদাধিকারবলে সমগ্র দেশের জন্য জাস্টিস অব দি পিস বলে গণ্য হন। দায়রা জজ , চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণ তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের মধ্যে প্রত্যেকেই জাস্টিস অব দি পিস বলে গণ্য হন।
৭. বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় অধস্তন আদালতের পরেও স্থানীয় পর্যায়ের ছোটখাটো বিচারকার্য পরিচালনার জন্য স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো ভূমিকা পালন করে । ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় এ ধরনের আদালত গঠিত হয়ে থাকে।