মাঠ ফসল কাকে বলে? || What is Field Crops?
মাঠ ফসল
যেসব ফসল সাধারণত বিস্তীর্ণ মাঠে বেড়াবিহীন অবস্থায় সমষ্টিগতভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে চাষ এবং প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়া হয় সেগুলোকে মাঠ ফসল বলে। যেমন- ধান, গম, পাট ইত্যাদি। দেশের মোট আবাদি জমির প্রায় ৭০% জমিতে মাঠ ফসল চাষ হয়। মাঠ ফসলের আরেক নাম হচ্ছে কৃষিতাত্ত্বিক ফসল (Agronomic crops)।
বাংলাদেশে জন্মানো ফসলের উৎপাদন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, এদেশে এখনো ধান চাষের প্রাধান্য বেশি। এরপরেই রয়েছে সবজি, ডাল, তেল ও আঁশ ফসল।
মাঠ ফসলের বৈশিষ্ট্য
মাঠ ফসলের সুনির্দিষ্ট কতকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিচে মাঠ ফসলের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করা হলো-
১. সাধারণত বড় জমিতে (নিচু ও মাঝারি নিচু) চাষ করা হয়।
২. মাঠের সমস্ত ফসলকে একত্রে বা সমষ্টিগতভাবে যত্ন নেওয়া হয়।
৩. তুলনামূলকভাবে কম যত্নের প্রয়োজন হয়।
৪. মাঠ ফসলের বীজ সাধারণত জমিতে ছিটিয়ে বা মাটিতে পুঁতে বপন করা হয়।
৫. মাঠের সমস্ত ফল একত্রে পরিপক্কতা লাভ করে তাই একত্রে সংগ্রহ করতে হয় (ব্যতিক্রম - তুলা)।
৬. বেড়া দেওয়া হয় না, সেচ না দিয়েও অনেক ফসল চাষ করা যায় ( ব্যতিক্রম বোরো ও আমন ধান।
৭. মাঠ ফসল সাধারণত একবর্ষজীবী হয় (ব্যতিক্রম - চা)।
৮. আকারে খাটো ও ছোট হয়।
৯. ফসল উৎপাদনে খরচ ও উৎপাদনে ঝুঁকি বেশি থাকে।
১০. একসাথে অনেক কসল কাটা হয় বলে মৌসুমের শুরুতে দাম কম থাকে।
১১. ফসল মাড়াই ঝাড়াই করে শুকিয়ে ব্যবহার করা হয় (ব্যতিক্রম- পাট, আখ ইত্যাদি)।
২. মাঠের সমস্ত ফসলকে একত্রে বা সমষ্টিগতভাবে যত্ন নেওয়া হয়।
৩. তুলনামূলকভাবে কম যত্নের প্রয়োজন হয়।
৪. মাঠ ফসলের বীজ সাধারণত জমিতে ছিটিয়ে বা মাটিতে পুঁতে বপন করা হয়।
৫. মাঠের সমস্ত ফল একত্রে পরিপক্কতা লাভ করে তাই একত্রে সংগ্রহ করতে হয় (ব্যতিক্রম - তুলা)।
৬. বেড়া দেওয়া হয় না, সেচ না দিয়েও অনেক ফসল চাষ করা যায় ( ব্যতিক্রম বোরো ও আমন ধান।
৭. মাঠ ফসল সাধারণত একবর্ষজীবী হয় (ব্যতিক্রম - চা)।
৮. আকারে খাটো ও ছোট হয়।
৯. ফসল উৎপাদনে খরচ ও উৎপাদনে ঝুঁকি বেশি থাকে।
১০. একসাথে অনেক কসল কাটা হয় বলে মৌসুমের শুরুতে দাম কম থাকে।
১১. ফসল মাড়াই ঝাড়াই করে শুকিয়ে ব্যবহার করা হয় (ব্যতিক্রম- পাট, আখ ইত্যাদি)।
মাঠ ফসলের শ্রেণিবিভাগ
ব্যবহারের ভিত্তিতে মাঠ ফসল বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। যেমন-
১. দানা খাদ্য ফসল (Cereal crops): গ্রামীণি (Gramineae) পরিবারভুক্ত যেসব ফসলের দানা খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে দানা খাদ্য ফসল বলে। যেমন- ধান, ভুট্টা।
২. তেলবীজ ফসল (Ollseed crops): যেসব ফসলের বীজ হতে তেল পাওয়া যায় সেগুলোকে তেল জাতীয় বা তেলবীজ ফসল বলে। যেমন- চিনাবাদাম , সূর্যমুখী , সরিষা , তিল , তিসি , সয়াবিন ইত্যাদি।
৩. ডাল ফসল : ( Pulse crops ): শিম জাতীয় যেসব মাঠ ফসলের বীজ ভাল খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেগুলোকে ভাল জাতীয় ফসল বলে। যেমন- মসুর , মুগ , ছোলা , খেসারি ইত্যাদি।
৪. চিনি উৎপাদক ফসল ( Sugarcrops ): যেসব ফসল হতে চিনি ও গুড় উৎপাদন করা হয় সেগুলোকে চিনি ফসল বা চিনি উৎপাদক ফসল বলে। যেমন- আপ , সুগারবিট , খেজুর ইত্যাদি।
৫. আঁশ জাতীয় ফসল ( Fibre crops ): যেমন ফসল হতে আঁশ পাওয়া যায় সেগুলোকে আঁশ জাতীয় ফসল বলে। যেমন— পাট , কেনাফ , মেস্তা তুলা ইত্যাদি।
৬. পানীয় ফসল (Drink crops) : যেসব ফসল হতে পানীয় দ্রব্য উৎপাদন করা হয় সেগুলোকে পানীয় ফসল বলে । যেমন— চা, কফি ইত্যাদি।
৭. নেশা জাতীয় ফসল (Narcotic crops): যেসব ফসল নেশা জাতীয় পদার্থ উৎপন্ন করার জন্য আবাদ করা হয় সেগুলোকে নেশা জাতীয় ফসল বলে। যেমন— তামাক, গাজা, আফিম, পান ইত্যাদি।
৮. পশুখাদ্য ফসল (Fodder crops): যেসব ফসল বা ফসলের কোনো অংশ পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে পশুখাদ্য ফসল বলে। যেমন— নেপিয়ার , জাম্বু ও প্যারা ঘাস , গিনি , ভুট্টা ইত্যাদি।
৯. সবুজ সার ফসল (Green manure crops): যেসব ফসল সবুজ সার উৎপাদন অর্থাৎ গাছে ফুল আসার আগে কেটে মাটিতে মিশিয়ে জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্যে চাষ করা হয় সেগুলোকে সবুজ সার ফসল বলে । যেমন— ধৈঞ্চা , শন পাট , লিগিউম ফসল বা ডাল ফসল ইত্যাদি।
১০. শিল্প বা বাণিজ্যিক ফসল (Industrial erops): কারখানার কাঁচামাল যোগান দিতে যেসব ফসল উৎপাদন করা হয় সেগুলোকে শিল্প বা বাণিজ্যিক ফসল বলে। যেমন— পাট , আখ , তুলা , রাবার , তামাক ইত্যাদি।
মাঠ ফসলের গুরুত্ব
বাংলাদেশের জন্য মাঠ ফসল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মোট আবাদি জমির প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ জমিতে মাঠ ফসলের চাষ করা হয় (এআইএস, ২০২১)। মাঠ ফসলের অন্তর্ভুক্ত ৪০ টি ফসলের প্রায় ৪০০ টি জাত রয়েছে। অধিকাংশ মাঠ ফসলই মানুষের প্রধান খাদ্য হিসেবে এবং বস্ত্র, গ্রামীণ নির্মাণ ও জ্বালানি উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়।
দেশের অধিকাংশ কৃষিজীবী মাঠ ফসল চাষ করে। ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে উৎপাদিত দানাজাতীয় ফসলের ৭৫% আসে ধান থেকে (তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, ২০২১)। বাংলাদেশে উৎপাদিত দানা জাতীয় ফসলের ১০% ও ৯% আসে যথাক্রমে গম ও ভুট্টা থেকে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ধানের সহকারি খাদ্য হিসেবে গম তার স্থান করে নিয়েছে । পশুপাখি ও মৎস্য খাদ্য হিসেবে বাংলাদেশে ভুট্টার ব্যবহার প্রথম স্থানে।
মাঠ ফসলের মধ্যে ডাল জাতীয় ফসল যথা— খেসারি, মসুর, ছোলা, মুগ ও মটর গুরুত্বপূর্ণ। চিনি উৎপাদনে আখের বিকল্প নেই। সরিষা মাঠ ফসলের অন্তর্ভুক্ত তেলবীজ জাতীয় ফসল। বিভিন্ন জাতের সরিষার বীজে (৪০-৪৪)% তেল থাকে। তেলবীজ থেকে তেল ছাড়াও উপজাত হিসেবে খৈল পাওয়া যায় যা গবাদিপশু এবং হাঁস-মুরগি এমনকি মাছেরও খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। খৈল জমির উত্তম জৈবসার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। বাংলাদেশের অর্থকরী ফসলগুলোর মধ্যে পাট অন্যতম। পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়।
মাঠ ফসলের প্রতিটি জাতের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য এবং চাষগত তাৎপর্য ও পরিচর্যাগত চাহিদা রয়েছে। এসব জেনে সঠিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে দেশের কৃষিকে উন্নয়নের উচ্চতর ধাপে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
উদ্যান ফসল
যেসব ফসল সাধারণত বন্যামুক্ত উঁচু এলাকায়, ছোট জমিতে বা বাগানে স্বল্প পরিসরে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে (Intensive care) চাষ করা হয় এবং সাধারণত প্রক্রিয়াজাত করা ছাড়াই খাওয়া যায় সেগুলোকে উদ্যান ফসল বলে। যেমন— কাঁঠাল, ফুলকপি, লাউ, পেঁয়াজ, গোলাপ ফুল প্রভৃতি।
উদ্যান ফসলের বৈশিষ্ট্য
১. তুলনামূলকভাবে বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়। যেমন- আঙুর, কমলা, কেপসিকাম ইত্যাদি।
২. অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিটি পাছকে আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া হয় (ব্যতিক্রম- শাক, মশলা ফসল)।
৩. কম জমিতে বাড়ির আশেপাশে চাষ করা হয় (ব্যতিক্রম -আলু)।
৪. সাধারণত প্রক্রিয়াজাত ছাড়াই খাওয়া হয়। যেমন- আনারস, স্ট্রবেরি, জলপাই ইত্যাদি।
৫. বেড়া নির্মাণ করার প্রয়োজন হয়।
৬. একত্রে লাগালেও ফসল ধাপে ধাপে পরিপক্ব হয় বলে ধাপে ধাপে সংগ্রহ করতে হয় (ব্যতিক্রম আলু, পেঁয়াজ, মশলা ফসল)।
৭. সাধারণত তাজা ও রসালো অবস্থাতেই ব্যবহৃত হয়। যেমন- শসা ও ফল।
৮. অধিকাংশ ফসলের ক্ষেত্রেই সেচ অপরিহার্য।
৯. মৌসুমের শুরুতে দাম বেশি থাকে। যেমন- লিচু, আম ইত্যাদি।
১০. উৎপাদন বায় তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। যেমন- স্ট্রবেরি।
১১. নিবিড় পরিচর্যায় লাভ বেশি হয়।
১২. সকল ফসল সংরক্ষণ করা যায়না (ব্যতিক্রম -মসলা)।
২. অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিটি পাছকে আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া হয় (ব্যতিক্রম- শাক, মশলা ফসল)।
৩. কম জমিতে বাড়ির আশেপাশে চাষ করা হয় (ব্যতিক্রম -আলু)।
৪. সাধারণত প্রক্রিয়াজাত ছাড়াই খাওয়া হয়। যেমন- আনারস, স্ট্রবেরি, জলপাই ইত্যাদি।
৫. বেড়া নির্মাণ করার প্রয়োজন হয়।
৬. একত্রে লাগালেও ফসল ধাপে ধাপে পরিপক্ব হয় বলে ধাপে ধাপে সংগ্রহ করতে হয় (ব্যতিক্রম আলু, পেঁয়াজ, মশলা ফসল)।
৭. সাধারণত তাজা ও রসালো অবস্থাতেই ব্যবহৃত হয়। যেমন- শসা ও ফল।
৮. অধিকাংশ ফসলের ক্ষেত্রেই সেচ অপরিহার্য।
৯. মৌসুমের শুরুতে দাম বেশি থাকে। যেমন- লিচু, আম ইত্যাদি।
১০. উৎপাদন বায় তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। যেমন- স্ট্রবেরি।
১১. নিবিড় পরিচর্যায় লাভ বেশি হয়।
১২. সকল ফসল সংরক্ষণ করা যায়না (ব্যতিক্রম -মসলা)।
উদ্যান ফসলের শ্রেণিবিভাগ
উদ্যান ফসলের ব্যবহৃত অংশ ও ব্যবহার পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
১. শাকসবজি ফসল (Vegetable crops): দেশে প্রায় ৮০ প্রজাতির সবজি চাষ করা হয়। যেমন— বেগুন , টমেটো, ডাঁটা, শিম, পটল, পালংশাক ইত্যাদি।
ব্যবহৃত অংশ অনুসারে সবজি হতে পারে-
i . পাতা জাতীয় সালশাক, বাঁধাকপি, কচুশাক, পালংশাক, পুঁইশাক ইত্যাদি।
ii. ফল জাতীয়- টমেটো, বেগুন, করলা, পটল, কাকরোল ইত্যাদি।
iii. কাণ্ড জাতীয়- ডাঁটা, কচু, লড়ি, লালশাক, কলা - বাঁশের মাইজ ইত্যাদি।
iv . কন্দ জাতীয়- আলু, ওলকচু, মেটে আলু, মূখী কচু, মানকচু ইত্যাদি।
v. মূল জাতীয়- মূলা, গাজর, শালগম ইত্যাদি।
vi. ফুল জাতীয়- ফুলকপি, ব্রোকলি, বকফুল, শাপলা ফুল ইত্যাদি।
ব্যবহৃত অংশ অনুসারে সবজি হতে পারে-
i . পাতা জাতীয় সালশাক, বাঁধাকপি, কচুশাক, পালংশাক, পুঁইশাক ইত্যাদি।
ii. ফল জাতীয়- টমেটো, বেগুন, করলা, পটল, কাকরোল ইত্যাদি।
iii. কাণ্ড জাতীয়- ডাঁটা, কচু, লড়ি, লালশাক, কলা - বাঁশের মাইজ ইত্যাদি।
iv . কন্দ জাতীয়- আলু, ওলকচু, মেটে আলু, মূখী কচু, মানকচু ইত্যাদি।
v. মূল জাতীয়- মূলা, গাজর, শালগম ইত্যাদি।
vi. ফুল জাতীয়- ফুলকপি, ব্রোকলি, বকফুল, শাপলা ফুল ইত্যাদি।
২. ফল জাতীয় ফসল (Fruit crops): দেশে প্রায় ৭০ প্রজাতির ফল চাষ করা হয়। যেমন- আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, তরমুজ, কলা, পেঁপে ইত্যাদি
৩. ফুল জাতীয় ফসল (Flower crops): দেশে প্রায় ৩০ প্রজাতির ফুল চাষ করা হয়। যেমন - গোলাপ, রজনীগন্ধা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, ইত্যাদি।
৪. মশলা জাতীয় ফসল (Spice crops): দেশে প্রায় ২০ প্রজাতির মশলা চাষ করা হয়। [তথ্যসূত্র: মগলা গবেষণা কেন্দ্র, ২০২১]। যেমন- মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, তেজপাতা, জিরা ইত্যাদি।
উদ্যান ফসলের গুরুত্ব
উদ্যান ফসল মাঠে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে বা স্বল্প পরিসরে পারিবারিক প্রয়োজনে ও শখের বশে চাষ করা হয় । পারিবারিক পুষ্টি চাহিদাসহ কাঠ ও জ্বালানি কাঠের চাহিদা পূরণ, আত্মকর্মসংস্থান, ফল ও শাকসবজি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধিতে উদ্যান ফসল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের সর্বোৎকৃষ্ট উৎস হলো ফল। ফল গাছের পাতা গরু - ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বয়স্ক ফল গাছ থেকে উন্নতমানের টিম্বার (কাঠ) উৎপাদন করা যায়। তাছাড়া যানবাহন এবং ঘরের খুঁটি তৈরির কাজে ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।
অনেক ফল ও ফল গাছের অংশ দ্বারা বিভিন্ন প্রকার অ্যালোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক ও কবিরাজী ওষুধ তৈরি হচ্ছে। বহুবিধ ব্যবহারের কারণে ফলগাছ, ফল ও ফলজাত দ্রব্যের অর্থনৈতিক অবদান ব্যক্তিগত ও জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক স্বীকৃতি লাভ করেছে । অনেক ক্ষেত্রে মাঠ ফসলের চেয়ে ফুল চাষ করলে খরচ কম এবং লাভ বেশি হয়। ফুল চাষ করে অনেক শিক্ষিত ও অশিক্ষিত লোক বেকারত্ব ও দরিদ্র্যতা দূর করছে। এমনকি ফুল রপ্তানির মাধ্যমে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।
এছাড়াও শাকসবজিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এগুলো প্রোটিনের উপযোগিতা বৃদ্ধি এবং রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। উদ্যান ফসল উৎপাদন ও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রচুর সুযোগ ও উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও এসব উদ্যান ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে মহিলাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেশের দ্রুত উন্নয়ন করা সম্ভব।