ষষ্ঠ শ্রেণি, ইসলাম ও নৈতিকশিক্ষা, প্রথম অধ্যায় (আকাইদ) || Class Six, Islam and Moral Education, Chapter 1 (Akaid)

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন: 
১. ইমানের মূলভিত্তি কী? 
উত্তর: ইমানের মূলভিত্তি হলো তাওহিদ।

২. আকাইদ কী?
উত্তর:
ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহের প্রতি বিশ্বাসই হলো আকাইদ।

৩. ইমানে মুজমাল কাকে বলে?
উত্তর :
সংক্ষেপে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করা ও আনুগত্য স্বীকার , করাকে ইমানে মুজমাল বলা হয়।

৪. আসমা শব্দের অর্থ কী? 
উত্তর : আসমা শব্দের অর্থ— নামসমূহ।

৫. রিসালাত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: রিসালাত শব্দের অর্থ হলো বার্তা, খবর, চিঠি, সংবাদবহন ইত্যাদি।

৬. 'তাওহিদ' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: তাওহিদ শব্দের অর্থ হলো- একত্ববাদ।

৭. কবর কী?
উত্তর: পরকালীন জীবনের প্রথম ধাপ বা পর্যায় হলো কবর। একে আলমে বারযাখও বলা হয়। মানুষের মৃত্যুর পর এ জীবনের শুরু হয় এবং কিয়ামত পর্যন্ত এ জীবন চলতে থাকে। 

৮. আকাইদ অর্থ কী? 
উত্তর: আকাইদ অর্থ বিশ্বাসমালা।

৯. একত্ববাদ কী?
উত্তর: আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করাকে তাওহিদ বা একত্ববাদ বলা হয়। 

১০. কালিমা তায়্যিবা অর্থ কী? 
উত্তর: কালিমা তায়্যিবা অর্থ হলো পবিত্র বাক্য।
ষষ্ঠ শ্রেণি, ইসলাম ও নৈতিকশিক্ষা, প্রথম অধ্যায় (আকাইদ)
১১. 'লা ইলাহা' অর্থ কী? 
উত্তর: লা ইলাহা অর্থ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।

১২. ইমান শব্দের অর্থ কী? 
উত্তর: ইমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস।

১৩. ইমান মুজমাল অর্থ কী? 
উত্তর: ইমান মুজমাল অর্থ সংক্ষিপ্ত বিশ্বাস।

১৪. ইমানে মুজমাল কী? 
উত্তর: সংক্ষেপে আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস করা ও আনুগত্য স্বীকার করাকে ইমানে মুজমাল বলা হয়।

১৫. হুসনা অর্থ কী? 
উত্তর: হুসনা অর্থ হলো সুন্দর।

১৬. আসমাউল হুসনা কী? 
উত্তর: আল্লাহ তায়ালার সুন্দর সুন্দর নামকে একত্রে আসমাউল হুসনা বলা হয়।

১৭. আল্লাহ তায়ালার উল্লেখযোগ্য কয়টি গুণবাচক নাম রয়েছে? 
উত্তর: আল্লাহ তায়ালার উল্লেখযোগ্য ৯৯ টি গুণবাচক নাম রয়েছে।

১৮. খালিক অর্থ কী? 
উত্তর:
খালিক অর্থ সৃষ্টিকর্তা।

১৯. মালিক অর্থ কী? 
উত্তর: মালিক অর্থ অধিকারী।

২০. কারিম অর্থ কী? 
উত্তর: কারিম অর্থ দয়াময় , মহানুভব ও উদার।

২১. আলিম অর্থ কী ? 
উত্তর: আলিম অর্থ সর্বজ্ঞ।

২২. হাকিম অর্থ কী ? 
উত্তর: হাকিম অর্থ প্রজ্ঞাময়।

২৩. রিসালাত কী ? 
উত্তর: রাসুলগণ যে কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করেন তাই রিসালাত।

২৪. নবি কারা? 
উত্তর: যাদের নিকট কোনো আসমানি কিতাব আসেনি তারা হলেন নবি।

২৫. রাসুল কারা? 
উত্তর: যাঁদের নিকট আসমানি কিতাব এসেছিল তাঁরা হলেন রাসুল।

২৬. পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা কতজন নবি - রাসুল প্রেরণ করেছেন? 
উত্তর: পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা এক লক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার নবি - রাসুল প্রেরণ করেছেন।

২৭. আখিরাত অর্থ কী? 
উত্তর: আখিরাত অর্থ হলো পরকাল।

২৮. আখিরাত কী? 
উত্তর: মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে বলা হয় আখিরাত।

২৯. আখিরাতে মানুষ কী লাভ করবে ? 
উত্তর: আখিরাতে মানুষ জান্নাত বা জাহান্নাম লাভ করবে।

৩০. আখিরাতের শস্যক্ষেত্র কী? 
উত্তর: আখিরাতের শস্যক্ষেত্র হলো দুনিয়া।

৩১. পরকালীন জীবনের প্রথম ধাপ কী?
উত্তর: পরকালীন জীবনের প্রথম ধাপ হলো কবর।

৩২. কবরে আগমনকারী দুই ফেরেশতার নাম কী? 
উত্তর: কবরে আগমনকারী দুই ফেরেশতার নাম মুনকার - নাকির।

৩৩. কবরে মৃত ব্যক্তিকে মুনকার - নাকির কয়টি প্রশ্ন করেন? 
উত্তর: কবরে মৃত ব্যক্তিকে মুনকার - নাকির তিনটি প্রশ্ন করেন।

৩৪. কিয়ামত অর্থ কী? 
উত্তর: কিয়ামত অর্থ হলো মহাপ্রলয়।

৩৫. আল্লাহর নির্দেশে শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন কে? 
উত্তর:
আল্লাহর নির্দেশে শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন ইসরাফিল (আ)।

৩৬. হাশর শব্দের অর্থ কী? 
উত্তর: হাশর শব্দের অর্থ সমাবেশ, ভিড়।


অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. কালিমা তায়্যিবা ও কালিমা শাহাদাতের অর্থ লেখ।
উত্তর: কালিমা তায়্যিবার অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই, মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর রাসুল।

কালিমা শাহাদাতের অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। তিনি একক তার কোনো শরিক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিই যে, নিশ্চয় মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।

২. তাওহিদ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: তাওহিদ আরবি শব্দ। বাংলা ভাষায় একে বলা হয় একত্ববাদ। আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করাকে তাওহিদ বা একত্ববাদ বলা হয়।

৩. নৈতিকতা এবং আকাইদের মধ্যে সম্পর্ক কীরূপ লেখ।
উত্তর: নৈতিকতা এবং আকাইদের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। নৈতিকতার শিক্ষা আকাইদের সাথে সম্পৃক্ত। আকাইদ মানুষকে নৈতিকতা অবলম্বনের জন্য তাগিদ দেয়। নৈতিকতা ব্যতীত আকাইদ সঠিক হয় না।

৪. নবি - রাসুলের পরিচয় সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তর: নবি - রাসুলগণ হলেন মহান আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ বা মনোনীত বান্দা। নবুয়ত ও রিসালাতের দায়িত্ব পালনের জন্য আল্লাহ তায়ালা তাঁদের নির্বাচিত করেছেন। যিনি নবুয়তের দায়িত্ব পালন করেন তিনি হলেন নবি। আর রিসালাতের দায়িত্ব পালনকারীকে বলা হয় রাসুল।

৫. তাওহিদে বিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর: ইমান ও ইসলামের মূলভিত্তি হলো তাওহিদ। তাওহিদে বিশ্বাস না করলে কেউ মুমিন বা মুসলিম হতে পারে না। পৃথিবীতে আগত সকল নবি - রাসুল (আ) তাওহিদের দাওয়াত দিয়েছেন। তাওহিদে বিশ্বাস মানুষকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করে। আর তাওহিদে বিশ্বাসীগণ আখিরাতে জান্নাত লাভ করবেন। প্রশ্ন 

৬. আখিরাতের পর্যায় কয়টি ও কী কী?
উত্তর: আখিরাতের পর্যায় তিনটি। যথা- করব, কিয়ামত ও হাশর। কবর হলো মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়কাল। কিয়ামত হলো ধ্বংসপর্ব। এ সময় সবকিছু ধ্বংস করা হবে এবং বিচারের জন্য পুনরুত্থিত করা হবে। আর হাশর হলো বিচারালয়। এ দিনে মানুষ নিজ কৃতকর্মের আলোকে শাস্তি পাবে অথবা স্থায়ী শান্তি লাভ করবে।

৭. "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" অর্থ আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ বা ইলাহ নেই। অর্থাৎ পৃথিবীতে ইলাহ বা ইবাদতের যোগ্য একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি ব্যতীত আর কেউ উপাস্য হতে পারে না। চন্দ্র, সূর্য, তারকারাজি, পাহাড়-পর্বত, বাঘ-সিংহ, রাজা-বাদশা কেউই ইবাদতের যোগ্য নয়। বরং এসবের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালাই হলেন একমাত্র মাবুদ।

৮. ইমান মুজমাল বলতে কী বোঝায়? 
উত্তর: ইমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস। আর মুজমাল অর্থ সংক্ষিপ্ত। অতএব, ইমান মুজমাল অর্থ সংক্ষিপ্ত বিশ্বাস। সংক্ষেপে আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস করা ও আনুগত্য স্বীকার করাকে ইমানে মুজমাল বলা হয়। 

৯. আসমাউল হুসনা বলতে কী বোঝায়? 
উত্তর: আসমাউল হুসনা আরবি শব্দ। আসমা শব্দের অর্থ নামসমূহ। আর হুসনা অর্থ সুন্দর। অতএব আসমাউল হুসনা অর্থ সুন্দর নামসমূহ। আল্লাহ তায়ালার সুন্দর সুন্দর নামকে একত্রে আসমাউল হুসনা বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা সকল গুণের আধার। আল্লাহ তায়ালার উল্লেখযোগ্য নিরানব্বইটি গুণবাচক নাম রয়েছে। এসব গুণবাচক নামই আসমাউল হুসনা।

১০. আল্লাহকে কেন মালিক বলা হয়? 
উত্তর: আল্লাহ তায়ালা সকল কিছুর মালিক। তিনি আসমান-জমিন, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা, নদী-সাগর সবকিছুর অধিপতি। সকল কিছুই তাঁর নির্দেশে পরিচালিত হয়। কোনোকিছুই তাঁর আদেশ লঙ্ঘন করে না। পশুপাখি, কীটপতঙ্গের মালিকও তিনিই। পৃথিবীতে বড়-ছোট সকল বস্তুই তাঁর মালিকানায় অন্তর্ভুক্ত। তাই আল্লাহকে মালিক বলা হয়।

১১. রিসালাত বলতে কী বোঝায় ? 
উত্তর: রিসালাত শব্দটি আরবি শব্দ। এর অর্থ বার্তা, খবর, চিঠি বা সংবাদ বাহন। রাসুলগণ যে কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করেন তাকে বলা হয় রিসালাত। আল্লাহ তায়ালা রাসুলগণকে নানা দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন। রাসুলগণের এসকল দায়িত্বকে এক কথায় রিসালাত বলা হয়।

১২. নবি ও রাসুলগণের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর: যাদের নিকট আসমানি কিতাব এসেছিল তাঁরা হলেন রাসুল। আর যাদের নিকট কোনো আসমানি কিতাব আসেনি তাঁরা হলেন নবি। নবিরা পূর্ববর্তী রাসুলের প্রচারিত (দীন, ধর্ম) প্রচার করতেন।

১৩. আল্লাহ তায়ালা কেন পৃথিবীতে নবি - রাসুল প্রেরণ করেন? 
উত্তর:
আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য নবি-রাসুল প্রেরণ করেন। নবি-রাসুলগণ আল্লাহ তায়ালার পরিচয় ও সত্য দীনের প্রচার করেন মানুষের মাঝে। মানুষের নিকট আসমানি কিতাবসমূহ পৌঁছে দিতেন। ভালো-মন্দ, ন্যায় অন্যায় ইত্যাদির পার্থক্য শিক্ষা দিতেন । উত্তম চরিত্র গঠনের জন্য আল্লাহর বিধানসমূহ হাতে-কলমে শিক্ষা দিতেন। সর্বোপরি জান্নাতে যাওয়ার পথ নির্দেশ ও জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকার পন্থা শিক্ষা দিতেন।

১৪. আখিরাত বলতে কী বোঝায়? 
উত্তর: আখিরাত অর্থ হলো পরকাল। মানুষের দুনিয়ার জীবনকে বলা হয় ইহকাল। ইহকালের পরের জীবনই হলো পরকাল। আরবিতে একে বলা হয় আখিরাত। মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে বলা হয় আখিরাত।

১৫. 'দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্যক্ষেত্র'- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর: শস্যক্ষেত্রে মানুষ যেরূপ চাষাবাদ করে যেরূপ ফসল লাভ করবে। কেউ ধান চাষ করলে ধান লাভ করে। গম চাষ করলে গম লাভ করে। তেমনি ভালো করে চাষাবাদ করলে ফসল বেশি লাভ করে। আর অলসতার কারণে চাষাবাদ না করে জমি ফেলে রাখলে সে কিছুই লাভ করে না। দুনিয়া ও আখিরাতের অবস্থাও ঠিক তেমন। দুনিয়াতে ভালো কাজ করে, আল্লাহ তায়ালার আদেশ-নিষেধ মেনে চলে সে আখিরাতে ভালো ফল লাভ করবে। আর যদি নিজ ইচ্ছামত চলাফেরা করে, অন্যায় ও পাপ করে তাহলে পরকালে কঠিন শাস্তির মুখোমুখী হবে। সুতরাং দুনিয়াতেই পরকালের প্রস্তুতি গ্রহণের সময়।

১৬. কিয়ামত বলতে কী বোঝায়? 
উত্তর: পৃথিবীতে এমন একসময় আসবে যখন মানুষ আল্লাহ তায়ালাকে ভুলে যাবে। দুনিয়াতে আল্লাহ বলার মতো কোনো লোক থাকবে না। সেসময় আল্লাহ পাক দুনিয়া ধ্বংস করে দিবেন। তাঁর নির্দেশে হযরত ইসরাফিল (আ) শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন। ফলে মহাপ্রলয় ঘটবে। এসময় দুনিয়ায় যা কিছু আছে সবই ধ্বংস হয়ে যাবে। কেবল আল্লাহ তায়ালা থাকবেন। তিনি ব্যতীত আর কেউ বিরাজমান থাকবে না। এ অবস্থাকেই বলা হয় কিয়ামত বা মহাপ্রলয়।

১৭. হাশর বলতে কী বোঝায়? 
উত্তর: হাশর শব্দের অর্থ-সমাবেশ, ভিড়, চাপ ইত্যাদি। কিয়ামতের পর বহুকাল একমাত্র আল্লাহ তায়ালা বিদ্যমান থাকবেন। অতঃপর তিনি পুনরায় সমস্ত প্রাণীকে জীবিত করবেন। তাঁর হুকুমে ইসরাফীল (আ) দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন। ফলে সকল প্রাণী পুনরায় জীবিত হবে। একে বলা হয় মৃত্যুর পর পুনরুত্থান। এসময় একজন ফেরেশতা সবাইকে আহ্বান করবেন। ফলে সকলে একটি বিশাল ময়দানে সমাবেত হবে। একে বলা হয় হাশর।

১৮. নীতিহীন মানুষের কর্মকাণ্ড ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:
নীতিহীন মানুষ পশুর সমান। পশুর কোনোরূপ নীতিবোধ নেই। সে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। ভালো-খারাপ, কল্যাণ-অকল্যাণ কোনোকিছুরই সে পরোয়া করে না। নীতিহীন মানুষও ঠিক তেমনি। সে কোনো রূপ আইনকানুন, বিধিবিধান মানে না। নিজের লাভের জন্য সে অপরের ক্ষতি সাধন করে থাকে। মিথ্যা, প্রতারণা, ধোঁকা দেওয়া, পরচর্চা ইত্যাদি তার চরিত্রে ফুটে ওঠে।


MCQ/ বহুনির্বাচনী প্রশ্ন:
১. আকাইদ কোন ভাষার শব্দ?
♦ আরবি         খ. ফারসি
গ. বাংলা         গ. উর্দু 
২. 'আকাইদ' শব্দটি-
ক. একবচন       ♦ বহুবচন
গ. দ্বি বচন         গ. নামবচন
৩. 'আকাইদ' শব্দের একবচন কী?
ক. উকুদুন              খ. আকাইদুন
♦ আকিদাহ            গ. আকাদুন
৪. 'আকিদাহ' শব্দের অর্থ কী?
♦ বিশ্বাস                 খ. বিশ্বাসমালা
গ. সংকল্প               ঘ. মৌলিকত্ব
৫. 'আকাইদ' শব্দের অর্থ কী?
ক. বিশ্বাসী            খ. বিশ্বাস
♦ বিশ্বাসমালা        ঘ. বিশ্বস্ত
৬. ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহের প্রতি বিশ্বাসকে কী বলে?
ক. ইমান              খ. কালিমা
♦ আকাইদ           ঘ. তাওহিদ
৭. ইসলামি বিশ্বাসের মূলভিত্তি কী?
ক. ইহসান          খ. সুন্নাহ
♦ আকাইদ         ঘ. ইমান
৮. ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহের প্রতি বিশ্বাসকে বলা হয়-
i. ইমান
ii. আকাইদ
iii. মুমিন
নিচের কোনটি সঠিক?
♦ i ও ii            খ. ii ও iii
গ. i ও iii           ঘ. i, ii ও iii
৯. বাংলা ভাষায় তাওহিদকে কী বলা হয়?
ক. বিশ্বাস          খ. বিশ্বাসী
গ. একতা            ♦ একত্ববাদ
১০. কে সমস্ত সৃষ্টির লালন-পালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন?
♦ আল্লাহ তায়ালা           খ. হযরত মুহাম্মদ (স.)
গ. রাজা-বাদশাগণ         ঘ. নবি-রাসুলগণ
১১. কোনটি তাওহিদে বিশ্বাসের নাম?
♦ আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়
খ. আল্লাহ ফেরেশতাদের মাধ্যমে আমাদের পরিচালনা করেন
গ. আসমান-জমিনের একাধিক নিয়ন্ত্রক আছেন
ঘ. মুহাম্মদ (স.) আমাদের নবি ও রাসুল
১২. আমরা তাওহিদে বিশ্বাস করি কেন?
ক. আল্লাহর একাধিক গুণবাচক নাম আছে বলে
খ. আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু বলে
♦ আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় বলে
ঘ. আল্লাহর অংশীদার আছে বলে
১৩. ইমানের প্রথম কথা কী?
ক. আখিরাতে বিশ্বাস                    ♦ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
গ. নবি-রাসুলগণের প্রতি বিশ্বাস     ঘ. ফেরেশতাকুলে বিশ্বাস
১৪. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের মূলকথা কোনটি?
ক. ইমান আনয়ন        খ. রিসালাত
গ. খতমে নবুয়ত         ♦ তাওহিদ
১৫. ইসলামের সকল বিধান ও সকল শিক্ষা কিসের ওপর প্রতিষ্ঠিত?
ক. আখিরাতের ওপর          ♦ তাওহিদে বিশ্বাসের ওপর
গ. হাদিসের ওপর                ঘ. কেয়ামতের ওপর
১৬. নবি-রাসুলের শিক্ষা প্রচারের ভিত্তি কী ছিল?
ক. কিয়ামত                  খ. রিসালাত
গ. আখিরাত                  ♦ তাওহিদ
১৭. সর্বশেষ নবি কে?
♦ হযরত মুহাম্মদ (স.)        খ. হযরত আদম (আ.)
গ. হযরত ইবরাহিম (আ.)    ঘ. হযরত ঈসা (আ.)
১৮. পৃথিবীতে নবি-রাসুলগণ আগমন করতেন কেন?
ক. মানুষের ভালোবাসা লাভের জন্য
♦ আল্লাহর দীন প্রচারের জন্য
গ. রাজনীতি করার জন্য
ঘ. পৃথিবীতে নেতৃত্ব দেবার জন্য
১৯. হযরত ইবরাহিম (আ.) কোন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে       খ. মূর্তিপূজক পরিবারে
গ. ব্রাহ্মণ পরিবারে                    ঘ. কৃষক পরিবারে



আমাদের সঙ্গে থাকুন প্রশ্নের কাজ চলমান....

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url