এইচ.এস.সি ভূগোল ১ম পত্র MCQ প্রশ্নের সাজেশন ১০০% কমন || Vugol 1st patra MCQ prasner sajesan 100% Common
১ম অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রাকৃতিক ভূগোলের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিষয়বস্তুর বর্ণনা।
সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রকৃতি পুনঃপুন পরিবর্তিত হচ্ছে। পৃথিবীর পরিবেশ যেসব জড় উপাদান ও সজীব উপাদান দ্বারা গঠিত তার অবস্থান, বৈশিষ্ট্য প্রভৃতি প্রাকৃতিক ভূগোলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। অর্থাৎ প্রাকৃতিক পরিবেশের বিশেষ করে বৈচিত্র্যময় ভূমিরূপ ও এর পরিবর্তন প্রক্রিয়া, বায়ুমণ্ডল, জলবায়ু ও জীবমণ্ডলের গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনা করাই হলো প্রাকৃতিক ভূগোল।
২. প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখা পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রাকৃতিক ভূগােলের ভূমিরূপবিদ্যা শাখায় পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ভূগোলের পরিধি ও বিস্তৃতি ব্যাপক। যে কারণে বিভিন্ন বিষয় আলোচনার জন্য আলাদা শাখা রয়েছে। তন্মধ্যে প্রাকৃতিক ভূগোল একটি; যেখানে প্রকৃতি থেকে সরাসরি যেসব বিষয় পাওয়া যায় তা আলোকপাত করা হয়। এ প্রাকৃতিক ভূগোলের বিস্তৃতিও অনেক। ফলে এ ভূগোলের কয়েকটি উপশাখা রয়েছে। তন্মধ্যে ভূমিরূপবিদ্যা অন্যতম। এখানে পৃথিবীর সৃষ্টি, পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ অবস্থা, ভূআলোড়ন, পাহাড়, পর্বত, নদনদীর উৎপত্তি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে। আলোচনা করা হয়।
৩. বৃষ্টিপাতের কারণ প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখার আলোচ্য বিষয়- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বৃষ্টিপাতের কারণ প্রাকৃতিক ভূগোলের জলবায়ুবিদ্যা বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত।
প্রাকৃতিক ভূগোলের যে শাখাগুলো রয়েছে তন্মধ্যে জলবাযুবিদ্যা অন্যতম। জলবায়ুবিদ্যায় যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত তা হলো, বায়ুর তাপ, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, বায়ুর আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাতের কারণ, শ্রেণিবিভাগ প্রভৃতি। তাই বলা যায়, বৃষ্টিপাতসংক্রান্ত বিষয়গুলো জলবায়ুবিদ্যা শাখার অন্তর্ভুক্ত।
৪. অশ্মমণ্ডল বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পৃথিবীর উপরিভাগকে অশ্মমণ্ডল বা শিলামণ্ডল বলে।
এটি ভূঅভ্যন্তরের উপরের অংশ। এর গভীরতা ৬০ কিমি, ঘনত্ব ২.৯, আপেক্ষি গুরুত্ব ২-৩ এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০০০ সেলসিয়াস। প্রকৃতপক্ষে এটি ভূমণ্ডলের খাড়া অংশ যা অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের ওপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। সমগ্র অশ্মমণ্ডলে সিলিকন (Si) ও ম্যাগনেসিয়াম (mg) এর প্রাধান্য থাকায় বিজ্ঞানীরা এই মণ্ডলকে সিমা। (Sima) নামে অভিহিত করেছেন।
৫. জীবমণ্ডল বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: শিলামণ্ডল, বায়ুমণ্ডল ও বারিমণ্ডলের যে অংশে জীব বসবাস করে সেই অংশকে সামগ্রিকভাবে জীবমণ্ডল বলা হয়।
জীবমণ্ডল মূলত উদ্ভিদ ও প্রাণী নিয়ে আলোচনা করে। জীবমণ্ডলের অন্তর্গত সব ধরনের প্রাণী ও উদ্ভিদ এবং এদের কার্যকলাপকে নিয়ন্ত্রণকারী সমস্ত জটিল জৈবনিক প্রক্রিয়াগুলো জীবমণ্ডলের আওতাভুক্ত।
৬. প্রাকৃতিক ভূগোল অধ্যয়নের গুরুত্ব লিখ।
উত্তর: প্রাকৃতিক ভূগোল আবহাওয়া ও জলবায়ু, মৃত্তিকা, উদ্ভিদ, প্রাণী, পানি ও এর বিভিন্ন রূপ এবং ভূমিরূপের স্থানিক ধরন আলোচনা করে থাকে।
প্রাকৃতিক ভূগোল মূলত মানুষ কীভাবে প্রকৃতির ওপর প্রভাববিস্তার করে সে বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ প্রদান করে। এর ক্ষেত্র বা পরিসরগুলো হলো— ভূমিরূপবিদ্যা, জলবায়ুবিদ্যা, সমুদ্র ভূগোল, মৃত্তিকা ভূগোল ও জীবভূগোল প্রভৃতি। প্রাকৃতিক ভূগোল উল্লিখিত বিষয়গুলো নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করে থাকে। তাই সমগ্র পৃথিবীকে জানার জন্য প্রাকৃতিক ভূগোল অধ্যয়নের গুরুত্ব রয়েছে।
৭. প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রকৃতি কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রকৃতি হলো পৃথিবীতে প্রাকৃতিক বিষয়ের মধ্যে কী ধরনের কার্যকরণ সে সম্পর্কে পর্যালোচনা করা।
সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রাকৃতিক ভূগোলের প্রকৃতি পুনঃপুন পরিবর্তিত হচ্ছে। পৃথিবীর পরিবেশ যেসব জড় উপাদান ও সজীব উপাদান দ্বারা গঠিত তার অবস্থান, বৈশিষ্ট্য প্রভৃতি প্রাকৃতিক ভূগোলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। অর্থাৎ প্রাকৃতিক পরিবেশের বিশেষ করে বৈচিত্র্যময় ভূমিরূপ ও এর পরিবর্তন প্রক্রিয়া, বায়ুমণ্ডল, জলবায়ু ও জীবমণ্ডলের গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনা করাই হলো প্রাকৃতিক ভূগোল।
৮. উপকূলীয় ভূগোল বলতে কী বোঝ?
উত্তর: বিভিন্ন দেশে সমুদ্র উপকূল ভাগ ও এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবিক বিষয় ভূগোলের যে অংশে আলোচনা করা হয় তাকেই উপকূলীয় ভূগোল বলে।
সমুদ্র উপকূলীয় মানুষের জীবন, জোয়ারভাটা প্রভাবিত ঘটনা, উপকূলীয় দুর্যোগ প্রভৃতি বিষয় এ অংশে আলোচিত হয়।
৯. অজৈব উপাদানগুলো কোন ভূগোলের অন্তর্গত? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: অজৈব উপাদানগুলো হলো ভূপ্রকৃতি, নদনদী এবং জলবায়ু। এসব উপাদান প্রাকৃতিক ভূগোলের অন্তর্ভুক্ত। তবে ভূপ্রকৃতি এবং এ নদনদী উপাদানটি প্রাকৃতিক ভূগোলের ভূমিরূপবিদ্যা শাখার এবং জলবায়ু উপাদানটি জলবায়ুবিদ্যা শাখার অন্তর্ভুক্ত।
১০. প্রাকৃতিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয়সমূহ কী কী?
উত্তর: প্রাকৃতিক ভূগোলে যেসব উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হয় তাই প্রাকৃতিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয়।
প্রাকৃতিক ভূগোলের পরিসর সাধারণভাবে প্রকৃতির স্থানিক বিশ্লেষণ অপেক্ষা অনেক বৃহত্তর। সাধারণত ভূমিরূপবিদ্যা, জলবায়ুবিদ্যা, সমুদ্রবিদ্যা, মৃত্তিকাবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিজ ভূগোল প্রভৃতি প্রাকৃতিক ভূগোলোর আলোচন্য বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখায় নদীর কার্য নিয়ে বর্ণনা রয়েছে?
ক. জলবায়ুবিদ্যা ● ভূমিরূপবিদ্যা
গ. বারিমণ্ডল ঘ. জীবমণ্ডল
২. প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখায় নদ-নদীর উৎপত্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়?
ক. পানিবিদ্যা খ. জলবায়ুবিদ্যা
গ. সমুদ্র বিদ্যা ● ভূমিরূপবিদ্যা
৩. প্রাকৃতিক ভূগোলের পরিসরের অন্তর্ভুক্ত কোনটি?
ক. জনসংখ্যা ভূগোল খ. বসতি ভূগোল
গ. কৃষি ভূগোল ● সমুদ্র ভূগোল
৪. প্রাকৃতিক ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় কোনটি?
ক. মৃত্তিকা বিশ্লেষণ খ. মহাকাশ গবেষণা
গ. জীবের উৎপত্তি ● বায়ুমণ্ডলীয় তাৎপর্য
৫. ভূমিধসের বিষয় আলোচনা করা হয়-
ক. বাস্তুবিদ্যায় ● ভূমিরূপবিদ্যায়
গ. সমুদ্রবিদ্যায় ঘ. জলবায়ুবিদ্যায়
৬. প্রাকৃতিক ভূগোলের উপাদান কোনটি?
● পানিচক্র খ. বসতি
গ. নগরায়ন ঘ. শিল্পায়ন
৭. ‘Geo’ শব্দের অর্থ কী?
● পৃথিবী খ. বর্ণনা
গ. ভূগোল ঘ. বায়ুমণ্ডল
৮. Geography শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন কে?
ক. রিচার্ড হার্টশোন খ. ই.এ ম্যাকনি
● ইরাটসথেনিস ঘ. ডাডলি স্ট্যাম্প
৯. প্রাকৃতিক ভূগোলের বৈশিষ্ট্য হলো কোনটি?
● পরিবর্তনশীলতা
খ. অপরিবর্তনশীলতা
গ. প্রাণী সম্পর্কে আলোচনা করা
ঘ. বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান
১০. প্রাকৃতিক ভূগোলের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো পৃথিবীর-
ক. নগর ও বসতি সম্পর্কে জানা
খ. প্রাকৃতিক অবয়ব অধ্যয়ন করা
গ. জনসংখ্যা ও বয়স কাঠামো জানা
● প্রাকৃতিক অবয়ব গঠন ও পরিবর্তন প্রক্রিয়া জানা
১১. নিচের কোনটি অশ্মমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত?
● শিলা ও খনিজ খ. বায়ুর উপাদান
গ.সমুদ্রস্রোত ঘ. মহীসোপান
১২. প্রাকৃতিক ভূগোলকে বিজ্ঞানের কোন শাখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
ক. পদার্থবিজ্ঞান খ. জীববিজ্ঞান
গ. রসায়ন বিজ্ঞান ● ভূবিজ্ঞান
১৩. বারিমন্ডলে আলোচ্য বিষয় কোনটি?
ক. মৃত্তিকা খ. খনিজ
● সমুদ্রস্রোত ঘ. প্রাণিজগৎ
১৪. মৃত্তিকার গঠন নিয়ে আলোচনা করে কোন ভূগোল?
ক. ভূমিরূপবিদ্যা খ. সমুদ্রবিদ্যা
গ. জলবায়ুবিদ্যা ● মৃত্তিকা ভূগোল
১৫. সাগরতলের ভূপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয় কোন ভূগোল?
ক. ভূমিরূপবিদ্যা খ. জলবায়ুবিদ্যা
● সমুদ্রবিদ্যা ঘ. মৃত্তিকা ভূগোল
১৬. যে অদৃশ্য বায়ুরাশি পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাকে কী বলে?
● বায়ুমণ্ডল খ. বারিমণ্ডল
গ. অশ্মমণ্ডল ঘ. জীবমণ্ডল
১৭. বায়ুমণ্ডলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোনটি?
ক. নদনদী ● জলবায়ু
গ. ভূমিকম্প ঘ. ভূআলোড়ন
১৮. গাঙ্গেয় সমভূমির মৃত্তিকা কীরূপ?
ক. এঁটেল। ● পলি
গ. বালি ঘ. দোআঁশ
১৯. গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের অধিকাংশ অধিবাসীদের পেশা কী?
● কৃষিজীবী। খ. মৎস্যজীবী
গ. চাকরিজীবী। ঘ. ব্যবসায়ী
২০. আগ্নেয়গিরি বিচূর্ণীভবন, নগ্নীভবন, ক্ষয়ীভবন কোন ভূগোলের বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত?
● প্রাকৃতিক ভূগোল খ. অর্থনৈতিক ভূগোল
গ. সামাজিক ভূগোল ঘ. জীবভূগোল
২১. পৃথিবীর পরিবেশ মোট কয়টি উপাদান দ্বারা গঠিত?
ক. ২টি খ. ৩টি
● ৪টি ঘ. ৫টি
২২. পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আনুমানিক বয়স কত?
ক. ২০ কোটি বছর খ. ২৫ কোটি বছর
গ. ৩০ কোটি বছর ● ৩৫ কোটি বছর
২৩. অশ্মমণ্ডল, বারিমণ্ডল ও বায়ুমণ্ডল কোন ভূগোলের অন্তর্ভুক্ত?
● প্রাকৃতিক ভূগোল খ. বাণিজ্যিক ভূগোল
গ. অর্থনৈতিক ভূগোল ঘ. কোনোটি নয়
২৪. পৃথিবীর গতি কয়টি?
ক. ৮টি খ. ৬টি
গ. ৪টি ● ২টি
২৫. আধুনিক শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় কী?
● খনিজ পদার্থ খ. জৈব পদার্থ
গ. রাসায়নিক পদার্থ ঘ. অজৈব পদার্থ
২৬. প্রাণিজগৎ কীসের উৎস?
● খাদ্যের উৎস খ. শিক্ষার উৎস
গ. চিকিৎসার উৎস ঘ. সম্পদের উৎস
২৭. জীবমণ্ডল গঠিত হয়েছে — নিয়ে।
i. উদ্ভিদ
ii. মৃত্তিকা
iii. প্রাণী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
২৮. প্রাকৃতিক ভূগোলের আওতাভুক্ত-
i. অশুমণ্ডল
ii. গুরুমণ্ডল
iii. বারিমণ্ডল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
২৯. প্রাকৃতিক ভূগোলের উপাদান-
i. নদনদী
ii. মৃত্তিকা
iii. জলবায়ু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৩০. জলবায়ুবিদ্যার আলোচ্য বিষয়-
i. বায়ুর উপাদান
ii. হিমবাহের কার্য
iii. বৃষ্টিপাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii৩১. জীবভূগোলে আলোচনা করা হয়-
i. উদ্ভিদের উৎপত্তি
ii. উদ্ভিদের ক্রমবিকাশ
iii. উদ্ভিদের বিন্যাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iiiসুমনের ভাই পৃথিবীর জলবায়ু সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন পৃথিবীর জলবায়ু সম্পর্কে জানতে হলে প্রাকৃতিক ভূগোলের একটি শাখা অধ্যয়নের প্রয়োজন।
উপরের উদ্দীপকটি পড়ে ৩২ ও ৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৩২. উদ্দীপকে সুমনের ভাই প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখার কথা বলেছেন?
ক. ভূমিরূপবিদ্যা ● জলবায়ুবিদ্যা
গ. সমুদ্রবিদ্যা ঘ. জীব ভূগোল
৩৩. উক্ত শাখা অধ্যয়নে জানা যায়-
i. বায়ুমণ্ডলের গভীরতা
ii. বায়ুপ্রবাহের কারণ
iii. বায়ুর শ্রেণিবিভাগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iiiউদ্ভিদের উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ, পরিবেশের ওপর উদ্ভিদের প্রভাব, কোথায় কোন ধরনের উদ্ভিদ ভালো জন্মে ইত্যাদি বিষয় প্রাকৃতিক ভূগোলের নির্দিষ্ট একটি শাখায় আলোচনা করা হয়।
উপরের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৪ ও ৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৩৪. উদ্দীপকে প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখার কথা বলা হয়েছে?
● জীবভূগোল। খ. মৃত্তিকা ভূগোল
গ. ভূমিরূপবিদ্যা ঘ. পরিবেশ ভূগোল
৩৫. ভূপৃষ্ঠের সাত ভাগের কত ভাগ পানিরাশি দ্বারা আবৃত্ত?
ক.৩ ভাগ খ. ৪ ভাগ
● ৫ ভাগ ঘ. ৭ ভাগ
বারিতত্ত্বে পানির উৎস ও বন্টন সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়। পৃথিবীর সাগর ও মহাসাগরে মোট পানির অধিকাংশ পানিই বিরাজ করছে। বারিতত্ত্বে পৃথিবীর সম্পূর্ণ পানি নিয়ে যে পানিচক্র তা আলোচনা করা হয়।
উপরের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৬ ও ৩৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
৩৬. পৃথিবীপৃষ্ঠের শতকরা কত ভাগ পানি?
ক. ৭৯ ● ৭১
গ. ৬৮ ঘ. ৫০
৩৭. পানিচক্র বলতে কী বোঝায়?
● পানির রূপান্তরের মাধ্যমে স্থানান্তর খ. খনিজ গঠন প্রক্রিয়া।
গ. সঞ্চয়জাত সমভূমি ঘ. পর্বতের অবস্থান
৩৮. ভূপৃষ্ঠের পরিবর্তনের বিভিন্ন শক্তিসমূহের কার্যক্রম হলো-
i. ভূমিকম্প
ii. আগ্নেয়গিরি ও বিচূর্ণীভবন
iii. জলবায়ু
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৩৯. কোনটি প্রাকৃতিক ভূগোলের অন্তর্গত?
ক. জনসংখ্যা খ. পরিবার
● বায়ুপ্রবাহ ঘ.পাট শিল্প
৪০. সমুদ্রবিদ্যার উপাদান নয় কোনটি?
ক. মহাসাগর
খ. মহীসোপান
● ভূমিকম্প
ঘ. সমুদ্রস্রোত
৪১. প্রাকৃতিক ভূগোল মূলত কয়টি শাখায় বিভক্ত?
ক. ২টি খ. ৩টি
● ৪টি ঘ. ৫টি
৪২. প্রাকৃতিক ভূগোলের পরিসরভুক্ত হলো-
i. পৃথিবীর কেন্দ্র হতে ভূত্বক পর্যন্ত
ii. ভূত্বক হতে উর্ধ্বে বায়ুমণ্ডলের শেষ সীমা পর্যন্ত
iii. ভূমিরূপ ও ঘূর্ণিঝড়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৩. কোন ভূগোলবিদ মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিক ভূগোলের ভূমিকার ওপর অধিক গুরুত্ব দেন?
ক. ইমানুয়েল কান্ট খ. কার্ল রিটার
● র্যাটজেল এবং সেম্পল ঘ. রিচার্ড হার্টশোন
৪৪. কোন ভূগোলকে ভূবিজ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
ক. অর্থনৈতিক ● প্রাকৃতিক
গ. মানব ঘ. রাজনৈতিক
৪৫. প্রাকৃতিক উপাদানসমূহের আঞ্চলিক তারতম্য বিশ্লেষণকে কী বলে?
ক. গাণিতিক ভূগোল ● প্রাকৃতিক ভূগোল
গ. মানব ভূগোল ঘ. অর্থনৈতিক ভূগোল
৪৬. ভূতত্ত্বে কোনটি অধ্যয়ন করা হয়?
● ভূপৃষ্ঠ খ. সমুদ্র তলদেশ
গ. তাপমাত্রা ঘ. বার্ষিক গতি
৪৭. সোহানদের ভূগোল ক্লাসে আজ আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল জোয়ারভাটা। এ বিষয়টি প্রাকৃতিক ভূগোলের কোন শাখার অন্তর্ভুক্ত?
ক. জলবায়ুবিদ্যা খ. মৃত্তিকাবিজ্ঞান
● সমুদ্রবিজ্ঞান ঘ. ভূমিরূপবিদ্যা
৪৮. ভূগোলবিদগণ প্রাকৃতিক বিষয়গুলোকে প্রকাশ করার জন্য পৃথক শাখা হিসেবে কোন ভূগোলের আত্মপ্রকাশ ঘটান?
ক. গাণিতিক খ. আঞ্চলিক
গ. মানব ● প্রাকৃতিক
৪৯. প্রাকৃতিক ভূগোল অধ্যয়নের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় কী?
● পৃথিবীর প্রাকৃতিক অবয়ব খ. নগর সম্পর্কিত
গ. অর্থনীতি বিষয়ক ঘ. মানব বসতি
৫০. ভূগোলের কোন অংশে ভূত্বকের ইতিহাস ও গঠন অনুসন্ধান করা হয়?
ক. জীবভূগোলে খ. পরিবেশবিদ্যায়
● ভূমিরূপতত্ত্বে ঘ. জলবায়ুবিদ্যায়
২য় অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. প্লাইস্টোসিনকালের সোপান কী? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলে।
উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এ অঞ্চলের অন্তর্গত। প্লাইস্টোসিনকালে এসব সোপান গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
২. মোহহাবিযুক্তি রেখা কী?
উত্তর: ভূত্বক ও গুরুমণ্ডল পৃথককারী শিলাস্তর হলো মোহোবিযুক্তি রেখা।
ভূকম্পন তরঙ্গের মাধ্যমে জানা যায় অশ্মমণ্ডল ও গুরুমণ্ডলের মধ্যে একটি পাতলা স্তর আছে যা ১৯০৯ সালে সার্বিয়ার ভূকম্পনবিদ মোহোরোভিসিক প্রথম আবিষ্কার করেন। তাঁর নামানুসারে এ স্তরটিকে মোহোবিযুক্তি রেখা বলা হয়।
৩. মালভূমির গঠন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মালভূমি গঠনের সাথে ভূ-আলোড়ন, ভূপৃষ্ঠের ক্ষয় প্রক্রিয়া এবং লাভা সঞ্চয় প্রক্রিয়া জড়িত।
পর্বত গঠনের সময় ভূআলোড়নের ফলে বিস্তীর্ণ ভূভাগ উঁচু হয়ে মালভূমি সৃষ্টি করে। আবার উঁচু ভূভাগ প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মালভূমিতে পরিণত হয়। এছাড়াও মহাদেশীয় উঁচু ভূমিতে লাভা সঞ্চিত হয়ে মালভূমি গঠিত হয়ে থাকে।
৪. ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে শিলায় ঢেউয়ের মত ভাঁজ পড়ে যে পর্বত সৃষ্টি হয় তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে।
গিরিজনি আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়েছে। ভূভাগের স্থান পরিবর্তনের ফলে প্রান্তভাগের অংশবিশেষে ভজের সৃষ্টি হয়ে এ পর্বত গঠিত হয়। ভঙ্গিল পর্বতে সুউচ্চ শৃঙ্গ থাকে, যা অন্যান্য পর্বতে কম দেখা যায়। এ পর্বত স্তরযুক্ত নরম পাললিক শিলা দ্বারা গঠিত। এ পর্বতে জীবাশ্মের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। পৃথিবীর দীর্ঘ ও উচ্চতম পর্বতগুলো এ শ্রেণির । রকি, হিমালয় ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ।
৫. গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশের উপর দিয়ে গ্রীষ্মকালে উষ্ণ ও আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়।
গ্রীষ্মকালে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক হতে শুষ্ক ও শীতল বায়ু প্রবাহিত হয়। গ্রীষ্মকালে এ দুই বায়ুর সংঘর্ষে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টি হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালীন গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫১ সেমি।
৬. ভঙ্গিল পর্বত কীভাবে সৃষ্টি হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ভঙ্গিল পর্বত প্রধানত পাললিক শিলা দ্বারা গঠিত। তবে, পরিচালন স্রোতের মাধ্যমে বিভিন্ন পাতের চলনই ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির প্রধান কারণ। দীর্ঘদিন ধরে অগভীর সমুদ্র বা মহাখাত অঞ্চলের তলদেশে পলি সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয়। পরে এ পাললিক শিলা বিভিন্ন পার্শ্বচাপ ও প্রাকৃতিক ক্রিয়ায় ফলে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি করে। নেপালের হিমালয় ভঙ্গিল পর্বতের অন্তর্ভুক্ত।
৭. বাংলাদেশের টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ভঁজগ্রস্ত কেন?
উত্তর: বাংলাদেশের টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ভঙ্গিল পর্বতমালা থেকে সৃষ্টি হওয়ার কারণে এটি ভাঁজগ্রস্ত হয়েছে।টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় উক্ত ভাঁজ আকৃতির ভূমিরূপ দেখা যায়। আমরা জানি, হিমালয় পর্বত ভঁজের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এ পর্বতের নিচের দিকে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলের দিকে এসে ভাঁজের সৃষ্টি করেছে। এ কারণে বাংলাদেশের টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ ভাঁজগ্রস্ত।
৮. অ্যাসথেনোস্ফিয়ার বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বহিঃগুরুমণ্ডল স্তরের নমনীয় অংশকে অ্যাসথেনোস্ফিয়ার বা নমনীয়মণ্ডল বলে।
গঠন উপাদানের গুরুত্বের তারতম্য অনুসারে গুরুমণ্ডলকে দুটি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা- বহিঃগুরুমণ্ডল ও অন্তঃগুরুমণ্ডল। বহিঃগুরুমণ্ডলের স্তরটি ১০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। ক্রোমিয়াম, লোহা, সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম দ্বারা গঠিত বলে একে ক্রোফেসিমা (Cro-Fe-Si-Ma) বলা হয়। এ স্তরেই নমনীয় মণ্ডল (Astheno Sphere) অবস্থিত।
৯. কেন্দ্রমণ্ডলের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর: পৃথিবীর কেন্দ্রের চারিদিকে প্রায় ৩,৪৮৬ কিমি. ব্যাসার্ধের এক গোলক অবস্থিত। এ গোলকটির নাম কেন্দ্রমণ্ডল। কেন্দ্রম-লটি গুরুম-ল (২৮৮৫ কিমি) থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র (৬,৩৭১ কিমি) পর্যন্ত বিস্তৃত। গুটেনবার্গ বিযুক্তি থেকে এর গভীরতা ৩,৪৮৬ ৪ কিমি। এর মূল উপাদান নিকেল ও লোহা। তবে পারদ ও সিসার মতো ভারী ধাতুও কেন্দ্রমণ্ডলে বিদ্যমান। এর তাপমাত্রা স্থানভেলে ৩,০০০°-৫,০০০° সে. বা তারও বেশি।
১০. স্তূপ পর্বত সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ভূআলোড়নের ফলে ভূত্বকের স্থানচ্যুতি ঘটে। ভূত্বকের এ স্থানচ্যুতি কোথাও উপরের দিকে হয়, আবার কখনো নিম্নগামী হয়। চ্যুতি বরাবর ঊর্ধ্বগামী শিলাস্তুপকে স্তূপ পর্বত বলে।
এ ধরনের পর্বতের অন্তত একপাশে উঁচু কোণবিশিষ্ট স্বাভাবিক চ্যুতি থাকে। ভূআলোড়নের সময় ভূপৃষ্ঠে যে টানজনিত চাপ পড়ে তাতে ভূত্বকে ফাটলের সৃষ্টি হয়। ব্ল্যাক ফরেস্ট, ভোজ, নীলগিরি ও আন্ন্যামালি এ পর্বতের অন্তর্ভুক্ত।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. ভূপৃষ্ঠের কঠিন আবরণ কী নামে পরিচিত?
ক. শিলা ● ভূত্বক
গ. মৃত্তিকা ঘ. প্রস্তর
২. হিমালয় পর্বতের ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক?
ক. আগ্নেয় শিলায় গঠিত খ. চ্যুতি-স্তূপ শ্রেণি
গ. জীবশ্ম পাওয়া যায় না ● ভাঁজবিশিষ্ট
৩. বাংলাদেশের কোন অঞ্চল সোপান শ্রেণির ভূমিরূপের অন্তর্গত?
ক. পঞ্চগড় ● নওগাঁ
গ. বরগুনা ঘ. রাঙামাটি
৪. সিয়াল (SIAL) স্তর কোনটি?
ক. কেন্দ্রমণ্ডল খ. গুরুমণ্ডল
● অশ্মমণ্ডল ঘ. বারিমন্ডল
৫. ইন্দোনেশিয়ার জাভা মালভূমি কোন শ্রেণির?
ক. ক্ষয়জাত ● আগ্নেয়জাত
গ. পর্বত-মধ্যবর্তী ঘ. মহাদেশীয় শিল্ডস
৬. হাওয়াই দ্বীপের মনালোয়া কোন ধরনের পর্বত?
● আগ্নেয় খ. জঙ্গিল
গ. গম্বুজ ঘ. ক্ষয়জাত
৭. স্রোতজ সমভূমি কোনটি?
ক. মেঘনা অববাহিকা খ. যমুনার চরাঞ্চল
গ. ফরিদপুর অঞ্চল ● সুন্দরবন অঞ্চল
৮. পামীর মালভূমি কোন মহাদেশে অবস্থিত?
ক. অস্ট্রেলিয়া খ. আফ্রিকা
গ. ইউরোপ ● এশিয়া
৯. জাপানের ফুজিয়ামা কোন ধরনের পর্বত?
ক. জঙ্গিল খ. ক্ষয়জাত
● সঞ্চয়জাত ঘ. ল্যাকোলিথ
১০. বাংলাদেশের গারো পাহাড় অবস্থিত-
i. রাঙ্গামাটিতে
ii. ময়মনসিংহে
iii. শেরপুরে
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i ও ii খ. i ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১১. অশন্ডল ও গুরুমণ্ডল বিচ্ছেদকারী তাকে কী বলে?
ক. কনরাড বিযুক্তি ● মোহা বিযুক্তি
গ. উইচার্ট বিযুক্তি ঘ. গুটেনবার্গ বিযুক্তি
১২. হিমালয় কোন ধরনের পর্বত?
● ভঙ্গিল খ. আগ্নেয়
গ. চ্যুতি-স্তূপ ঘ. ক্ষয়জাত
রায়াদের বাড়ী বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে যা আনুমানিক এক লক্ষ বছর পূর্ব গঠিত সোপান ভূমি। এখানে আনারস, কলা ও কাঁঠাল অধিক উৎপন্ন হয়।
উপরের উদ্দীপকটি পড়ে ১৩ ও ১৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
১৩. রায়াদের বাড়ি কোন যুগে গঠিত?
● প্লাইস্টোসিন খ. ওলিগোসিন
গ. মায়োসিন ঘ. ইয়োসিন
১৪. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত অঞ্চলের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-
i. প্লাবন ভূমি
ii. মৃত্তিকা লালচে বর্ণের
iii. গজারি বন দ্বারা আবৃত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১৫. কোনটি ইউরোপের পর্বতমালা?
● আল্পস্ খ. আন্দিজ
গ. রকি ঘ. হিমালয়
১৬. লালমাই পাহাড়ের আয়তন কত বর্গকিলোমিটার?
ক. ১৪ খ. ২৪
● ৩৪ ঘ. ৪৪
১৭. মোচাকৃতি পর্বত কোনটি?
ক. ভঙ্গিল পর্বত ● আগ্নেয় পর্বত
গ. পর্বত ঘ. ল্যাকোলিত পর্বত
১৮. ভূত্বকের শিলাস্তর কত প্রকার?
● ২ খ. ৩
গ. ৪ ঘ. ৫
১৯. সৌরজগতের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ কোনটি?
ক. বুধ খ. শুক্র
● পৃথিবী ঘ. মঙ্গল
২০. পৃথিবীর কেন্দ্রের উত্তাপ কত ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড?
ক. ২৫০০° খ. ৩০০০°
গ. ৪৫০০° ● ৬০০০°
২১. মোহোররাভিসিক বিযুক্তিরেখা কখন আবিষ্কৃত হয়?
ক. ১৯২১ ● ১৯০৯
গ. ১৯১২ ঘ. ১৯১৫
২২. বলিভিয়া কোন জাতীয় মালভূমি?
● পর্বতবেষ্টিত খ. পাদদেশীয়
গ. মহাদেশীয় ঘ. ক্ষয়প্রাপ্ত
২৩. কেন্দ্রমণ্ডলের প্রধান উপাদান কোনটি?
● নিকেল ও লোহা
খ. সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম
গ. অ্যালুমিনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম
ঘ. অ্যালুমিনিয়াম ও সিলিকন
২৪. পর্বত সাধারণত কত মিটারের বেশি উঁচু হয়?
ক. ৫০০ খ. ৬০০
গ. ৭০০ ● ১০০০
২৫. পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ কোনটি?
ক অস্ট্রেলিয়া ● বাংলাদেশ
গ. ফিনল্যান্ড ঘ. মালদ্বীপ
২৬. কিলিমানজারো পর্বতের শীর্ষদেশ বরফাবৃত্ত কেন?
ক. অক্ষাংশের জন্য খ. ভূমির ঢালের জন্য
● উচ্চতার কারণে ঘ. সমুদ্র থেকে দূরত্বের কারণে
২৭. কোন জাতীয় পর্বতের চ্যুতিরেখা দেখা যায়?
● ভঙ্গিল পর্বত খ. আগ্নেয় পর্বত
গ. স্কুপ পর্বত ঘ. ল্যাকোলিথ পর্বত
২৮. হেনরি ও ব্ল্যাক হিলস কোন জাতীয় পর্বত?
ক. ভাজ পর্বত খ. সঞ্চয়জাত পর্বত
গ. স্কুপ পর্বত ● ল্যাকোলিথ পর্বত
২৯. পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চ্যুতিকূপ পর্বত দেখা যায়-
ক. উত্তর আফ্রিকায় ● পূর্ব আফ্রিকায়
গ. উত্তর আমেরিকায় ঘ. দক্ষিণ আমেরিকায়
৩০. দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী উন্নত ভূভাগকে বলে-
ক. ভাজ পর্বত। ● চ্যুতি-স্তূপ পর্বত
গ. সঞ্চয়জাত পর্বত ঘ. ল্যাকোলিথ পর্বত
৩১. কোনটি লাভা গঠিত মালভূমি?
ক. ফিজেন্ড খ. তিব্বত
গ. কলোরাডো ● কলম্বিয়া
৩২. কলম্বিয়া মালভূমি কোথায়?
ক. উত্তর আমেরিকা ● দক্ষিণ আমেরিকা
গ. ভারত ঘ. পশ্চিম আফ্রিকা
৩৩. সমভূমি উন্নীত মালভূমি-
● তিব্বত মালভূমি খ. কলম্বিয়া মালভূমি
গ. সাহারা মালভূমি ঘ. ফিজেন্ড মালভূমি
৩৪. কলোরাডো মালভূমি কোথায়?
● উত্তর আমেরিকা খ. দক্ষিণ আমেরিকা
গ. আফ্রিকা ঘ. ভারত
৩৫. তিব্বত মালভূমির আয়তন কত?
ক. ৬ লক্ষ বর্গ মাইল খ. ৭ লক্ষ বর্গ মাইল
● ৮ লক্ষ বর্গ মাইল ঘ. ৯ লক্ষ বর্গ মাইল
৩৬. ভূত্বকের বহির্ভূত উপাদান হলো-
i. অক্সিজেন
ii. সিলিকন
iii. কার্বন ডাইঅক্সাইড
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৩৭. ল্যাকোলিথ পর্বতের বৈশিষ্ট্য-
i. গম্বুজাকৃতির
ii. শৃঙ্গ থাকে না
iii. ঢাল খাড়া হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৩৮. আগ্নের পর্বতের বৈশিষ্ট্য-
i. মোচাকৃতি
ii. ঢাল মাঝারি
iii. চ্যুতি রেখা
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৩৯. মালভূমি সৃষ্টির কারণ-
i. ভূআন্দোলন
ii. ভূপৃষ্ঠের ক্ষয়সাধন
iii. ভূপৃষ্ঠে লাভা সঞ্চয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪০. মহাদেশীয় মালভূমি হলো-
i. স্পেন
ii. অস্ট্রেলিয়া
iii. গ্রিনল্যান্ড
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪১. ক্ষয়জাত সমভূমির বৈশিষ্ট্য হলো-
i. মৃত্তিকার আবরণ বেশি পুরু হয় না
ii. কৃষি কাজের জন্য উপযোগী নয়
iii. বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪২. পলি সঞ্চিত সমভূমি-
i. মিসিসিপি অববাহিকা
ii. নীল নদের অববাহিকা
iii. হোয়াংহো অববাহিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৩. প্লাবন সমভূমির উদাহরণ-
i. সিন্ধু
ii. গঙ্গা
iii. হোয়াংহো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৪. ভূত্বক কোন দুটি স্তরে বিভক্ত?
● সিয়াল ও সিমা খ. সিমা ও ক্রোফেসিয়া
গ. সিমা ও নিফেসিয়া ঘ. ক্রোফেসিয়া ও নিফেসিয়া
৪৫. কেন্দ্রমণ্ডলের প্রধান উপাদান কী কী?
● নিকেল ও লোহা খ. সিলিকন ও অ্যালুমিনিয়াম
গ. সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম ঘ. অ্যালুমিনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম
৪৬. গুরুমণ্ডলীয় স্তরটি কত কিলোমিটার পুরু?
ক. ২২৭০ কিমি. খ. ১২১৬ কিমি.
● ২৮৮৫ কিমি. ঘ. ৩৪৮৬ কিমি.
৪৭. কেন্দ্রমণ্ডলের পুরুত্ব বা ব্যাসার্ধ কত?
ক. ২২৭০ কিমি. খ. ২২০০ কিমি.
গ. ২৮৮৫ কিমি. ● ৩৪৮৬ কিমি.
৪৮. সমুদ্র সমতল হতে অতি উচ্চ বিস্তীর্ণ সমভূমিকে কী বলে?
ক. পর্বত ● মালভূমি
গ. সমভূমি ঘ. ল্যাকোলিথ পর্বত
৪৯. কোন ধরনের পর্বত স্তর ও জীবাশ্মবিশিষ্ট?
● ভঙ্গিল পর্বত খ. ক্ষয়জাত পর্বত
গ. ল্যাকোলিথ পর্বত ঘ. আগ্নেয় পর্বত
৫০. সমোন্নতি রেখা সমান দূরত্বে অবস্থান করলে কীরূপ ঢাল হয়?
ক. উত্তল খ. অবতল
● সুসম ঢাল ঘ. তরঙ্গিত ঢাল
৩য় অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. সুনামি সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সমুদ্রতলদেশের ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস, নভোজাগতিক ঘটনা প্রভৃতি কারণে সুনামির সৃষ্টি হয়।
সাধারণত সমুদ্রতলদেশের ভূমিকম্প আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সমুদ্রের তলদেশের বিশাল জলরাশি সরে যায় এবং সমুদ্রের পানিতে প্রচ- ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় যা সুনামি নামে পরিচিত। এছাড়া পাত সাঞ্চলনের কারণে সৃষ্ট ভূমিকম্পের কারণেও সমুদ্রের বিশাল জলরাশি সরে যায় এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা পানি আরও ফুলে ওঠে লক্ষ লক্ষ টনের বিশাল ঢেউ তৈরি করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসে যা সুনামি নামে পরিচিত।
২. ভূপৃষ্ঠের ধীর পরিবর্তনকারী শক্তি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের পরিবর্তন সৃষ্টিকারী শক্তিসমূহের মধ্যে ধীর পরিবর্তন অন্যতম। ধারিগতির শক্তিসমূহের ভূমিরূপের পরিবর্তন দীর্ঘ সময় ব্যাপি সংঘটিত হয়। ধীর গতির শক্তিসমূহ প্রধানত প্রাকৃতিক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এ প্রাকৃতিক শক্তিসমূহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্নভাবে করে। ধীরগতির শক্তিসমূহ চারটি প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয় যেমন-
১. বিচূর্ণীভবন,
২. অপসারণ,
৩. নগ্নীভবন ও
৪. অবক্ষেপণ।
৩. “আবহাওয়ার তারতম্য বিচূর্ণীভবনের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নানা ধরনের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিলাসমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়াকে বিচূর্ণীভবন বলে।
আবহাওয়ার তারতম্যের ফলে বিচূর্ণীভবন সংঘটিত হতে পারে। দিন-রাত্রির ও ঋতুভেদে উষ্ণতার পার্থক্যের কারণে শিলাসমূহ অসমানভাবে প্রসারিত ও সংকুচিত হয়। এর ফলে বিচূর্ণীভবন ক্রিয়া সংঘটিত হয়।
আবার তুষারের দ্বারাও বিচূর্ণীভবন হয়ে থাকে। যেহেতু উষ্ণতার তারতম্য ও তুষারপাত আবহাওয়ার অংশ।
৪. ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ভূগর্ভের অভ্যন্তরের শিলার চাপের ফলে ভূপৃষ্ঠে উঁচু ও নিচু অবস্থার সৃষ্টি হয়, যাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে।বিস্তৃত ও সুউচ্চ অনেক পর্বতের সমন্বয়ে ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়। এ পর্বতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভাঁজ। সাধারণত অভ্যন্তরের তলদেশে যেখানে একটি শিলাম-লের প্লেট, পার্শ্ববর্তী প্লেটের তলদেশে ঢুকে পড়ে সে বরাবর বিপুল পরিমাণ পলি এসে জমা হতে থাকে এসব পলি এক পর্যায়ে প্রবল পার্শ্বচাপের কারণে কোথাও ঊর্ধ্বভাবান সঙ্গেই নিম্নভাজের সৃষ্টি করে।
৫. হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ কোন প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে সৃষ্টি হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে সৃষ্টি হয়েছে।
সমুদ্রগর্ভে বহু আগ্নেয়গিরি আছে। এসব আগ্নেয়গিরির লাভা সমুদ্রের তলদেশে সঞ্চিত হয়ে তথায় পর্বতের মতো উঁচু হয়ে উঠে। এরূপ পর্বতের উঁচু অংশ পানির উপর জেগে উঠে দ্বীপের সৃষ্টি হয় যা অগ্ন্যুৎপাতজনিত দ্বীপ নামে পরিচিত। পৃথিবীর মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরেই অধিক অগ্ন্যুৎপাতজাত দ্বীপ দেখা যায়। এ মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ বৃহত্তম অগ্ন্যুৎপাতজাত দ্বীপ।
৬. যেসব আগ্নেয়গিরি হতে বিস্ফোরণ ঘটেই চলেছে তাকে কোন জাতীয় আগ্নেয়গিরি বলে? – ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যেসব আগ্নেয়গিরি হতে বিস্ফোরণ ঘটেই চলেছে তাকে সক্রিয় অবিরাম আগ্নেয়গিরি বলে।জন্ম হতে এখন পর্যন্ত সক্রিয় অবিরাম আগ্নেয়গিরি হতে বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে। এ জাতীয় আগ্নেয়গিরির তলদেশে ম্যাগমা প্রকোষ্ঠ সাধারণত বৃহদাকার হয়। যেমন-ক্যালিফোর্নিয়ার লাসেনপিক।
৭. নদীর কোন ধরনের ক্ষয়কার্যের ফলে ইংরেজি ‘ভি’ অক্ষরের ন্যায় রূপ ধারণ করে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নদীর পানি প্রবাহ ক্ষয়কার্যের ফলে নদীর উপত্যকা অনেকটা ইংরেজি ভি আকৃতির হয়। নদী পর্বত থেকে প্রবলবেগে নামার সময় স্রোত বড় বড় শিলাখ- বহন করে নিম্নদিকে অগ্রসর হয়। ফলে নদীর ও পার্শ্ব ক্ষয় অপেক্ষা উল্লম্ব ক্ষয় বেশি হয়। এভাবে ক্রমশ ক্ষয়ের ফলে নদীর উপত্যকা ইংরেজি ‘ভি’ আকৃতি ধারণ করে।
৮. বিচূর্ণীভবন ও নগ্নীভবনের পার্থক্য লেখ।
উত্তর: বিচূর্ণীকরণ ও নগ্নীভবনের সাথে বৈশিষ্ট্যগত কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। শিলারাশির চূর্ণবিচূর্ণ ও বিশ্লিষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়াকে বিচূর্ণীভবন বলে। বিচূর্ণীভবনের ফলে ভূত্বকের উপরিস্তরের শিলা ভেঙেচুরে শিথিল হয়ে পড়ে কিন্তু অপসারিত হয় না। অন্যদিকে, বিচূর্ণীভবনের সময় শিলা চূর্ণবিচূর্ণ ও বিশ্লিষ্ট হয় এবং পরে ক্ষয়ীভবনের দ্বারা এ শিলা অপসারিত হলে নিচের শিলারাশি নগ্ন হয়ে পড়ে। এরূপ কার্যকে বলা হয় নগ্নীভবন।
৯. নদী শাসন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: নদীর ওপর মানুষ তার প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থাপনা সৃষ্টি করে। এভাবে নদীর ওপর বাঁধ বা সেতু নির্মাণকালে নদী প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থাপনা নির্মাণে নদী প্রবাহের বাধা উপেক্ষা করে নদীর স্বাভাবিক গতিকে নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাই নদী শাসন। অর্থাৎ নদী শাসন মানুষের প্রযুক্তিগত নির্মাণ ও অবকাঠামোর ফল।
১০. বিচূর্ণীভবন কী কী প্রক্রিয়ায় কাজ করে?
উত্তর: শিলারাশির চূর্ণবিচূর্ণ ও বিশ্লিষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়াকে বিচূর্ণীভবন বলে।
বিচূর্ণীভবনের ফলে ভূত্বকের উপরিভাগের শিলা ভেঙেচুরে শিথিল হয়ে পড়ে। ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র প্রতিনিয়ত আবহাওয়ার যে পরিবর্তন দেখা যায় প্রধানত তার ফলেই শিলাস্তর ভেঙে চুর্ণবিচূর্ণ হয়। বিচূর্ণীভবন মূলত তিনটি প্রক্রিয়ায় কাজ করে থাকে। যেমন-
১. যান্ত্রিক বা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায়;
২. রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় এবং
৩. জৈবিক প্রক্রিয়ায়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. নদীর গভীরতা বৃদ্ধির কারণ কোনটি?
ক. পার্শ্বক্ষয়ের ফলে ● তলদেশ ক্ষয়ের দরুন
গ. স্রোতের বেগ কমলে ঘ. ঢাল হ্রাসের ফলে
২. লৌহ কোন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বিচূর্ণীভূত হয়?
● অক্সিডেশন খ. সলিউশন
গ. কার্বনেশন ঘ. হাইড্রেশন
৩. যমুনা নদীর উৎপত্তি কোথায়?
ক. গঙ্গোত্রী হিমবাহে খ. নাগা-মনিপুরে
গ. লুসাই পাহাড়ে ● মানস সরোবরে
৪. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে বদ্বীপ অবস্থিত?
ক. উত্তর-পূর্ব খ. উত্তর-পশ্চিম
গ. দক্ষিণ-পূর্ব ● দক্ষিণ-পশ্চিম
৫. পার্বত্য এলাকায় নদীর পানি হঠাৎ খাড়া ঢালে নিচে পতিত হলে তাকে কী বলে?
ক. কাসকেড খ. খরস্রোত
● জলপ্রপাত ঘ. গিরিখাত
৬. পৃথিবীর ভূত্বক কয়টি বৃহৎ প্লেট দ্বারা গঠিত?
ক. ৫ ● ৭
গ. ৯ ঘ. ১১
৭. সাঙ্গু নদী বাংলাদেশের কোন ভূপ্রকৃতি অঞ্চলের অন্তর্গত?
ক. উপকূলীয় ভূমি খ. বরেন্দ্র ভূমি
গ. প্লাবন ভূমি ● পাহাড়ি ভূমি
আলী মিয়া তার গ্রামের বাড়িতে এবং কৃষিজমিতে প্রায়ই কিছু ছোট ছোট গর্ত দেখতে পায় এবং গর্তগুলোর চারপাশে মাটি জমানো থাকে।
উপরের উদ্দীপকটি পড় এবং ৮ ও ৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
৮. উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি-
ক. নগ্নীভবন ● বিচূর্ণীভবন
গ. ক্ষয়ীভবন ঘ. অপসারণ
৯. উদ্দীপকে প্রক্রিয়াটির ভূমিকা পালনকারী প্রভাবক হচ্ছে-
i. অণুজীব
ii. কীটপতঙ্গ
iii. জীবজন্তু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১০. সমভূমি অঞ্চলের নদী উপত্যকা-
i. প্রশস্ত হয়
ii. গভীর হয়
iii. সংকীর্ণ হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
● i খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১১. পদ্মা নদীর উৎপত্তি কোথায়?
ক. মানস সরোবরে খ. লুসাই পাহাড়ে
গ. নাগা-মনিপুরে ● গাঙ্গোত্রী হিমবাহে
১২. পাত-সঞ্চলন মতবাদ প্রদান করেন কে?
● লি পিনচন খ. ডাললি স্ট্যাম্প
গ. ইরাটসথেনিস ঘ. রিচার্ড হার্টশোন
১৩. ফরাসি ভূবিজ্ঞানী জেভিয়ার লি পিনচন কত সালে পাত-সঞ্চালন মতবাদ প্রদান করেন?
ক. ১৯৬১ খ. ১৯৬৩
গ. ১৯৬৭ ● ১৯৬৮
১৪. ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপক যন্ত্র কে আবিষ্কার করেন?
ক. জেভিয়ার লি পিনচন খ. আলেকজান্ডার হামবোল্ড
● রিখটার ঘ. হার্টশোন
১৫. রিখটার স্কেলের মাধ্যমে কী পরিমাপ করা হয়?
ক. বারিপাত ● ভূমিকম্পের তীব্রতা
গ. বায়ুপ্রবাহের গতি ঘ. স্রোতের তীব্রতা
১৬. নিচের কোন অঞ্চলে ভূমিকম্প বেশি হয়?
● ভঙ্গিল পর্বত ও আগ্নেয়গিরি খ. বনভূমি ও পাহাড়ি
গ. সমভূমি ও মালভূমি ঘ. বনভূমি ও সমভূমি
১৭. সুনামি শব্দের অর্থ কী?
● ঢেউ খ. চোখ
গ. ঝড় ঘ. বন্যা
১৮. পৃথিবীতে কতটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে?
ক. ৩৫০ খ. ৫০০
গ. ৫১৬ ● ৫২৯
১৯. দুটি পাত স্থানচ্যুত হলে তাদের সীমান্তে ভূপৃষ্ঠের চাপ কেমন হয়?
● কমে যায় খ. বেড়ে যায়
গ. অপরিবর্তিত থাকে ঘ. কমতে কিংবা বাড়তে পারে
২০. পৃথিবীর ভূমিরূপ বিন্যাসে প্লেটের কোন গতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ?
ক. সম্প্রসারণ গতি ● সংকোচন গতি
গ. পার্শ্বীয় গতি ঘ. উর্ধ্বগতি
২১. মহাদেশীয় প্লেট যদি মিলানো যায় তাহলে দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব প্রান্তের সাথে মিলবে-
● আফ্রিকার পশ্চিম প্রান্ত খ. ইউরোপের পশ্চিম প্রান্ত
গ. আফ্রিকার পূর্ব প্রান্ত ঘ. ইউরোপের পূর্ব প্রান্ত
২২. সৃষ্টির শুরুতে পৃথিবী কোন অবস্থায় ছিল?
ক. কঠিন খ. তরল
● বায়বীয় ঘ. কঠিন ও বায়বীয়
২৩. নিচের কোনটির কারণে ভূমিরূপের আকস্মিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়?
● আগ্নেয়গিরি খ. হিমবাহ
গ. সমুদ্রস্রোত ঘ. তুহিন
২৪. নিচের কোন শক্তির প্রভাবে ভূমিরূপের ধীর পরিবর্তন হয়?
ক. আগ্নেয়গিরি খ. ভূমিকম্প
গ. ভূগর্ভের চাপ ● তুহিন
২৫. রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা যায় কত পর্যন্ত?
ক. ১ থেকে ৮ খ. ১ থেকে ৯
● ১ থেকে ১০ ঘ. ১ থেকে ১২
২৬. মার্সেলির স্কেলের সাহায্যে ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা যায় কত পর্যন্ত?
ক. ১ থেকে ৮ খ. ১ থেকে ৯
গ. ১ থেকে ১০ ● ১ থেকে ১২
২৭. সি.এফ রিখটার ভূমিকম্পের তীব্রতা নির্ণয়ের স্কেল আবিষ্কার করেন কত সালে?
ক. ১৯৩০ খ. ১৯৩১
● ১৯৩৫ ঘ. ১৯৩৬
২৮. মার্সেলি ভূমিকম্পের তীব্রতা নির্ণয়ের স্কেল আবিষ্কার করেন কত সালে?
ক. ১৯৩০ ● ১৯৩১
গ. ১৯৩৫ ঘ. ১৯৩৬
২৯. পৃথিবীর শতকরা ৫০ ভাগ ভূমিকম্প সংঘটিত হয় কোন এলাকায়?
● ভঙ্গিল পার্বত্য এলাকা খ. খাড়া উপকূলীয় অঞ্চল
গ. প্রণব ভূমি অঞ্চল ঘ. সমুদ্রগর্ভে
৩০. ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি কোথায়?
ক. জাপান ● ইতালি
গ. চীন ঘ. ইন্দোনেশিয়া
৩১. জাপানের ফুজিয়ামা কোন ধরনের আগ্নেয়গিরি?
ক. সক্রিয় বিস্ফোরক খ. সক্রিয় অবিরাম
গ. সক্রিয় সবিরাম ● সুপ্ত আগ্নেয়গিরি
৩২. ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি কোথায়?
● ইন্দোনেশিয়া খ. জাপান
গ. ইতালি ঘ. মেক্সিকো
৩৩. যেসব আগ্নেয়গিরি হতে বহুকাল অগ্ন্যুৎপাত হয়নি এবং হবে না তাকে বলে-
ক. সুপ্ত আগ্নেয়গিরি ● মৃত আগ্নেয়গিরি
গ. শান্ত সক্রিয় ঘ. শান্ত মৃত
৩৪. সক্রিয় সবিরাম আগ্নেয়গিরির উদাহর-
ক. লাসেন পিক ● ভিসুভিয়াস
গ. ফুজিয়ামা ঘ. ম্যানোলোয়া
৩৫. পৃথিবীর সর্ববৃহৎ আগ্নেয় পর্বত মাউন্টনোয়া কোন মণ্ডলে?
● প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল খ. ইউরোশিয়া অঞ্চল
গ. আটলান্টিক অঞ্চল ঘ. ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল
৩৬. আগ্নেয় মেঘলা মালার মতো ঘিরে রেখেছে কোনটিকে?
ক. আটলান্টিক মহাসাগরকে ● প্রশান্ত মহাসাগরকে
গ. ইউরেশিয়া অঞ্চলকে ঘ. ভারত মহাসাগরকে
৩৭. ভিসুভিয়াস আগ্নেয় পর্বতমালা কোন বলয়ে?
ক. প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ● ইউরেশিয়া অঞ্চল
গ. আটলান্টিক অঞ্চল ঘ. ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল
৩৮. সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প সংঘটিত হলে তাকে কী বলে?
ক. ভূআলোড়ন ● সুনামি
গ. অগ্ন্যুৎপাত ঘ. ভূমিকম্প
৩৯. সুনামি শব্দটি কোন দেশী শব্দ?
● জাপানি খ. দেশি
গ. চীনা ঘ. ওলন্দাজ
৪০. প্লাবন সমভূমি এলাকা কোনটি?
ক. চট্টগ্রাম খ. দিনাজপুর
● যশোর ঘ. ময়মনসিংহ
৪১. পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল-
ক. আসামের লুসাই পাহাড় খ. মিজোরামের লুসাই পাহাড়
গ. কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর ● হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ
৪২. পদ্মার শাখা নদী কোনটি?
● মধুমতি খ. ধলেশ্বরী
গ. বুড়িগঙ্গা ঘ. ব্রহ্মপুত্র
৪৩. যমুনা নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়?
ক. হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ
খ. আসামের লুসাই পাহাড়
● কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর
ঘ. তিব্বতের কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর
৪৪. বুড়িগঙ্গা কোন নদীর শাখা নদী?
ক. পদ্মা খ. মেঘনা
● যমুনা ঘ. ব্রহ্মপুত্র
৪৫. মেঘনা নদীর উপনদী কোনটি?
● ধলেশ্বরী খ. করতোয়া
গ. তিস্তা ঘ. মহাগগা
৪৬. বাংলাদেশের জলসীমায় উৎপত্তি লাভ করে বাংলাদেশের জলসীমায় সমাপ্তি ঘটেছে কোন নদী?
ক. গোমতি খ. কর্ণফুলী
গ. ডাকাতিয়া ● হালদা
৪৭. নদীর সয়জাত ভূমিরূপ নয় কোনটি?
ক. প্লাবন সমভূমি খ. পলল কোণ
গ. পলল পাখা ● জলপ্রপাত
৪৮. আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় নির্গত হয়-
i. প্রবলবেগে লাভা
ii. প্রবলবেগে কাদা
iii. প্রবলবেগে বাম্প
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৯. প্লেটের গতির কারণ-
i. পরিচলন স্রোত
ii. ধাক্কা পদ্ধতি
iii. আকর্ষণ পদ্ধতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৫০. পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপের ফলে ভূঅভ্যন্তরের উপরিভাগে যে ধরনের পরিবর্তন তা হলো-
i. ভূআলোড়ন
ii. ভূমিকম্প
iii. ভূমিধস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪র্থ অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. জীবের জন্য বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর অধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জীবের বেঁচে থাকার জন্য বায়ুমণ্ডলের ট্রপোমণ্ডল স্তরটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এটি বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। এ স্তরে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বনডাইঅক্সাইড, ধূলিকণা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে যা প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য খুবই প্রয়োজন। এছাড়া এ স্তরে মেঘ, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ, কুয়াশা, ঝড়, বজ্রবিদ্যুৎ প্রভৃতি সবকিছুই ঘটে। পৃথিবীর বায়ুম-লের শতকরা ৮০ ভাগ বায়ু এ স্তর ধারণ করায় এ স্তরের নিচে উদ্ভিদ ও প্রাণীর অস্তিত্ব দেখা যায়। তাই ট্রপোমণ্ডল স্তরটি জীবের। বেঁচে থাকার জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
২. গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি বায়ুদূষণের সাথে সম্পর্কযুক্ত ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি বায়ুদূষণের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
গাড়ির কালো ধোঁয়া বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। যে কারণে গ্রাম এলের তুলনায় শহরের বায়ুদূষণ বেশি হয়। গাড়ির সংখ্যা যত বৃদ্ধি ও ততই কালো ধোঁয়া আকাশে বেশি ছড়াবে এবং বায়ুদূষণ বৃদ্ধি তাই বলা যায়, গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি বায়ুদূষণের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
৩. জীবের বেঁচে থাকার জন্য বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর অধিক গুরুত্বপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জীবের বেঁচে থাকার জন্য ট্রপোমণ্ডল অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ট্রপোমণ্ডল বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন এ স্তরটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ কিমি ঊর্ধ্ব পর্যন্ত বিস্তৃত। এ স্তরে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন-ডাইঅক্সাইড, ধূলিকণা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে যা প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য খুবই প্রয়োজন।
৪. জীবের প্রোটিনজাতীয় খাদ্য প্রস্তুতে সাহায্য করে যে গ্যাস তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জীবের প্রোটিনজাতীয় খাদ্য প্রস্তুতে সাহায্য করে নাইট্রোজেন গ্যাস।
নাইট্রোজেন বায়ুমণ্ডলের স্থির গ্যাস। বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এটি বায়ুমণ্ডলের নিষ্ক্রিয় গ্যাস। বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৭৮.০৮%। এ গ্যাস বায়ুর আয়তন বৃদ্ধি ও আক্সজেনকে পাতলা করতে সাহায্য করে।
৫. সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শোষণকারী স্তরটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণকারী স্তরটি হচ্ছে ওজোনোস্ফিয়ার।
ওজোন স্তরটির প্রভাবে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকে। কারণ, এ স্তর না থাকলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির দহনে প্রাণীর দেহ পুড়ে যেত এবং সমস্ত প্রাণিকুল অন্ধ হয়ে যেত। এ স্তর সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শোষণ করায় এখানে তাপ ৭৬° সে. পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তাই ওজোনস্তরের কোনো ক্ষতি হলে বা এটি ফুটো হলে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি ভূপৃষ্ঠে চলে আসবে এবং তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাবে। এতে প্রাণিজগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।
৬. বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন গ্যাসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বায়ুম-লে যেসব গ্যাসীয় উপাদান আছে তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস হলো অক্সিজেন।
অক্সিজেন গ্যাস না থাকলে জীবকূলের অস্তিত্ব টিকে থাকতো না। বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন গ্যাসের পরিমাণ ২০.৭১ ভাগ। এ গ্যাস প্রাণীদের শ্বসনকাজে, শক্তি ও উত্তাপ বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়। ভূত্বকের শিলা গঠনকারী খনিজের সাথে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সহজেই মিশ্রিত হয়ে বিচূর্ণীভবনে অংশগ্রহণ করে। প্রাণীকূলের বেচে থাকার জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য। তাই বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন গ্যাস ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ।
৭. সমমণ্ডল বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে প্রায় ৯০ কি.মি. পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলের রাসায়নিক গঠন বিশেষ করে বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত প্রয় একই ধরনের থাকে। এজন্য বায়ুমণ্ডলের স্তরটিকে সমমণ্ডল বলে।
বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাসের মধ্যে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি।
৮. বায়ুদূষণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: বায়ুর স্বাভাবিক অবস্থার নেতিবাচক পরিবর্তনকেই বায়ুদূষণ বলে।
মানুষের বিভিন্ন অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ডের ফলে প্রকৃতিতে বায়ুদূষণ সংঘটিত হয়। এর ফলে জীবকুলের স্বাভাবিক জীবনধারা বাধাগ্রস্ত হয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়।
৯. কী কী কারণে বায়ুদূষণ ঘটে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বায়ুমণ্ডলের মধ্যে যখন দূষিত ধোঁয়া, গ্যাস, বাম্প ইত্যাদি অনিষ্টকর উপাদানের সমাবেশ ঘটে এবং যার দরুন মানুষ, জীবজন্তু ও উদ্ভিদজগতের ক্ষতি হয়, তখন তাকে বায়ুদূষণ বলে।
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে উথিত লাভা ভূপৃষ্ঠের আশেপাশের বায়ুকে দূষিত করে। এছাড়া মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ডে বায়ু বেশি পরিমাণে দূষিত হয়। যেমন মোটর যানবাহন, শিল্পকারখানা, পাওয়ার প্লান্ট, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন (CFC), আবর্জনাসমূহ; মোটর যানবাহন থেকে হাইড্রোকার্বন, ইটভাটার ধোঁয়া প্রভৃতি।
১০. বাতাসে CO2, এর পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে কেন?
উত্তর: CO2, একটি গ্রিনহাউস গ্যাস।
শ্বসন ক্রিয়াকালে সকল জীব CO2, গ্যাস বাতাসে ত্যাগ করে এবং সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় CO2, গ্যাস গ্রহণ করে। বনভূমি ধ্বংস ও গাছপালা নির্বিচারে নিধনের কারণে জীবকুলের ত্যাগ করা সবটুকু CO2, গ্যাস সবুজ উদ্ভিদ গ্রহণ করতে পারে না। যে কারণে বাতাসে CO2, গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. ট্রপোমন্ডলের বৈশিষ্ট্য কোনটি?
ক. বায়ুর উষ্ণতা দ্রুত বৃদ্ধি খ. বেতার তরঙ্গের প্রতিফলন
গ. অতি বেগুনি রশ্মি শোষণ ● উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে তাপের হ্রাস
২. সৌরপর্দা বলা হয় কোন স্তরকে?
● ওজোন খ. নাইট্রোজেন
গ. হিলিয়াম ঘ. হাইড্রোজেন
৩. বায়ুদূষণের কারণ হলো
i. গাছপালা আগুনে পোড়ানো
ii. তেজস্ক্রিয় পদার্থ নির্গমন
iii. প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৪. বায়ুতে অক্সিজেনের শতকরা হার কত?
ক. ১৫ খ. ১৭
গ. ১৯ ● ২১
৫. বায়ুদূষণ প্রতিরোধে কার্যকরী হলো
i. বনায়ন কার্যক্রম জোরদার করা
ii. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা
iii. যানবাহন নির্গত দূষিত গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৬. বায়ুমণ্ডলের ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন স্তর কোনটি?
● ট্রপোস্ফিয়ার খ. স্ট্রাটোস্ফিয়ার
গ. থার্মোস্ফিয়ার ঘ. এক্সোস্ফিয়ার
৭. কোনটি বায়ুদূষণের স্থির উৎস নয়?
ক. রেফ্রিজারেটর শিল্প খ. তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র
গ. শিল্প প্রক্রিয়াকরণ ● পরিবহন স্থল, জল ও আকাশপথে
৮. বায়ুমণ্ডলের রাসায়নিক গঠন ও বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত যেখানে প্রায় সমান থাকে তাকে কী বলে?
● সমমণ্ডল খ. বিষমমণ্ডল
গ. ওজোননাস্ফিয়ার ঘ. মেসোস্ফিয়ার
৯. উদ্ভিদ ও জীবজগতের জন্য বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরটি উত্তম?
● ট্রপোস্ফিয়ার খ. স্ট্রাটোস্ফিয়ার
গ. থার্মোস্ফিয়ার ঘ. এক্সোস্ফিয়ার
১০. কোন দুটি গ্যাস বায়ুমণ্ডলের ৯৯ ভাগ স্থান দখল করে আছে?
ক. অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড
● নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন
গ. নাইট্রোজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড
ঘ. অক্সিজেন ও আরগন
১১. বায়ুমণ্ডলে বিষমমণ্ডলের অবস্থান কোথায়?
ক. ৬০-৬৫ কি. মি. ঊর্ধ্বে খ. ৭০-৭৫ কি. মি. ঊর্ধ্বে
গ. ৮০-৮৫ কি. মি. ঊর্ধ্বে ● ৮৫-৯০ কি. মি. ঊর্ধ্বে
১২. ভূপৃষ্ঠ থেকে কত কি. মি. পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলের গঠনকারী গ্যাসের অনুপাত প্রায় সমান থাকে?
ক. ৭০ কি. মি. উর্ধ্বে খ. ৭৫ কি. মি. ঊর্র্ধ্বে
গ. ৮০ কি. মি. ঊর্ধ্বে ● ৯০ কি. মি. ঊর্ধ্বে
১৩. তাপমাত্রার তারতম্য অনুসারে বায়ুমন্ডলকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. ২ খ. ৩
● ৫ ঘ. ৬
১৪. কোনটি বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর?
ক. ট্রপোস্ফিয়ার ● স্ট্রাটোস্ফিয়ার
গ. থার্মোস্ফিয়ার ঘ. এক্সোস্ফিয়ার
১৫. কোনটি নিস্ক্রিয় গ্যাস?
ক. নাইট্রোজেন খ. অক্সিজেন
গ. কার্বন ডাইঅক্সাইড ● আর্গন
১৬. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরের কারণে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি ভূপৃষ্ঠে আসতে পারে না?
● ওজোনোস্ফিয়ার খ. মেসোস্ফিয়ার
গ. থার্মোস্ফিয়ার ঘ. এক্সোস্ফিয়ার
১৭. বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয় কোন স্তরের কারণে?
ক. ওজোনোস্ফিয়ার খ. মেসোস্ফিয়ার
গ. থার্মোস্ফিয়ার ● আয়নোস্ফিয়ার
১৮. অণু-পরমাণুগুলো সবসময় ঊধর্ব দিকে উখিত হয় বলে ঝরনা স্তর বলে-
ক. ম্যাগনেটোস্ফিয়ারকে ● এক্সোস্ফিয়ারকে
গ. ওজোনোস্ফিয়াকে ঘ. মেসোস্ফিয়ারকে
১৯. ইলেকট্রন ও প্রোটন আয়নগুলো বলয়াকারে অবস্থান করে
ক স্টাটোস্ফিয়ার স্তরে খ. থার্মোস্ফিয়ার স্তরে
গ. এক্সোস্ফিয়ার স্তরে ● ম্যাগনেটোস্ফিয়ার স্তরে
২০. মৃত্তিকা দূষিত হয় কোন দূষক দ্বারা?
● ধূলিকণা ও ভাইরাস খ. মিথাইল আয়োডাইড
গ. কার্বন মনোঅক্সাইড ঘ. নাইট্রোজেন অক্সাইড
২১. নাইট্রোজেন অক্সাইড-এর সংকেত কোনটি?
ক. CO ● NO2
গ. SO2 ঘ. NO
২২. এমফাইসিমার প্রধান কারণ কোনটি?
● ধূমপান খ. অতিরিক্ত পরিশ্রম
গ. ওজন গ্যাস ঘ. সালফার অক্সাইড
২৩. জীবাশ্ম জ্বালানি কোনটি?
ক. সৌরশক্তি খ. বায়ুশক্তি
● প্রাকৃতিক গ্যাস ঘ. জৈব গ্যাস
২৪. বায়ুমণ্ডলের মূল উপাদান কয়টি?
● ৩ খ. ৪
গ. ৫ ঘ. ৬
২৫. পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ুর জন্য দায়ী কোনটি?
ক. অশ্মমণ্ডল খ. বারিমণ্ডল
● বায়ুমণ্ডল ঘ. জীবমণ্ডল
২৬. বায়ুমন্ডলে CO2 গ্যাসের পরিমাণ কত শতাংশ?
ক. ০.০৯% ● ০.০৩%
গ. ০.০৫% ঘ. ০.০৪%
২৭. ওজোন গ্যাসের সংকেত কোনটি?
ক. N2 খ. O2
● O3 ঘ. CO2
২৮. স্ট্রাটোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বসীমাকে কী বলা হয়?
ক. ঐপোসীমা ● স্ট্রাটোসীমা
গ. মেসোপজ ঘ. ট্রলোপজ
২৯. মহাকাশ থেকে যেসব উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে সেগুলো কোন স্তরে এসে ভস্মীভূত হয়?
ক. স্ট্রটোস্ফিয়ার ● মেসোস্ফিয়ার
গ. থার্মোস্ফিয়ার ঘ. এক্সোস্ফিয়ার
৩০. বায়ুমন্ডলে কোন স্তরটিতে চার্জিত কণিকার উপস্থিতি রয়েছে?
ক. ট্রপোস্ফিয়ার খ. ওজোন স্তর
গ. মেসোস্ফিয়ার ● অক্সিজেন স্তর
৩১. বায়ুর উষ্ণতা দ্রুত বৃদ্ধি পায় বলে আয়নোস্কিয়ারকে কী বলা হয়?
● থার্মোস্ফিয়ার খ. ম্যাগনেটোস্ফিয়ার
গ. মেসোস্ফিয়ার ঘ. এক্সোস্ফিয়ার
৩২. গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এ মুখ্য ভূমিকা পালন করছে কোন গ্যাস?
ক. O2 খ. CO
গ. O3 ● CO2
৩৩. সালোকসংশ্লেষণে কোনটি প্রয়োজন হয়?
ক. অক্সিজেন খ. নাইট্রোজেন
● কার্বন ডাইঅক্সাইড ঘ. পানি
৩৪. কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া বায়ু থেকে কোন উপাদান সংগ্রহ করে?
ক. NO2 খ. CO2
● N2 ঘ. O2
৩৫. কোন গ্যাসটি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না?
ক. কার্বন মনোঅক্সাইড ● আর্গন
গ. কার্বন ডাইঅক্সাইড ঘ. ফসফরাস
৩৬. জলীয়বাম্পের পরিমাণ স্থান ও ঋতুভেদে কত পরিবর্তিত হয়?
ক. ৫-১২% খ. ১০-১৫%
গ. ১৪-২০% ● ০-৫%
৩৭. কোন গ্যাস বায়ুর আয়তন বৃদ্ধি ও অক্সিজেনকে পাতলা করতে সহায়তা করে?
● নাইট্রোজেন খ. কার্বন ডাইঅক্সাইড
গ. ওজোন ঘ. অক্সিজেন
৩৮. বায়ুমন্ডলে শতকরা কত ভাগ নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন-
ক. ৯২ ● ৯৯
গ. ৭৮ ঘ. ২৫
৩৯. বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে অবস্থান করে-
ক. লবণ কণিকা খ. ধূলিকণা
● জলীয়বাষ্প ঘ. জৈব ও অজৈব কণিকা
৪০. তাপমাত্রা বেশি হলে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কীরূপ হবে?
ক. বাড়ে ● কমে
গ. পরিবর্তন হয় ঘ. একই থাকে
৪১. কোনটির উপস্থিতে বায়ুমণ্ডলের ঘনীভবন প্রক্রিয়া চলে?
ক. লবণ কণিকার খ. জৈব ও অজৈব কণিকার
● জলীয়বাষ্পের ঘ. ধূলিকণার
৪২. বায়ুম-লের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো-
● জলীয়বাষ্প খ. অক্সিজেন
গ. নাইট্রোজেন ঘ. কার্বন ডাইঅক্সাইড
৪৩. ঊর্ধ্ব বায়ুস্তরে O3 (ওজোন) গ্যাসের অবস্থান কোথায়?
ক. ৮০-১২০ কিমি. এর মধ্যে খ. ৩০-৫০ কিমি এর মধ্যে
● ৩০-৬০ কিমি. এর মধ্যে ঘ. ৭০-৮০ কিমি. এর মধ্যে
৪৪.কাঠ, কয়লা, খনিজ তেল ইত্যাদি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করায় বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ-
ক. স্থির থাকে ● বেড়ে যায়
গ. কমে যায় ঘ. স্বাভাবিক থাকে
৪৫. বায়ুমণ্ডলের মূল উপাদান
ক. ৭টি খ. ৫টি
● ৩টি ঘ. ৮টি
৪৬. সমমণ্ডল ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে কত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত?
● ৯০ কিমি. খ. ৮০ কিমি.
গ. ৭০ কিমি ঘ. ৬০ কিমি.
৪৭. ভূপৃষ্ঠ থেকে ঊর্ধ্বে কত হতে কত কিমি. পর্যন্ত স্ট্রাটোস্ফিয়ার বিস্তৃত?
ক. ১৮-৯০ ● ১৮-৮০
গ. ১৮-৭০ ঘ. ১৮-৬০
৪৮. সকল গ্যাসের পরিমাণ সমান থাকে-
ক. ওজোনমণ্ডলে খ. আয়নমণ্ডলে
গ. বিষমমণ্ডলে ● সমমণ্ডলে
৪৯. কোন অঞ্চলে বিমান চলাচল করে?
● সমোষ্ণ অঙুলে খ. স্ট্রাটোপজ অলে
গ. উষ্ণ অঞ্চলে ঘ. ট্রপোপজ অঞ্চলে
৫০. বায়ু স্থির থাকে কোন অংশে?
ক. ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে ● ট্রলোপজে
গ. মেসোপজে ঘ. স্ট্রাটোসীমায়
৫ম অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. ফেরেলের সূত্র বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: সমুদ্রস্রোত এবং বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। এ বেঁকে যাওয়াই ফেরেলের সূত্র নামে পরিচিত।
ফেরেলের সূত্র দ্বারা প্রমাণ করে যে, আহ্নিক গতিতে পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে। এ সূত্র অনুসারে অয়ন বায়ু উত্তর গোলার্ধে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। নিরক্ষরেখা অতিক্রম করলে ফেরেলের সূত্র অনুসারে দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ুর গতি বেঁকে দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে উত্তর পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়।
২. বায়ুর তাপমাত্রা জলবায়ুর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বায়ুর উষ্ণ ও শীতল অবস্থাকে বায়ুর তাপমাত্রা বলে।
তাপমাত্রার পরিমাপের উপর কোনো স্থানের জলবায়ু বহুলাংশে নির্ভরশীল। তাপমাত্রা বেশি হলে অলটিতে উষ্ণ জলবায়ু বিরাজ করে। আবার তাপমাত্রা খুব কম বা মধ্যম হলে অঞ্চলটিতে যথাক্রমে মেরুদেশীয় অথবা নাতিশীতোষ্ণ বায়র সৃষ্টি হয়। এজন্য তাপমাত্রা জলবায়ুর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত।
৩. সমুদ্র বায়ু সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: স্থলভাগ ও জলভাগের তাপ গ্রহণ ও সংরক্ষণ ক্ষমতার তারতম্যের ফলেই সমুদ্র বায়ুর উৎপত্তি হয়।
দিনের বেলায় সৌরতাপে তীরবর্তী স্থলভাগ সমুদ্রের পানি অপেক্ষা শীঘ্র ও অধিক উত্তপ্ত হয়। উত্তপ্ত স্থলভাগের সংস্পর্শে বায়ু উষ্ণ ও হালকা হয়ে উপরে ওঠে এবং তথায় নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এ সময় বায়ুচাপের সমতা রক্ষার্থে সমুদ্র হতে শীতল ও উচ্চচাপ বিশিষ্ট বায়ু স্থলভাগের দিকে প্রভাবিত হয়ে সমুদ্রবায়ুর সৃষ্টি হয়।
৪. বায়ুর আর্দ্রতা কী বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: বায়ুতে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিকে বায়ুর আর্দ্রতা বলে।
বায়ু নির্দিষ্ট পরিমাণ জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে। কিন্তু বায়র উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তার জলীয়বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় বায়ু যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে। সে পরিমাণ জলীয়বাষ্প বায়ুতে থাকলে বায়ু আর অধিক জলীয়বাষ্প গ্রহণ করতে পারে না। আবায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ থাকে প্রায় শতকরা ২ ভাগ থেকে ৫ ভাগ।
৫. আবহাওয়ার উপাদান ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুর তাপ, চাপ, আর্দ্রতা, মেঘাচ্ছন্নতা, বৃষ্টিপাত ও বায়ু প্রবাহের দৈনন্দিন সামগ্রিক অবস্থাকে সেই দিনের আবহাওয়া বলে। আবহাওয়ার উপাদান বলতে বায়ুর তাপ, বায়ুর চাপ, বায়ু প্রবাহ, বায়ুর আর্দ্রতা, বারিপাত ইত্যাদিকে বোঝায়। কোনো স্থানের আবহাওয়ার উপাদানগুলো সব সময় পরিবর্তনশীল।
৬. নিম্নচাপ সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কোনো স্থানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। সাগরে বৃষ্টিপাতের ফলে তা সুপ্ততাপ ছেড়ে দেয়। যা বাস্পীভবন বাড়িয়ে দেয়। আবার এই সুপ্ততাপের প্রভাবে বায়ুম-লের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। ফলে বায়ুমণ্ডল অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে এবং নিম্নচাপের সৃষ্টি করে।
৭. আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কে নেমে গেলে কোন অবস্থার সৃষ্টি হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কে নেমে গেলে শিশির পড়ে।
বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয়ুবাষ্প থাকে, তাতে বায়ু সম্পৃক্ত হয় না। যদি – কোনো স্থানের বায়ুকে ধীরে ধীরে শীতল করা যায় তাতে উষ্ণতা একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌছালে বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প থাকে, তাতেই ঐ স্থানের বায়ু পরিপূক্ত হয়। এতে শিশিরের সৃষ্টি হয় এবং এ অবস্থাকে শিশিরাঙ্ক বলে। আর্দ্র বায়ুতে ২-৫ শতাংশ জলীয়বাষ্প থাকে। এটি তাপ বিকিরণ করে ধীরে ধীরে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে শিশির আকারে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। তাই বলা যায়, আর্দ্র বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কে নেমে গেলে শিশির পড়ে।
৮. আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্য লেখ।
উত্তর: আবহাওয়া হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের নির্দিষ্ট সময়ের। বায়ুম-লের তাপমাত্রা, বায়ুর চাপ, বায়ুর প্রবাহ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি অবস্থা।
অপরদিকে, জলবায়ু বলতে একটি বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে আবহাওয়ার উপাদানগুলো যেমন- বায়ুর তাপ, চাপ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদির অন্তত ৩০-৩৫ বছরের যে গড় অবস্থা দেখা যায় তাকে বোঝায়।
৯. বায়ুপ্রবাহ কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের তাপ ও চাপের তারতম্যই বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টির কারণ।
সাধারণত নিম্নচাপ অঞ্চলের বায়ু সর্বদাই উষ্ণ ও. লঘু হয়ে উপরে উঠে যায়। আর উচ্চচাপবিশিষ্ট অঞ্চলের বায়ু সর্বদাই উষ্ণ শূন্যস্থান পূরণার্থে সেদিকে ধাবিত হয়। ভূপৃষ্ঠে বায়ুর চাপের শূন্যস্থান পূরণে তখন, আশপাশের উচ্চচাপ অঞ্চল হতে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে। আবার উষ্ণতার তারতম্যের জন্য বায়ুচাপে এ তারতম্য সৃষ্টি হয় এবং এ কারণে বায়ু প্রবাহের সৃষ্টি হয়।
১০. উষ্ণমণ্ডল বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নিরক্ষরেখার দুদিকে অর্থাৎ উত্তরে ২৩ ১০২ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩ ১০২ দক্ষিণ অক্ষাংশ পর্যন্ত স্থানকে উষ্ণম-ল বলা হয়।এ অঞ্চলে বছরের অধিকাংশ সময় সূর্যরশ্মি প্রায় খাড়াভাবে পড়ে এবং কোনো সময়ই দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্যরে মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য হয় না।
এ অঞ্চলটির উত্তর সীমায় কর্কটক্রান্তি রেখা এবং দক্ষিণ সীমায় মকরক্রান্তি রেখায় অবস্থিত। অঞ্চলটির বার্ষিক গয় উষ্ণতার পরিমাণ হলো ২৪° সে.।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. সবচেয়ে উঁচুতে গঠিত মেঘ কোনটি?
ক. স্তর ● পালক
গ. স্তূপ ঘ. পুঞ্জ
২. বিভিন্ন স্থানের জলবায়ুর ভিন্নতার কারণ-
i. অক্ষাংশগত অবস্থান
ii. প্রাণিকুলের আধিক্য
iii. উচ্চতার প্রভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৩. বায়ুতে কীসের উপস্থিতি আর্দ্রতা নির্দেশ করে?
● জলীয়বাষ্প খ. কুয়াশা
গ. মেঘ ঘ. তুষার
৪. কোনটি আবহাওয়ার উপাদান নয়?
ক. বায়ুর তাপ খ. আর্দ্রতা
● অক্ষাংশ ঘ. বৃষ্টিপাত
৫. ‘ক’ অঞ্চলের বায়ুপ্রবাহের নাম
● অয়ন বায়ু খ. মৌসুমি বায়ু
গ. মেরু বায়ু ঘ. পশ্চিমা বায়ু
৬. ‘ক’ অঞ্চলের বায়ুপ্রবাহের বৈশিষ্ট্য-
i. উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়
ii. দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়
iii. বাণিজ্য বায়ু বলা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৭. আবহাওয়ার দীর্ঘদিনের গড় অবস্থাকে কী বলে?
● জলবায়ু খ. বায়ুর তাপ
গ. বায়ুর চাপ ঘ. বায়ুর আর্দ্রতা
৮. বায়ুতে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিকে কী বলে?
ক. বৃষ্টিপাত খ. ঘনীভবন
● বায়ুর আর্দ্রতা ঘ. বায়ুর চাপ
৯. নিয়ত বায়ুপ্রবাহকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. ২ ● ৩
গ. ৪ ঘ. ৫
১০. দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে জলীয়বাষ্পপূর্ণ আগত মৌসুমি বায়ু হিমালয় পাহাড়ে বাধা পাওয়ার ফলে-
● বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয় খ. বৃষ্টিপাত সংঘটিত হতে পারে না
গ. শীত অনুভূত হয় ঘ. গরম অনুভূত হয়
১১. নরওয়ের উপকূলে বছরের কোনো সময় বরফ না জমার কারণ কী?
● উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত খ. শীতল স্রোতের প্রভাব
গ. লাব্রাডর স্রোতের প্রভাব ঘ. উষ্ণ ও শীতল উভয় স্রোতের প্রভাব
১২. নিরক্ষরেখার উভয় পাশে ৫° থেকে ১০° অক্ষাংশের মধ্যে কোন চাপবলয় অবশ্বিত?
ক. উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ খ. উপক্রান্তীয় নিম্নচাপ
● নিরক্ষীয় নিম্নচাপ ঘ. মেরুদেশীয় উচ্চচাপ
১৩. কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয় হতে যে বায়ু নিরক্ষীয় প্রদেশের দিকে প্রবাহিত হয় তাকে বলে-
● উত্তর-পূর্ব অয়ন খ. দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন
গ. পশ্চিমা ঘ. মেরুদেশীয়
১৪. ভূমির বন্ধুরতার কারণে যে বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয় তাকে কী বলে?
ক. পরিচলন ● শৈলোৎক্ষেপ
গ. ঘূর্ণিবাত ঘ. সংঘর্ষ
১৫. কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত প্রসারিত অঞ্চলকে কী বলে?
ক. উত্তর নাতিশীতােষ্ণমণ্ডল খ. দক্ষিণ নাতিশীতােষ্ণমণ্ডল
গ. উত্তর হিমমণ্ডল ● দক্ষিণ হিমমণ্ডল
১৬. চাপ বলয়কে প্রধানত কত ভাগে ভাগ করা যায়?
● ২ খ. ৩
গ. ৪ ঘ. ৫
১৭. দুটি চাপ বলয়ের উপর ভিত্তি করে পৃথিবীকে কতটি চাপ বলয়ে ভাগ করা হয়েছে?
ক. ৩ খ. ৪
গ. ৫ ● ৭
১৮. নিরক্ষরেখার উভয় পাশে ৫°-১০° অক্ষাংশের মধ্যে কোন চাপ বলয় অবস্থিত?
● নিরক্ষীয় নিম্নচাপ খ. মেরুবৃত্তের নিম্নচাপ
গ. কর্কটীয় উচ্চচাপ ঘ. মকরীয় উচ্চচাপ
১৯. কোনটি নিরক্ষীয় শান্ত বলয়?
● নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় খ. মেরুবৃত্তের নি¤ম্নচাপ বলয়
গ. কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয় ঘ. মকরীয় উচ্চচাপ বলয়
২০. উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয়ের অক্ষাংশীয় অবস্থান কোথায়?
● ২৫° উত্তর ও ২৫° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে
খ. ৬০° থেকে ৬৫° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে
গ. ৯০° উত্তর ও ৯০° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে
ঘ. ২৫° হতে ৩৫° উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে
২১. উত্তর মেরুর উচ্চচাপ অঞ্চলকে কী বলে?
● সুমেরু উচ্চচাপ বলয় খ. কুমেরু উচ্চচাপ বলয়
গ. মেরুবৃত্তের নিম্নচাপ বলয় ঘ. মকরীয় উচ্চচাপ বলয়
২২. কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ুকে বলে-
ক. ফন্ ● চিনুক
গ. খামসীন ঘ. সাইমুম
২৩. শীতকালে ফ্রান্সের কোন নদীর উপত্যকা দিয়ে যে বায়ু দক্ষিণের সমভূমি অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় তাকে বলে
ক. বোরা ● মিস্ট্রাল
গ. সাইমুম ঘ. খামসীন
২৪. হারমাটন কোন দেশের বায়ু?
ক. ফ্রান্স ● আফ্রিকা
গ. ইটালি ঘ. কানাডা
২৫. সাহারা ও আরব মরুভূমিতে প্রবাহিত বায়ু কোনটি?
ক. ফন্ ● সাইমুম
গ. খামসীন ঘ. চিনুক
২৬. খামসীন কোন দেশের স্থানীয় বায়ু।
ক. আরব খ. কানাডা
গ. ইটালি ● মিশর
২৭. খামসীন বায়ু কখন প্রবাহিত হয়?
ক. জানুয়ারি হতে মার্চ ● এপ্রিল হতে জুন
গ. জুলাই হতে সেপ্টেম্বর ঘ. অক্টোবর হতে ডিসেম্বর
২৮. ‘খামসীন’ শব্দের অর্থ কী?
● পাঞ্চাশ খ. শুষ্ক
গ. উষ্ণ ঘ. ত্রিশ
২৯. নিম্ন আকাশের মেঘ কোনটি?
ক. সিরোস্ট্যাটাস খ. অল্টোকিউমুলাস
গ. অল্টোস্ট্যাটাস ● নিম্বস্ট্রাটাস
৩০. উচ্চ আকাশের মেঘ ভূপৃষ্ঠ থেকে কত উচ্চতায় ভেসে বেড়ায়?
ক. ২০০০ মিটার উচ্চতার মধ্যে
খ. ২০০০ মিটার থেকে ৬০০০ মিটারের মধ্যে
গ. ৫০০০ থেকে ৭০০০ মিটারের বেশি
● ৬০০০ থেকে ১০০০০ মিটারের মধ্যে
৩১. নিরক্ষীয় অঞ্চলে ৫°-১০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে কোন ধরনের বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়?
● পরিচলন খ. শৈলোৎক্ষেপ
গ. ঘূর্ণিবৃষ্টি ঘ. সংঘর্ষ বৃষ্টি
৩২. ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে কোন ধরনের বৃষ্টিপাত হয়?
ক. পরিচলন খ. শৈলোৎক্ষেপ
● ঘূর্ণিবৃষ্টি ঘ. সংঘর্ষ বৃষ্টি
৩৩. কালবৈশাখী ঝড়ের উৎপত্তি হয় কোন দিকে?
ক. দক্ষিণ-পশ্চিম দিক হতে ● উত্তর-পশ্চিম দিক হতে
গ. পূর্ব-পশ্চিম দিক হতে ঘ. উত্তর-পূর্ব দিক হতে
৩৪. নিচের কোন এলাকায় সাইক্লোন সংঘটিত হয়?
● ভারত মহাসাগরে খ. চীন ও জাপান উপকূলে
গ. ফিলিপাইন উপকূলে ঘ. অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে
৩৫. ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ ও মেক্সিকো উপসাগর অঞ্চলে কোনটি সংঘটিত হয়-
ক. সাইক্লোন খ. টাইফুন
গ. বাগুইও ● হ্যারিকেন
৩৬. সমুদ্র হতে আগত জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু যে অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় সে অঞ্চলে-
i. বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়
ii. তাপমাত্রা হ্রাস পায়
iii. বায়ু উষ্ণ হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
●i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৩৭. পর্বত কোনো দেশ বা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ করে
i. বায়ুর গতি
ii. উষ্ণতা
iii. বৃষ্টিপাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বত বা উচ্চভূমিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে এক ধরনের বৃষ্টিপাত ঘটায়।
উপরের উদ্দীপকটি পড়ে এবং ৩৮ ও ৩৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
৩৮. উদ্দীপকে কোন বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে?
ক. পরিচলন ● শৈলোৎক্ষেপ
গ. ঘূর্ণি বৃষ্টি ঘ. সংঘর্ষ বৃষ্টি
৩৯. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে উক্ত বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়?
● রাঙামাটি খ. রাজশাহী
গ. দিনাজপুর ঘ. ময়মনসিংহ
৪০. জলবায়ুর উপাদান হলো-
ক. উচ্চতা খ. অক্ষাংশ
● তাপমাত্রা ঘ. বনভূমি
৪১. উত্তর গোলার্ধে অয়ন বায়ু প্রবাহিত হয়-
● উত্তর-পূর্ব দিক হতে খ. পশ্চিম দিক হতে
গ. দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘ. দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে
৪২. দক্ষিণ গোলার্ধে অয়ন বায়ু প্রবাহিত হয়-
● দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে খ. দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে
গ. সোজা পশ্চিম দিক থেকে ঘ. উত্তর-পূর্ব দিক থেকে
৪৩. উভয় গোলার্ধে (বা মধ্য অক্ষাংশে) পশ্চিমা বায়ু কত হতে কত ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যে প্রবাহিত হয়?
ক. ০°-১০° ● ২৫°-৩৫°
গ. ৩৫°-৬০° ঘ. ৫০°-৭০°
৪৪. পৃথিবীর অধিকাংশ মরুভূমি মহাদেশের পশ্চিমাংশে অবস্থিত কেন?
ক. অয়ন বায়ুর জন্য ● পশ্চিমা বায়ুর জন্য
গ. মেরু বায়ুর জন্য ঘ. সমুদ্র বায়ুর জন্য
৪৫. জলবায়ু বলতে সাধারণত কয় বছরের আবহাওয়ার উপাদানগুলোর গড় অবস্থাকে বোঝায়?
ক. ১০-১৫ খ. ১৫-২০
গ. ২৫-৩০ ● ৩০-৩৫
৪৬. অতীতকালে স্বাভাবিক জলবায়ুর অবস্থা কীরূপ ছিল?
ক. চরমভাবাপন্ন ● মৃদুভাবাপন্ন
গ. সমভাবাপন্ন ঘ. আর্দুভাবাপন্ন
৪৭. বায়ুমণ্ডলে সূর্যতাপের তারতম্য ঘটে কী কারণে?
ক. কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি খ. আহ্নিক গতি
গ. বার্ষিক গতি ● সূর্যের অবস্থান ও অক্ষাংশভেদে
৪৮. বাংলাদেশ কোন জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত?
● ক্রান্তীয় মৌসুমি খ. ক্রান্তীয় মেরুদেশীয়
গ. নিরক্ষীয় মৌসুমি ঘ. নিরক্ষীয় মেরুদেশীয়
৪৯. কোন এলাকায় রাতে প্রচণ্ড শীত অথচ দিনে খুব গরম?
ক. মালভূমি খ. পার্বত্য
● মরুভূমি ঘ. সমভূমি
৫০. পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফল কোনটি?
ক. ঋতু পরিবর্তন খ. সূর্যতাপের তারতম্য
গ. মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ ● দিবারাত্রি সংঘটন
৬ষ্ঠ অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. নিরক্ষীয় অঞ্চলে গভীর অরণ্য সৃষ্টি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে সূর্য সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে অধিক তাপ থাকে। এই অধিক তাপই জলীয়বাষ্প তৈরির মাধ্যমে সারাবছরই অধিক বৃষ্টিপাত ঘটায়।
যেকোনো অঞ্চলে বৃক্ষ বেড়ে ওঠার জন্য তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত অতীব প্রয়োজনীয় উপাদান। সারাবছর এরূপ বৃষ্টিপাত ও তাপের জন্য নিরক্ষীয় অঞ্চলে গভীর অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে।
২. ওজোনস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সময়ের বিবর্তনে মানুষের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকা- যেমন- শিল্পকারখানা স্থাপন, কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহার, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, বনভূমি ধ্বংস ইত্যাদি হতে ক্ষতিকারক গ্যাস (CO2, CH4, CFC, N2O) নির্গত হয়ে বায়ুম-লের সাথে মিশে যাচ্ছে এবং পৃথিবীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বায়ুম-লে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে তা ওজোনস্তরকে ধ্বংস করছে। সুতরাং বলা যায়, মানুষের নেতিবাচক কর্মকা- ওজোনস্তর ক্ষতি হওয়ার কারণ।
৩. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নিরক্ষরেখার উভয় পার্শ্বে নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল অবস্থিত। নিরক্ষরেখার উভয় দিকে ৫°- ১০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে এ জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়।
দক্ষিণ আমেরিকার আমাজান নদীর অববাহিকা, ব্রাজিলের উত্তরাংশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, গায়ানার উপকূলভাগ, ভেনেজুয়েলার অংশবিশেষ ও কলম্বিয়ার দক্ষিণাংশ, পেরূর উত্তরাংশ, ইকুয়েডর, মালয়েশিয়া, আফ্রিকার কগো নদীর অববাহিকা ও গিনি উপকূল প্রভৃতি অঞ্চল নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
৪. সমতাপ ও সমবর্ষণ রেখা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কাছাকাছি কয়েকটি এলাকায় সমান তাপবিশিষ্ট অঞ্চলকে মানচিত্রে একটি রেখা দ্বারা যুক্ত করা হলে তাকে সমতাপ রেখা বলে। আর কাছাকাছি কয়েকটি এলাকায় যখন একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয় তখন তা একটি রেখা দ্বারা যুক্ত করলে একে সমবর্ষণ রেখা বলে।
৫. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় এবং কেন?
উত্তর: সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, সমুদ্রের পানির স্তর বৃদ্বি দ্ধ প্রভৃতি কারণে জীববৈচিত্র্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে নিম্নভূমি প্লাবিত হচ্ছে বনভূমি, উদ্ভিদকুল লোনা পানি দ্বারা প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে এসব উদ্ভিদকুল ও প্রাণিকুলের বসবাসের অনুকূল পরিবেশে সরাসরি আঘাত হানার মধ্য দিয়ে ধ্বংস সাধিত হচ্ছে। ফলে জীববৈচিত্র্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
৬. নিরক্ষীয় জলবায়ুতে উদ্ভিদের প্রকৃতি কেমন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। ফলে এ অঞ্চলে বড় বড় গাছ জন্মাবার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এখানকার গাছগুলো খুব লম্বা হয়। ত্রিশ থেকে পাশ মিটার উঁচু গাছের অরণ্যের জন্য এ অঞ্চল প্রসিদ্ধ। এগুলো কঠিন কাঠের গাছ। গাছের পাতাগুলো বড় আকৃতির হয়ে থাকে। এখানে উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু বিরাজ করার গাছের পাতাগুলো একসাথে ঝরে পড়ে না। এ অঞ্চলের উদ্ভিদকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা- বৃষ্টিবহুল অরণ্য, জঙ্গল ও ঝোপজাতীয় অরণ্য, উপকূলীয় অরণ্য।
৭. পানি বন্টনে বায়ুমণ্ডল কীভাবে ভূমিকা রাখে?
উত্তর: সূর্যের তাপে নদী, সাগর, পুকুর প্রভৃতি উৎস হতে পানি বাস্পীভবনের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে যায়। বায়ুমণ্ডল হতে পরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। ভূপৃষ্ঠ হতে আবার – সমুদ্র, হ্রদ, ভূগর্ভ, নদী প্রভৃতি স্থানে পুনঃবন্টিত হয়। অর্থাৎ পানি সূর্যের তাপে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে বাযুম-লে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন উৎসে পানি বন্টিত হয়। তাই পানি বন্টনে বায়ুমণ্ডলের ভূমিকা অপরিসীম।
৮. গ্রিনহাউস বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: গ্রিনহাউস হচ্ছে কাচের তৈরি সবুজ ঘর।
শীতপ্রধান দেশে গাছপালাকে রক্ষা করার জন্য এবং সূর্যের তাপ দেওয়ার জন্য এ ধরনের কাচের ঘর তৈরি করে সবুজ গাছপালা উৎপন্ন করা হয়। কাচের মধ্যে সহজেই সূর্যের কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যরে তাপ শোষিত হয় এবং উত্তপ্ত হয়ে দীর্ঘ তরঙ্গের তাপে পরিণত হয়, যা কাচের মধ্য দিয়ে আর বাইরে বের হয় না, এরকম ঘটনাকে গ্রিনহাউস বলা হয়।
৯. গ্রিনহাউস কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশগুলোতে শীতকালে সবুজ শাক-সবজি উৎপাদনের জন্য যে কাচের ঘর তৈরি করে, তাকেই গ্রিনহাউস বলে।
গ্রিন হাউসে সূর্যালোক অবাধে প্রবেশ করে কিন্তু নির্গত হওয়ার সময় তাপ শক্তির খানিকটা কাঁচের আচ্ছাদনের ভিতর ধরে রাখে। নির্দিষ্ট মাত্রায় তাপ ধরে রেখে বা সৃষ্টি করে মূলত উদ্ভিজ্জ ও শাকসবজি জন্মাবার জন্য এ ঘর শীতপ্রধান দেশে ব্যবহার করা হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. ভ্লাদিমির কোপেন সর্বপ্রথম কত সালে জলবায়ুর শ্রেণিবিভাগ প্রকাশ করেন?
● ১৯০১ খ. ১৯১৮
গ. ১৯৩১ ঘ. ১৯৩৬
২. ঋতু পরিবর্তনের সাথে যে বায়ুর দিক পরিবর্তন হয় তাকে কী বলে?
ক. বাণিজ্যিক খ. সাময়িক
গ. স্থানীয় ● মৌসুমি
৩. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো কোনটি?
● বৃষ্টিবহুল শীতকাল এবং বৃষ্টিহীন গ্রীষ্মকাল
খ. বৃষ্টিবহুল গ্রীষ্মকাল এবং বৃষ্টিহীন শীতকাল
গ. নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
ঘ. ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর গতি পরিবর্তিত হয়
৪. নিচের কোনটি নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত?
● দক্ষিণ আমেরিকার আমাজান নদীর অববাহিকা
খ. বলকান উপদ্বীপ যুগোশ্লাভিয়ার পশ্চিম ও দক্ষিণাংশ
গ. দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার কেপটাউন
ঘ. মাদাগাস্কার দ্বীপ পূর্ব আফ্রিকার উপকূল অঞ্চল
৫. মৌসুমি জলবায়ু কোন অঞ্চলে দেখা যায়?
ক. ৫° থেকে ১০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে
● ১৫° থেকে ৩০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে
গ. ৩০° থেকে ৪০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে
ঘ. ২৩° থেকে ৬৬° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে
৬. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান কোথায়?
● ৫° থেকে ১০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে
খ. ১৫° থেকে ৩০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে
গ. ৩০° থেকে ৪০° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে
ঘ. ২৩° থেকে ৬৬° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে
৭. আবহাওয়ার কত দিনের গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলে?
ক. ১০ থেকে ২০ বছরের খ. ১৫ থেকে ২৫ বছরের
গ. ২০ থেকে ৩০ বছরের ● ৩০ থেকে ৪০ বছরের
৮. নিরক্ষীয় অঞ্চলে শীত কখন অনুভূত হয়?
ক. সকালে খ. দিনের মধ্যভাগে
গ. সন্ধ্যায় ● রাতে
৯. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে আকাশ মেঘে ছেয়ে যায় কখন?
ক. দিনের শুরুতে খ. দিনের শেষ ভাগে
● দুপুরের পর ঘ. মধ্যরাতে
১০. নিরক্ষীয় অঞ্চলে অধিক বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয় কখন?
ক. মার্চ মাসে খ. মে মাসে
● জুন মাসে ঘ. সেপ্টেম্বর মাসে
১১. সেল্ভা বনভূমি কোথায় দেখা যায়?
● আমাজান নদীর অববাহিকায় খ. কঙ্গো নদীর অববাহিকায়
গ. ব্রাজিলের উত্তরাংশে ঘ. গায়নার উপকূলভাগে
১২. নিচের কোন দেশটি ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত?
ক. থাইল্যান্ড খ. ভিয়েতনাম
● ফ্রান্স ঘ. মালয়েশিয়া
১৩. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্জলে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয় কোন মাসে?
● জানুয়ারি খ. ফেব্রুয়ারি
গ. জুন ঘ. জুলাই
১৪. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে অধিক বৃষ্টিপাত হয় কোন মাসে?
ক. জানুয়ারি খ. জুন
● জুলাই ঘ. অক্টোবর
১৫. মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত?
ক. ২৫ থেকে ৭৫ সেমি.
● ১২৫ থেকে ২০৩ সেমি.
গ. ১৫০ থেকে ২০০ সেমি.
ঘ. ১৫০ থেকে ৩০০ সেমি.
১৬. সরলবর্গীয় বৃক্ষের বনভূমি দেখা যায় কোন অঞ্চলে?
ক. নিরক্ষীয় খ. ভূমধ্যসাগরীয়
● মৌসুমি ঘ. নাতিশীতোষ্ণ
১৭. বাংলাদেশ কোন জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত?
ক. নিরক্ষীয় খ. ভূমধ্যসাগরীয়
গ. নাতিশীতোষ্ণ ● ক্রান্তীয় মৌসুমি
১৮. বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের কোন রাজ্য?
ক. ত্রিপুরা খ. মিজোরাম
গ. মিয়ানমার ● আসাম
১৯. বাংলাদেশে কোন মাস সবচেয়ে শীতলতম?
ক. ডিসেম্বর ● জানুয়ারি
গ. ফেব্রুয়ারি ঘ. মার্চ
২০. বাংলাদেশের তাপমাত্রার গড় হিসেবে উষ্ণতম মাস কোনটি?
ক. মার্চ ● এপ্রিল
গ. মে ঘ. জুন
২১. বাংলাদেশের মোট বৃষ্টিপাতের শতকরা কত ভাগ বর্ষাকালে সংঘটিত হয়?
ক. ৭০ ভাগ খ. ৭৫ ভাগ
● ৮০ ভাগ ঘ. ৮৫ ভাগ
২২. নাইট্রাস অক্সাইড এর সংকেত কোনটি?
ক. NO ● N2O
গ. NO2 ঘ. CO2
২৩. একই উচ্চতাবিশিষ্ট স্থানগুলোকে যে রেখা দ্বারা সংযুক্ত করা তাকে বলে-
● সমতাপ রেখা খ. সমচাপ রেখা
গ. সমবর্ষণ রেখা ঘ. প্রধান উষ্ণ রেখা
২৪. নিচের কোন জেলায় বৃষ্টিপাত বেশি হয়?
ক. খুলনা খ. রাজশাহী
গ. রংপুর ● মৌলভীবাজার
২৫. বায়ুপ্রবাহ নির্ণয়ের যন্ত্র কোনটি?
ক. হাইগ্রোমিটার ● বাতপতাকা
গ. অ্যামিটার ঘ. ব্যারোমিটার
২৬. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত-
i. আমাজান নদীর অববাহিকা
ii. কঙ্গো নদীর অববাহিকা
iii. গিনি উপকুল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
২৭. নিরক্ষীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য-
i. নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
ii. ঋতু পরিবর্তন দেখা যায় না
iii. দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
২৮. নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে মাটির বৈশিষ্ট্য-
i. উর্বর নয়
ii. ক্ষয়ের মাত্রা বেশি
iii. মৃত্তিকার রং লাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
২৯. নিরক্ষরেখার সন্নিকটবর্তী দেশগুলোতে কী ধরনের জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়?
● নিরক্ষীয় খ. ক্রান্তীয়
গ. মৌসুমি ঘ. ভূমধ্যসাগরীয়
৩০. মহাদেশসমূহের পূর্ব প্রান্তে ৩০°-৪৫° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে কোন জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়?
ক. ভূমধ্যসাগীয় উষ্ণ ও আর্দ্র
● উপক্রান্তীয় পূর্ব ও উপকূলীয় আর্দ্র
গ. নিরক্ষীয় উষ্ণ ও বৃষ্টিবহুল
ঘ. মহাদেশীয় শীতল ও শুষ্ক
৩১. সাধারণত কত ডিগ্রি অক্ষাংশে মৌসুমি জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়?
ক. ১২-১৫ ● ১৫-৩০
গ. ২৫-৬০ ঘ. ৫৫-৭০
৩২. কোন জলবায়ুকে সুদানি জলবায়ু বলা হয়?
ক. মৌসুমি খ. ক্রান্তীয় সমুদ্র উপকূলীয়
● ক্রান্তীয় মহাদেশীয় ঘ. ক্রান্তীয় মরুদেশীয়
৩৩. মেরুদেশীয় তুষারাবৃত জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য কোন অঞ্চলে দেখা যায়?
ক. মেরুবৃত্তীয় ● উচ্চভূমি
গ. নিম্নভূমি ঘ. সমভূমি
৩৪. নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের আর্দ্র জলবায়ুতে পর্বতের প্রতিবাত পার্শ্বে কোন ধরনের বৃষ্টিপাত হয়?
ক. ঘূর্ণি খ. সংঘর্ষ
● শৈলোৎক্ষেপ ঘ. পরিচলন
৩৫. নিরক্ষীয় শান্তবলয়ের দিকে বায়ুর গতিবেগ কেমন থাকে?
● বৃদ্ধি পায় খ. ক্রমশ কমে
গ. হ্রাস পায় ঘ. ধীরে ধীরে বাড়ে
৩৬. নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর কোন ঋতু থাকে?
ক. শরৎ খ. শীত
● গ্রীষ্ম ঘ. বসন্ত
৩৭. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল কত ডিগ্রি উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশে অবস্থিত?
ক. ২২°-৪২° খ. ৩৬°-৪৫°
● ৩০°-৪০° ঘ. ৩৫°-৫০°
৩৮. কোন জলবায়ুতে আঙুর, আপেল, কমলালেবু, আখরোট ও খুরানী প্রচুর জন্মে?
● ভূমধ্যসাগরীয় খ. মহাদেশীয়
গ. মেরুদেশীয় ঘ. মৌসুমি
পৃথিবীর একটি জলবায়ু অঞ্চলে সারাবছর অধিক তাপমাত্রা ও প্রচুর বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়। দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান।
উপরের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৯ ও ৪০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
৩৯. উদ্দীপকে কোন জলবায়ুর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে?
● নিরক্ষীয় খ. ভূমধ্যসাগরীয়
গ. মৌসুমি ঘ. ক্রান্তীয় মৌসুমি
৪০. উদ্দীপকে উল্লিখিত জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য-
i. সূর্য সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয়
ii. বায়ুর ঊধ্বমুখী প্রবাহ
iii. শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
মি. জাফর একটি দেশে ভ্রমণে গিয়ে দেখলেন শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়। এলাকাটি বৃষ্টিপ্রধান। খনিজ সম্পদে মােটামুটি সমৃদ্ধশালী।
উপরের উদ্দীপকটি পড় এবং ৪১ ও ৪২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
৪১. মি. জাফরের ভ্রমণকৃত দেশটি কোন জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত?
ক. নিরক্ষীয় ● ভূমধ্যসাগরীয়
গ. মৌসুমি ঘ. নাতিশীতোষ্ণ
৪২. মি. জাফরের ভ্রমণকৃত দেশটি যে জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত তার বৈশিষ্ট্য-
i. তৃণভূমির পরিমাণ কম
ii. কয়লা পাওয়া যায় না
iii. বৃহৎ কোনো যন্ত্রশিল্প কারখানা নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৩. সারাবছর অধিক তাপ ও বৃষ্টিপাত কোন জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য?
● নিরক্ষীয় খ. ভূমধ্যসাগরীয়
গ. মৌসুমি ঘ. মেরুদেশীয়
৪৪. বাংলাদেশে বর্ষাকালের সূচনা হয় কোন বায়ুপ্রবাহ দ্বারা?
● মৌসুমি খ. মেরু
গ. ক্রান্তীয় ঘ. অয়ন
৪৫. মেঘ থেকে জলকণার ভূপৃষ্ঠে পতনকে কী বলে?
ক. তুষারপাত খ. তুহিনপাত
গ. শিশিরপাত ● বৃষ্টিপাত
৪৬. বেলনাকার পাত্র ও ফানেলের ব্যাস সমান হয় কোন বৃষ্টিমাপক যন্ত্রে?
● সাইমন খ. অ্যাডাম
গ. আব্রাহাম ঘ. লিংকন
৪৭. বায়ুর আর্দ্রতাকে ইংরেজিতে কী দ্বারা প্রকাশ করা হয়?
ক. Transpiration খ. Evapotranspiration
● Humidity ঘ. Osmosis
৪৮. বায়ুর আর্দ্রতা সাধারণত কোন এককে মাপা হয়?
ক. ডিগ্রি খ. সেলসিয়াস
গ. সেন্টিগ্রেড ● গ্রেইন
৪৯. বায়ু যতই উষ্ণ হয় ততই কী ধারণ করতে পারে?
ক. ধূলিকণা ● জলীয়বাষ্প
গ. গ্যাসীয় কণা ঘ. জৈব কণিকা
৫০. হাইগ্রোমিটার-এর সাহায্যে বায়ুর কোন উপাদানগত অবস্থা মাপা হয়?
● আর্দ্রতা খ. তাপমাত্রা
গ. চাপ ঘ. বায়ুপ্রবাহ
৭ম অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. জীবজগতে পানিচক্রের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পানি ছাড়া জীবজগতের অস্তিত্ব সম্ভব নয়, তাই জীবজগতে পানিচক্রের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীবজগতের ওপর পানিচক্র প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। পানিচক্রের প্রক্রিয়া সংঘটিত হয় সূর্যের তাপশক্তি দ্বারা। বাষ্পীভবন ও বর্ষণ একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। বাস্পীভবন বেশি হলে বৃষ্টিপাত বেশি হবে। এ বৃষ্টিপাত পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও জীজগতের ওপর প্রভাব রাখে। তাই বলা যায়, জীবজগতে পানিচক্রের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
২. জোয়ারের বান কেন হয়?
উত্তর: জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানি মহীসোপানের অগভীর অংশে ও দ্বীপে প্রতিহত হলে জোয়ারের তরঙ্গের চূড়া ভেঙে পড়ে এবং প্রবাহ সৃষ্টি হয়। জোয়ারের পানি খাড়ি ও মোহনা দিয়ে দেশের ভেতরে প্রবেশ করে। নদীর মোহনা দেশের ভেতর ক্রমশই সংকীর্ণ। জোয়ারের পানি যতই অগ্রসর হয় ততই সংকীর্ণ ও অগভীর নদীর মধ্যে প্রবেশ করে। কিন্তু স্থানের সংকীর্ণতার জন্য ওপরের দিকে ফুলে ওঠে এবং প্রাচীরের মতো উঁচু হয়ে অগ্রসর হতে থাকে। এরূপ জোয়ারকে বান বলে।
৩. সমুদ্রে জোয়ারভাটার পানি উঠানামাকারী অঞ্চলটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সমুদ্রে জোয়ারভাটার পানি ওঠানামাকারী অঞ্চল হচ্ছে তটদেশীয় অঞ্চল।
জোয়ারে সময় সমুদ্রের পানি সমুদ্রতীরের যতদূর পর্যন্ত উপরে ওঠে সেখান থেকে ভাটার টানে তা যে স্থান পর্যন্ত নেমে যায় সে স্থান পর্যন্ত বিস্তৃত অংশকে তটদেশীয় অঞ্চল বলে। তটদেশীয় অঞ্চল স্থলভাগ থেকে সাগর পর্যন্ত প্রায় ৩ কি. মি পর্যন্ত বিস্তৃত। পৃথিবীতে এ অঞ্চলের মোট আয়তন প্রায় ১৫৫ হাজার বর্গকিলোমিটার।
৪. ‘S’ আকৃতির মহাসাগরটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘S’ আকৃতির মহাসাগরটি হলো আটলান্টিক মহাসাগর।
আটলান্টিক মহাসাগর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর। প্রশান্ত মহাসাগরের পরেই এর অবস্থান। এর আয়তন প্রায় ৮ কোটি ২৪ লক্ষ বর্গ কি.মি.। এর গড় গভীরতা প্রায় ৩,৫৭৫ মি.। এ মহাসাগরের পূর্বে ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশ, পশ্চিমে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ, উত্তরে গ্রিনল্যান্ড এবং দক্ষিণে দক্ষিণ মহাসাগর অবস্থিত। সমগ্র ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১৬ শতাংশ স্থান জুড়ে বিস্তৃত।
৫. জোয়ার-ভাটার পানি ওঠানামার সীমানাকে কী বলে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জোয়ার ভাটার পানি ওঠানামার সীমানাকে তটদেশীয় অঞ্চল বলে। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানি ফুলে উঠে আবার ভাটার টানে তা নেমে যায়। সমুদ্রের পানির এই ওঠানামার একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা থাকে। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানি সমুদ্র তীরের যতদূর পর্যন্ত উপরে উঠে সেখান থেকে ভাটার টানে তা যে স্থানে নেমে যায় সে স্থানের বিস্তৃত অংশকে তটদেশীয় অঞল বলে। স্থল হতে সাগর পর্যন্ত এ অঞ্চল প্রায় ৩.২ কিলোমিটার প্রশস্ত।
৬. পানিচক্র বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পানির রূপান্তরের মাধ্যমে স্থানান্তর এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবার স্বস্থানে ফিরে আসাকে পানিচক্র বলে। সূর্যরশ্মির তাপে সমুদ্র, হ্রদ, নদী ও অন্যান্য জলাশয় থেকে পানি বাষ্পীভবনের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেখান থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বারিপাতের মাধ্যমে পৃথিবীতে ফিরে আসে। এভাবে পানির সাগর হতে বায়ুমণ্ডল, বায়ুমণ্ডল হতে স্থলভাগ এবং যেখান থেকে পুনরায় সাগরে ফিরে আসার প্রক্রিয়াকে পানিচক্র বলে।
৭. হ্রদ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে জলভাগের চতুর্দিক স্থলভাগ দিয়ে পরিবেষ্টিত তাকে হ্রদ বলে।
অর্থাৎ মাঝখানে গভীর জলরাশি এবং তার চতুর্দিক স্থল দ্বারা বেষ্টিত সে জলভাগকে হ্রদ বলে। যেমন- বৈকাল হ্রদ, সুপিরিয়র হ্রদ ভিক্টোরিয়া হ্রাস ইত্যাদি।
৮. বঙ্গোপসাগরের তলদেশের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বঙ্গোপসাগরের তলদেশ নানা ধরনের সম্পদে সমৃদ্ধ। এ সাগরের তলদেশ খনিজ সম্পদ ও প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধশালী। সাগরের অনেক স্থানে আবার মূল্যবান লোহা, সিসা, তামা ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। মৎস্য সম্পদেও এ সাগর এলাকা সমৃদ্ধশালী। এখানকার মৎস্য সম্পদের মধ্যে লাক্ষা, রূপচান্দা, চান্দা, চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, হাঙ্গর, কোরাল, বোয়াল, ইলিশ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এ মাছ নিজেদের চাহিদা মিটিয়েও প্রচুর পরিমাণে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
৯. বার্মা ট্রেন্স সম্পর্কে লেখ?
উত্তর: বঙ্গোপসাগরের তলদেশের উল্লেখযোগ্য ভূমিরূপ বৈশিষ্ট্য হলো বার্মাট্রেন্স। এটি সমুদ্রের তলদেশে লম্বা কিন্তু সরু ও তুলনামূলকভাবে খাড়া ঢালবিশিষ্ট নিম্নভূমি। এটি বঙ্গোপসাগরের পূর্ব প্রান্তে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বার্মা উপকূল বরাবর বিস্তৃত।
১০. বৃষ্টির পানির উৎস কী কী?
উত্তর: বৃষ্টির পানির উৎস হচ্ছে- সমুদ্র, নদী, ভূগর্ভস্থ পানি, ভূপৃষ্ঠসহ পানি, উদ্ভিদ থেকে নিঃসৃত প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় নির্গত পানি প্রভৃতি। উক্ত পানি সূর্যের তাপে জলীয়বাষ্পরূপে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং ঘনীভূত হয়ে মেঘ আকারে জমা হয় যা বৃম্পিরূপে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. পৃথিবীপৃষ্ঠে সমুদ্রভাগের ক্ষেত্রফল কত মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার?
ক. ৩৪১ ● ৩৬১
গ. ৩৭১ ঘ. ৩৮১
২. শৈলশিরা দেখা যায় কোথায়?
ক. পর্বতমালায় খ. মালভূমিতে
গ. উপকূলে ● মহাসাগরের তলে
৩. পৃথিবীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ অঞ্চলে রয়েছে কোনটি?
● মহীসোপান খ. আগ্নেয় দ্বীপ
গ. মহীঢাল ঘ. শৈলশিরা
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
ভূগোল ক্লাসে শিক্ষক বললেন একটি মহাসাগরের দুইপাশে চারটি মহাদেশ রয়েছে।
৪. উদ্দীপকে ইঙ্গিতপূর্ণ মহাসাগর কোনটি?
ক. প্রশান্ত খ. ভারত
● আটলান্টিক ঘ. সুমেরু
৫. উদ্দীপকে উল্লিখিত মহাসাগরের তলদেশের বিশেষ ভূপ্রকৃতির আকৃতি কীরূপ?
● ইংরেজি S অক্ষরের মতো খ. ইংরেজি W অক্ষরের মতো
গ. ইংরেজি H অক্ষরের মতো ঘ. ইংরেজি N অক্ষরের মতো
৬. বঙ্গোপসাগরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য কোনটি?
● সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড খ. নিকোবার ফ্যান
গ. বেঙ্গল ডিপ সি ফ্যান ঘ. বার্মা ট্রেন্স
৭. জন্মগত পানি কোনটি?
● পাললিক শিলার পানি খ. ভূপৃষ্ঠের পানি
গ. সামুদ্রিক পানি ঘ. হিমবাহ গলা পানি
৮. ভূগর্ভে অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে পানিকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. ২ খ. ৩
গ. ৪ ● ৫
৯. আয়তন অনুসারে পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর কোনটি?
● প্রশান্ত খ. আটলান্টিক
গ. ভারত ঘ. উত্তর মহাসাগর
১০. কাস্পিয়ান মহাসাগর নিচের কোন মহাদেশে অবস্থিত?
● এশিয়া খ. আফ্রিকা
গ. উত্তর আমেরিকা ঘ. দক্ষিণ আমেরিকা
১১. এশিয়া ও আমেরিকার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত মহাসাগরটির নাম কী?
ক. আটলান্টিক ● প্রশান্ত
গ. উত্তর মহাসাগর ঘ. দক্ষিণ মহাসাগর
১২. মহীঢালের পরবর্তী অংশ কোনটি?
ক. মহীসোপান খ. তটদেশীয় অঞ্চল
● গভীর সমুদ্রের সমভূমি ঘ. গভীর সমুদ্রখাত
১৩. পৃথিবীর গভীরতম খাত কোনটি?
● মারিয়ানা খ. এমডেন
গ. টোঙ্গা ঘ. মানসুউ
১৪. নিচের কোন মহাসাগরটির আকৃতি গোলাকার?
ক. প্রশান্ত মহাসাগর খ. ভারত মহাসাগর
● সুমেরু মহাসাগর ঘ. আটলান্টিক মহাসাগর
১৫. নিচের কোন মহাসাগরের নাম প্যাসিফিক?
ক. আটলান্টিক মহাসাগর ● প্রশান্ত মহাসাগর
গ. ভারত মহাসাগর ঘ. দক্ষিণ মহাসাগর
১৬. ভারত মহাসাগরের আকৃতি ইংরেজি কোন অক্ষরের মতো?
ক. S খ. V
গ. W ● M
১৭. ভিক্টোরিডা হ্রদের অবস্থান কোথাড?
ক. এশিডা খ. উত্তর আমেরিকা
● আফ্রিকা ঘ. দক্ষিণ আমেরিকা
১৮. বৈকাল হ্রদের অবস্থান কোথায়?
ক. উত্তর আমেরিকা খ. দক্ষিণ আমেরিকা
● এশিয়া ঘ. আফ্রিকা
১৯. আয়তনে বৃহত্তম হ্রদ কোনটি?
● ভিক্টোরিয়া খ. হিউরন
গ. মিসিগান ঘ. বৈকাল
২০. পৃথিবীর গভীরতম মহাসাগর কোনটি?
ক. আটলান্টিক মহাসাগর ● প্রশান্ত মহাসাগর
গ. ভারত মহাসাগর ঘ. উত্তর মহাসাগর
২১. ভূপৃষ্ঠের সমগ্র জলভাগের কত শতাংশ প্রশান্ত মহাসাগর?
ক. ৩০% খ. ৪০%
● ৪৫% ঘ. ৫০%
২২. পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর কোনটি?
ক. প্রশান্ত মহাসাগর ● আটলান্টিক মহাসাগর
গ. ভারত মহাসাগর ঘ. উত্তর মহাসাগর
২৩. আটলান্টিক মহাসাগরের পূর্বদিকে কোনটি অবস্থিত?
● ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশ
খ. উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ
গ. এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশ
ঘ. ইউরোপ ও ওসেনিয়া মহাদেশ
২৪. ‘ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ’ কোন মহাসাগরে অবস্থিত?
ক. ভারত ● আটলান্টিক
গ. প্রশান্ত ঘ. দক্ষিণ আফ্রিকা
২৫. ‘লাক্ষাদ্বীপ’ কোন মহাসাগরে?
● ভারত খ. প্রশান্ত
গ. আটলান্টিক ঘ. উত্তর মহাসাগর
২৬. পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর কোনটি?
ক. সুমেরু মহাসাগর ● কুমেরু মহাসাগর
গ. ভারত মহাসাগর ঘ. প্রশান্ত মহাসাগর
২৭. মহীসোপানের সর্বোচ্চ গভীরতা কত?
ক. ১২০ মিটার খ. ১৫০ মিটার
গ. ১৬০ মিটার ● ১৮০ মিটার
২৮. মৎস্যচারণ ক্ষেত্র কোনটি?
● মহীসোপান খ. মহীপাল
গ. গভীর সমুদ্রের সমভূমি ঘ. সমুদ্রের গভীর খাত
২৯. মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা কোন মহাসাগরে?
ক. ভারত মহাসাগরে খ. প্রশান্ত মহাসাগরে
গ. উত্তর মহাসাগরে ● আটলান্টিক মহাসাগরে
৩০. ডলফিন ও চ্যালেঞ্জার শৈলশিরার মধ্যে অবস্থিত খাত কোনটি?
● রোমানসে খাত খ. জাপান খাত
গ. কারমাডেক খাত ঘ. দক্ষিণ স্যান্ডউইচ খাত
৩১. দক্ষিণ স্যান্ডউইচ খাতটি কোন মহাসাগরে?
ক. ভারত মহাসাগরে ● আটলান্টিক মহাসাগরে
গ. প্রশান্ত মহাসাগরে ঘ. দক্ষিণ মহাসাগরে
৩২. টেলিগ্রাফ মালভূমির উচ্চতা কত?
ক. ২০০০ ফুটের অধিক খ. ২৫০০ ফুটের অধিক
● ৩০০০ ফুটের অধিক ঘ. ৩৫০০ ফুটের অধিক
৩৩. পৃথিবীর শতকরা কত ভাগ পানি সমুদ্র ধারণ করে?
ক. ৯০ ভাগ খ. ৯৫ ভাগ
● ৯৭ ভাগ ঘ. ৯৯ ভাগ
৩৪. বাষ্পীভবনের প্রধান নিয়ামক কোনটি?
● সৌরশক্তি খ. বায়ুর চাপ
গ. বারিপাত ঘ. ঘনীভবন
৩৫. জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হওয়ার পর কীসে পরিণত হয়?
ক. বরফে পরিণত হয় ● পানি বিন্দুতে পরিণত হয়
গ. তুষারে পরিণত হয় ঘ. মেঘে পরিণত হয়
৩৬. প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় নিচের কোনটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ?
● সূর্যের খ. চন্দ্রের
গ. বৃষ্টিপাতের ঘ. জলীয়বাষ্পের
৩৭. প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার শতকরা কত ভাগ দিবাভাগে সংঘটিত হয়?
ক. ৮০ ভাগ খ. ৮৫ ভাগ
গ. ৯০ ভাগ ● ৯৫ ভাগ
৩৮. পরিচলন এর ইংরেজি শব্দ কী?
ক. Transpiration ● Convection
গ. Infiltation ঘ. Evaporation
৩৯. অসংখ্য পানি কণার মিলনে কী তৈরি হয়?
ক. বরফ খ. বৃষ্টিপাত
● মেঘ ঘ. তুষার
৪০. এশিয়ার পূর্ব উপকূলের সাগর হলো-
i. দক্ষিণ চীন সাগর
ii. জাপান সাগর
iii. বেরিং সাগর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪১. কোনটি এশিয়ার পূর্ব উপকূলের সাগর-
i. জাপান সাগর
ii. ওখটস্ক সাগর
iii. বেরিং সাগর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪২. কোন মহাসাগর ভূপৃষ্ঠের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ স্থান জুড়ে আছে?
ক. আটলান্টিক ● প্রশান্ত
গ. ভারত ঘ. উত্তর মহাসাগর
৪৩. সমুদ্রে মহীঢ়লের গভীরতা-
ক. ০-১৮০ মিটার ● ১৮০-৩৬০০ মিটার
গ. ১৮০-৫০০ মিটার ঘ. ৩০০-৬০০ মিটার
৪৪. গভীর সমুদ্রের সমভূমির গড় গভীরতা-
ক. ১ কিমি. – ২ কিমি. খ. ২ কিমি. – ৪ কিমি.
● ৩ কিমি. – ৫ কিমি. ঘ. ৩ কিমি. – ১০ কিমি.
৪৫. কোন মহাসাগর আয়তনে প্রশান্ত মহাসাগরের প্রায় অর্ধেক?
ক. ভারত ● আটলান্টিক
গ. উত্তর মহাসাগর ঘ. দক্ষিণ মহাসাগর
৪৬. সমুদ্রতলদেশের কোন অংশ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার?
ক. মহীসোপান খ. মহীঢাল
● গভীর সমুদ্রের সমভূমি ঘ. গভীর সমুদ্র খাত
৪৭. আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরতম খাত কোনটি?
ক. ম্যারিয়ানা খাত খ. এমডেন খাত
গ. মিন্ডানাও খাত ● পর্টোরিকো খাত
৪৮. মহাসাগর থেকে সাগর আংশিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকে কোনটি দ্বারা?
ক. জলপ্রপাত খ. পানি বিভাজিকা
● প্রাকৃতিক ভূপ্রকৃতি ঘ. হ্রদ
৪৯. আর্কটিক সাগরের শতকরা কত ভাগ অঞ্চল সারাবছরই বরফে আবৃত থাকে?
ক ৩০ খ. ৫০
● ৭০ ঘ. ৮০
৫০. আমাজান ও কঙ্গো নদীর প্রবাহিত পানি কোন সাগরে পতিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে মিলিত হয়েছে?
● আর্কটিক খ. মেক্সিকো
গ. ক্যারিবিয়ান ঘ. বাল্টিক
৮ম অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. পৃথিবীর আবর্তন কীভাবে সমুদ্রস্রোতকে প্রভাবিত করে?
উত্তর: পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সমুদ্রস্রোতের উৎপত্তি। আহ্নিক গতির জন্য পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর সর্বদা পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে। পৃথিবীর এ আবর্তনের জন্য সমুদ্রের উপরিভাগের তরল পানি পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি করে।
২. ল্যাব্রাডর কী ধরনের স্রোত? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ল্যাব্রাডর এক ধরনের শীতল স্রোত।
সুমেরু মহাসাগর হতে মেরু বায়ুর প্রভাবে একটি স্রোত দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে বাফিন উপসাগরে প্রবেশ করেছে। এ শীতল স্রোতটি সেখান থেকে ড্যাভিস প্রণালির মধ্য দিয়ে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর আমেরিকার ল্যাব্রাডর উপদ্বীপের উত্তর পার্শ্বে পৌছায় এবং শীতল পূর্ব গ্রিনল্যান্ড স্রোতের সাথে মিলিত হয়। এ মিলিত স্রোতটি ল্যাব্রাডর স্রোত নামে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়েছে। তাই বলা যায়, ল্যাব্রাডর স্রোত এক ধরণের শীতল স্রোত।
৩. বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোতকে কীভাবে প্রভাবিত করে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সমুদ্রস্রোত উৎপত্তির জন্য প্রধান কারণ হলো বায়ুপ্রবাহ।
প্রবল নিয়ত বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রপৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় সমুদ্রের উপরের স্তরের পানিরাশিকে একই দিকে চালিত করে। অয়ন বায়ু প্রবাহিত এলাকায় সমুদ্রস্রোত পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে এবং পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত এলাকায় সমুদ্রস্রোত পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। এভাবেই বিভিন্ন প্রকার বায়ুপ্রবাহ সমুদ্রস্রোতকে প্রবাহিত করে।
৪. বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ার-ভাটার প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ার ভাটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। জোয়ারভাটার মাধ্যমে ভূখণ্ড হতে আবর্জনাসমূহ নদীর মধ্য দিয়ে সমুদ্রে গিয়ে পতিত হয়। নদীর মোহনা পরিষ্কার থাকে। দৈনিক দুবার জোয়ারভাটা হওয়ার ফলে ভাটার টানে নদীর মোহনায় পলি ও আবর্জনা জমতে পারে না। জোয়ারভাটার ফলে সৃষ্ট স্রোতের সাহায্যে নদীখাত গভীর হয়। বহু নদীতে ভাটার স্রোতের বিপরীত বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
৫. চন্দ্রের আকর্ষণে যে জোয়ার সংঘটিত হয় তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: চন্দ্রের আকর্ষণে মুখ্য জোয়ার সংঘটিত হয়।
চন্দ্রের আবর্তনের সময় পৃথিবীর যে অংশ চন্দ্রের সবচেয়ে সম্মুখে উপস্থিত হয় সেখানে চন্দ্রের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি হয়। স্থলভাগ অপেক্ষা জলভাগের ওপর এ আকর্ষণ শক্তির কার্যকারিতা অনেক বেশি। ফলে চারদিক হতে পানিরাশি ঐ আকর্ষণ স্থলের দিকে ধাবিত হয়। ফলে চন্দ্রের নিকটবর্তী অংশের পানিরাশি স্ফীত হয়ে ওঠে যা মুখ্য জোয়ার নামে পরিচিত।
৬. জোয়ারের পানি নদীর মোহনা দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জোয়ারের পানি নদীর মোহনা দিয়ে ভ-ভাগে প্রবেশ করলে ভূ-ভাগের ভূমিক্ষয় ও লবণাক্ত হয়।
পানি উপরের দিকে ফুলে ফেপে ওঠাকে জোয়ার বলে। এ সময় লবণাক্ত পানি নদীর মোহনা দিয়ে ভূ-ভাগে প্রবেশ করে ভূমিকে লবণাক্ত করে। এছাড়া জোয়ারে নদীর পানির স্রোতের গতি বেশি হওয়ায় ভূমির ক্ষয় বৃদ্ধি পায়।
৮. শৈবাল সাগর বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: আটলান্টিক মহাসাগরের ক্যানারি স্রোতটি ডিম্বাকারে ঘুরার কারণে এর মধ্যবর্তী পানিরাশি একেবারে স্রোতহীন থাকে। এই স্রোতহীন পানিতে ভাসমান আগাছা ও শৈবাল সঞ্চিত হয় বলে একে ও শৈবাল সাগর বলে।
৯. হিমপ্রাচীর কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত ও ল্যাব্রাডর স্রোতের প্রভাবে হিমপ্রাচীর সৃষ্টি হয়।
উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের নীল পানি উত্তর-পূর্ব দিকে এবং তার পার্শ্ব দিয়ে শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের সবুজ পানি দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়। এ দুইটি বিপরীত স্রোত পরস্পর বিপরীত দিকে প্রবাহিত হওয়ার সময় তাদের স্রোতের মধ্যবর্তী সীমারেখায় হিমপ্রাচীর সৃষ্টি হয়।
১০. ভরা কটাল বলতে কী বোঝ?
উত্তর: অমাবস্যায় চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর একই দিকে এক সঙ্গে সমসূত্রে অবস্থান করে। আবার পূর্ণিমার সময় পৃথিবীর একদিকে সূর্য ও অপরদিকে চাঁদ থাকে এবং সমসূত্রে অবস্থান করে। এর ফলে চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণশক্তি একই সঙ্গে কার্যকরী হয়।
সূর্যের আকর্ষণ চাঁদের আকর্ষণের তুলনায় কম হলেও উভয়ের মিলিত আকর্ষণ প্রবল হয়। ফলে এ দু’সময় জোয়ারের পানি খুব বেশি ফুলে ওঠে। একে ভরা কটাল বলে।
১১. গৌণ জোয়ার কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: গৌণ জোয়ার চন্দ্রের আকর্ষণস্থলের ঠিক বিপরীত দিকে অর্থাৎ প্রতিপাদ স্থানে পৃথিবীর মহাকর্ষ শক্তির প্রভাবে যে জোয়ার হয়, তাকে গৌণ জোয়ার বলে। পৃথিবী ও চন্দ্র একটি সাধারণ ভারকেন্দ্রের চারদিকে আবর্তন করে। পৃথিবীর ব্যাসার্ধ চার হাজার মাইল বলে পৃথিবীর কেন্দ্র অপেক্ষা ঐ ভারকেন্দ্র চন্দ্রের তিন হাজার মাইল নিকটে অবস্থিত। এ জন্য চন্দ্রের আকর্ষণস্থলের স্থানে পৃথিবীর মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব অনেক কম। এ কারণে চন্দ্রের আকর্ষণস্থলের বিপরীত দিকে পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে গৌণ জোয়ার হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরীয় স্রোত-
i. বেগুয়েলা স্রোত
ii. উপসাগরীয় স্রোত
iii. সুমেরু স্রোত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২. কোন স্থানে মুখ্য জোয়ার শুরু হওয়ার কত সময় পরে পুনরায় সেখানে মুখ্য জোয়ার শুরু হবে?
ক. ৬ ঘ. ১৩ মি. খ. ১২ ঘ, ২৬ মি.
গ. ১৬ ঘ, ৩৯ মি. ● ২৪ ঘ. ৫২ মি.
৩. মুখ্য জোয়ার সংঘটিত হয় পৃথিবীর কোন অবস্থানের দিকে?
ক. সূর্য যে পার্শ্বে থাকে খ. সূর্যের বিপরীত পার্শ্বে
● চন্দ্র যে পার্শ্বে থাকে ঘ. চন্দ্রের বিপরীত পার্শ্বে
৪. তেজকটাল সংঘটিত হয়-
i. অমাবস্যায়
ii. পূর্ণিমায়
iii. অষ্টমী তিথীতে
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৫. জোয়ার ভাটা সংঘটনের প্রধান কারণ-
ক. মহাকর্ষ শক্তি খ. কেন্দ্রাতিক শক্তি
গ. সূর্যের আকর্ষণ ● চন্দ্রের আকর্ষণ
৬. উষ্ণ যোত কোনটি?
ক. কুমেরু স্রোত খ. পশ্চিম গ্রীনল্যান্ড স্রোত
গ. ল্যাব্রাডার স্রোত ● গিনি স্রোত
৭. সমুদ্রস্রোতের প্রধান কারণ কোনটি?
● বায়ুপ্রবাহ খ. পৃথিবীর আবর্তন গতি
গ. উষ্ণতার তারতম্য ঘ. স্থলভাগের অবস্থান
৮. অষ্টমী তিথিতে কোন জোয়ার দেখা যায়?
ক. মুখ্য জোয়ার খ. গৌণ জোয়ার
● মরা কটাল ঘ. তেজকটাল
৯. চন্দ্র ও সূর্যের জোয়ার উৎপাদন করার ক্ষমতার অনুপাত কত?
ক. ১১ : ৪ ● ১১ : ৫
গ. ১১ : ৬ ঘ. ১১ : ৭
১০. ভারত মহাসাগরীয় স্রোত কোনটি?
ক. ক্যানারী খ. ইরমিনজার
গ. বাহামা ● আগুলহাস
১১. কোন কারণে সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি হয়?
i. পৃথিবীর আবর্তন
ii. বায়ুপ্রবাহ
iii. উষ্ণতার তারতম্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
১২. কোনটি উষ্ণ স্রোত?
ক. পশ্চিম গ্রীনল্যান্ড স্রোত খ. পূর্ব গ্রীনল্যান্ড স্রোত
গ. ল্যাব্রাডর স্রোত ● উপসাগরীয় স্রোত
১৩. একটি মূল স্রোত থেকে আরেকটি স্রোতের সৃষ্টি কী কারণে হয়?
● ভূভাগের অবস্থান খ. সমুদ্রের লবণাক্ততা
গ. বাষ্পীভবনের তারতম্য ঘ. বায়ু চাপ
১৪. দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরীয় স্রোত কোনটি?
ক. ক্যানারি স্রোত খ. উপসাগরীয় স্রোত
গ. ল্যাব্রাডর স্রোত ● কুমেরু স্রোত
১৫. উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরীয় স্রোত কোনটি?
ক. কুমেরু স্রোত খ. বেগুয়েলা স্রোত
গ. ব্রাজিল স্রোত ● ক্যানারি স্রোত
১৬. দক্ষিণ ভারত মহাসাগরীয় স্রোত কোনটি?
● মোজাম্বিক স্রোত খ. সোমালি স্রোত
গ. মৌসুমি স্রোত ঘ. শীতকালীন মৌসুমি স্রোত
১৭. উত্তর ভারত মহাসাগরীয় স্রোত কোনটি?
ক. কুমেরু স্রোত খ. মাদাগাস্কার স্রোত
গ. মোজাম্বিক স্রোত ● সোমালি স্রোত
১৮. সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা বড়-
ক. এক কোটি ষাট লক্ষ গুণ ● দুই কোটি ষাট লক্ষ গুণ
গ. তিন কোটি ষাট লক্ষ গুণ ঘ. তিন কোটি আশি লক্ষ গুণ
১৯. পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মহাসাগর কোনটি?
ক. আটলান্টিক মহাসাগর ● ভারত মহাসাগর
গ. প্রশান্ত মহাসাগর ঘ. দক্ষিণ মহাসাগর
২০. প্রত্যয়ন বায়ু প্রবাহিত এলাকায় সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হয়-
ক. পূর্ব হতে পশ্চিমে ● পশ্চিম হতে পূর্বে
গ. উত্তর হতে দক্ষিণে ঘ. পূর্ব হতে দক্ষিণে
২১. নিরক্ষীয় অঞ্চলের পানিরাশি অধিক উষ্ণ হওয়ার কারণ-
● সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয় খ. সূর্য তীর্যকভাবে কিরণ দেয়
গ. সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হয় ঘ. লবণাক্ততার তারতম্যের জন্য
২২. স্কটল্যান্ড ও গ্রিনল্যান্ডের সংযোগকারী শৈলশিরা কোনটি?
● ওরেভীল থমসন খ. চ্যাগস
গ. ডলফিন ঘ. চ্যালেঞ্জার
২৩. উপসাগরীয় স্রোতের উদ্ভব কোনটি থেকে?
ক. পশ্চিম গ্রিনল্যান্ড স্রোত থেকে
● দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোত থেকে
গ. ক্যানারি স্রোত থেকে
ঘ. সুমেরু স্রোত থেকে
২৪. উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত কয়টি শাখায় বিভক্ত?
ক. ২টি ● ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
২৫. নিচের কোনটি উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের শাখা?
● ক্যানারি স্রোত খ. সুমেরু স্রোত
গ. ল্যাব্রাডর স্রোত ঘ. গিনি স্রোত
২৬. ব্রাজিল স্রোতটি নিচের কোন স্রোতের শাখা?
● দক্ষিণ নিরক্ষীয় খ. কুমেরু স্রোত
গ. বেগুয়েলা স্রোত ঘ. ফকল্যান্ড স্রোত
২৭. সোমালি স্রোতটি কোন মহাসাগরের?
● উত্তর ভারত মহাসাগরীয়
খ. দক্ষিণ ভারত মহাসাগরীয়
গ. উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরীয়
ঘ. দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরীয়
২৮. কত সময় পরপর সমুদ্রের পানি নিয়মিতভাবে হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে?
ক. প্রতি ৬ ঘন্টায় খ. প্রতি সাড়ে ছয় ঘণ্টায়
গ. প্রতি ১২ ঘণ্টায় ● প্রতি সাড়ে বারো ঘন্টায়
২৯. চন্দ্রের আবর্তনের সময় পৃথিবীর যে অংশ চন্দ্রের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় সেখানে কী হয়?
● চন্দ্রের আকর্ষণ বেশি খ. চন্দ্রের আকর্ষণ কম
গ. সূর্যের আকর্ষণ বেশি ঘ. সূর্যের আকর্ষণ কম
৩০. অমাবস্যা তিথিতে একই সরল রেখায় অবস্থান করে কোনটি?
ক. চন্দ্র-সূর্য ● চন্দ্র, সূর্য ও পৃথিবী
গ. চন্দ্র ও পৃথিবী ঘ. সূর্য ও পৃথিবী
৩১. চন্দ্র তার নিজের কক্ষপথে কত দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে?
ক. ২৭ দিনে খ. ২৭ দিনে
গ. ২৯ দিনে ● ২৯ দিনে
৩২. নিচের কোনটি উপকূলবর্তী জেলা?
● বরগুনা খ. রংপুর
গ. রাজশাহী ঘ. পঞ্চগড়
৩৩. জোয়ারের পানি খাড়ি ও মোহনা দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে তাকে কী বলে?
ক. স্রোত খ. বন্যা
গ. সুনামি ● জোয়ারের বান
৩৪. নিরক্ষীয় বিপরীত স্রোতটি প্রবেশ করেছে-
ক. ক্যারিবিয়ান সাগরে ● গিনি উপসাগরে
গ. ভারত মহাসাগরে ঘ. মেক্সিকো উপসাগরে
৩৫. ফকল্যান্ড স্রোতটি উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে কোন স্রোতের সাথে মিশে যায়?
ক. বেগুয়েলা স্রোত খ. কুমেরু স্রোত
● ব্রাজিল স্রোত ঘ. দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোত
৩৬. পৃথিবীর কেন্দ্র ও পানির উপরিভাগের ওপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তির তারতম্যের কারণে কোনটি সংঘটিত হয়?
ক. ভূমিকম্প খ. সুনামি
গ. জলোচ্ছ্বাস ● জোয়ারভাটা
৩৭. পৃথিবীর একবার আবর্তনের সময় চন্দ্র নিজ কক্ষে অগ্রসর হয়-
● ১৩° পথ খ. ১৫° পথ
গ. ১৯° পথ ঘ. ২৩° পথ
৩৮. সোমবার ১২ টায় মুখ্য জোয়ার হলে, একই স্থানে মঙ্গলবার মুখ্য জোয়ার হবে-
ক. ১২.০০ টায় খ. ১২.০৬ মি.
গ. ১২.৩০ মি. ● ১২.৫২ মি.
৩৯. বাংলাদেশের উপকূল রেখার দৈর্ঘ্য কত?
ক. ১৫৫ কি.মি. ● ৭১২ কি.মি.
গ. ৩৭১৫ কি.মি. ঘ. ৪৭১৯ কি.মি.
৪০. সমুদ্রে মূলস্রোত সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাববিস্তার করে না-
ক. লবণাক্ততার তারতম্য খ. বাষ্পীভবনের তারতম্য
গ. সমুদ্রের গভীরতা ● শৈলশিরায় অবস্থান
৪১. জোয়ারভাটার ফলে-
i. নদীর পানি নির্মল থাকে
ii. বদ্বীপ গঠনে বাধা পড়ে
iii. নদীখাত গভীর হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪২. উষ্ণ পানি আয়তনে বৃদ্ধি পেয়ে-
i. হালকা হয়
ii. ঘনত্ব কমে
iii. লবণাক্ত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৪৩. অধিক লবণাক্ত পানি কম লবণাক্ত পানি অপেক্ষা
i. ঘন
ii. ভারী
iii. চাপ বেশি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৪. উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরীয় স্রোত-
i. সুমেরু স্রোত
ii. ল্যাব্রাডর স্রোত
iii. গিনি স্রোত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৫. দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরীয় স্রোত-
i. কুমেরু স্রোত
ii. বেগুয়েলা স্রোত
iii. গিনি স্রোত
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৪৬. দক্ষিণ ভারত মহাসাগরীয় স্রোত-
i. মাদাগাস্কার
ii. মোজাম্বিক
iii. আগুলহাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৪৭ ও ৪৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
সাগর পশুর নদী দিয়ে সুন্দরবনের করমজল যাওয়ার পর বনের ভেতরে ছোট ছোট নদীতে দেখল কোনো পানি নেই। দুপুরের পর দেখল নদী পানিতে ভরে গেছে।
৪৭. দুপুরের পর নদী পানিতে ভরে যাওয়ার কারণ-
ক. জলোচ্ছাস ● জোয়ার
গ. ভাটা ঘ. সুনামি
৪৮. উক্ত ঘটনার প্রভাবে-
i. নদীর পানি নির্মল হয়
ii. নদী নৌ চলাচলের যোগ্য থাকে
iii. উপকূলীয় অঞ্চলে শিল্পকারখানা গড়ে উঠে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৪৯ ও ৫০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
হাফিজ তার বোনের বাড়ি পটুয়াখালী বেড়াতে গিয়ে দেখল সেখানে বিশেষ পদ্ধতিতে পানি আটকিয়ে একটি চাষ হচ্ছে। সে তার দুলাভাইয়ের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বললেন এ ধরনের চাষের জন্য লোনা পানি দরকার।
৪৯. উদ্দীপকে কোন চাষের কথা বলা হয়েছে?
● লবণ চাষ খ. মাছ চাষ
গ. কাঁকড়া চাষ ঘ. কুমির চাষ
৫০. উদ্দীপকে উল্লিখিত চাষটির জন্য প্রয়োজন-
i. লোনা পানি
ii. জোয়ারভাটা
iii. সুলভ শ্রমিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৯ম অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. কার্বন চক্র ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রকৃতির কার্বন যে প্রক্রিয়ায় CO2, গ্যাসরূপে পরিবেশ থেকে জীবদেহে এবং জীবদেহ থেকে পরিবেশে আবর্তিত হয়ে প্রকৃতিতে কার্বনের সমতা বজায় রাখে তাই কার্বনচক্র। যেমন- উদ্ভিজ্জাত পদার্থ (কাঠ, কয়লা, পেট্রোল ইত্যাদি) দহন ক্রিয়ায় কার্বন যৌগ ভেসে CO2, গ্যাস নির্গত হয়ে বায়ুম-লে মিশে যায়।
২. স্রোতজ বনভূমি গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য বনভূমি হলো স্রোতজ বনভূমি বা সুন্দরবন।
নদীবাহিত উর্বর পলল মৃত্তিকা, সমুদ্রের জোয়ারভাটা ও লোনা পানি এ এলাকার বৃক্ষের উপযোগী। পরিমিত তাপমাত্রা, প্রচুর বৃষ্টিপাত, বিরল জনবসতি প্রভৃতির প্রভাবে স্রোতজ বনভূমি গড়ে উঠেছে।
৩. নাইট্রোজেন চক্রের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যে চক্রাকার পথে বায়ুম-লের নাইট্রোজেন জীবদেহে এবং সেখান থেকে পুনরায় বায়ুম-লে আবর্তিত হয় এবং পরিবেশে নাইট্রোজেনের সমতা বজায় থাকে তাকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।
সবুজ উদ্ভিদ মাটি থেকে নাইট্রাইট, নাইট্রেট এবং কোনো ক্ষেত্রে অ্যামোনিয়াম আকারে অজৈব নাইট্রোজেন গ্রহণ করে। এ নাইট্রোজেন পরবর্তীতে নাইট্রোজেন জাতীয় জৈব যৌগে রূপান্তরিত হয়। উদ্ভিদ থেকে এ নাইট্রোজেন গৃহীত খাদ্যের মাধ্যমে প্রাণিদেহে প্রবেশ করে। আর কৃষিকাজে প্রাকৃতিক নাইট্রোজেন ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে। এভাবে নাইট্রোজেন চক্র জীবকূলের অস্তিত্ব রক্ষায় ভূমিকা পালন করে।
৪. উদ্ভিদ ও প্রাণীর স্থানিক ভিন্নতার ক্ষেত্রে প্রভাববিস্তারকারী কারণসমূহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পৃথিবীর কোনো স্থানে উদ্ভিদ ও প্রাণী খুবই সমৃদ্ধ আবার কোনো কোনো স্থানে উদ্ভিদ ও প্রাণী খুবই কম।উদ্ভিদ ও প্রাণীর স্থানিক ভিন্নতার কারণ হিসেবে সর্বপ্রথম ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখযোগ্য। পর্বত, উপদ্বীপ, উঁচুভূমি ইত্যাদি অবস্থানে উদ্ভিদ ও প্রাণীর ভিন্নতা দেখা যায়। এক্ষেত্রে ভৌগোলিক সীমা ও আয়তনও উক্ত স্থানের উদ্ভিদ ও প্রাণীর ভিন্নতার প্রভাবক। সর্বোপরি বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন জলবায়ুর প্রভাব উদ্ভিদ ও প্রাণীর স্থানিক ভিন্নতার মূল কারণ।
৫. জীববৈচিত্র্যের স্থানিক বিভিন্নতার কারণ কী ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: জীববৈচিত্র্যের স্থানিক বিভিন্নতার কারণ হলো পরিবেশগত ও বংশগত।
পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ লক্ষ করা যায়। একই প্রজাতির উদ্ভিদ কিংবা প্রাণী ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে বসবাস করার কারণে তাদের মধ্যে নানা ধরনের বৈচিত্র্য দেখা যায়। আবার, জীনের মাধ্যমে জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্যাবলি বংশানুক্রমে ধারাবাহিকভাবে স্থানান্তর হয়। জীনের গঠন এবং বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটলে একই প্রজাতির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।
৬. বায়োম বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বায়োম হলো পরিবেশ প্রণালির মধ্যে বৃহত্তম একক। উদ্ভিদ, প্রাণিজগৎ, মাটি ও জলবায়ুর সাথে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে যে বাস্তুতান্ত্রিক বা ইকোসিস্টেম একক গড়ে ওঠে তাকে বায়োম বলে।
যেকোনো অঞ্চলের জলবায়ুর প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে সে অঞ্চলে বসবাসকারী জীবকুল ও উদ্ভিদকুলের প্রজাতি বিন্যাসের ধরন। একটি নির্দিষ্ট বায়োম অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত সব ধরনের জীবকুল ও উদ্ভিদকুলের অভিযোজন নির্ভর করে সে অঞ্চলের জলবায়ু বিশেষ করে বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার ওপর।
৭. পরভোজী জীব বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যেসব জীব বেঁচে থাকার জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল তাদেরকে পরভোজী জীব বলে। সকল প্রাণী গোষ্ঠী, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া নিজেরা নিজেদের খাদ্য তৈরি করতে পারে না। যে কারণে এ সকল জীব বেঁচে থাকার জন্য। স্বভােজী জীবের উৎপাদিত খাদ্যের মাধ্যমে আহরণ করে। কিছু পরভোজী জীব আবার পরোক্ষভাবে স্বভোজী উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল।
৮. চিরসবুজ বৃক্ষের অরণ্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যে বনভূমির বৃক্ষের সকল পাতা এক সাথে ঝরে যায় না সে বনভূমিকে চিরসবুজ বৃক্ষের অরণ্য বলা হয়। অধিক বৃষ্টিযুক্ত অঞ্চলে এ বনভূমি পরিলক্ষিত হয়। যেমন- গর্জন, মেহগনি ইত্যাদি।
৯. কেন আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন?
উত্তর: যোগাযোগের উন্নয়নের ওপর দেশের উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভরশীল।
কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে যোগাযোগ। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে সবকিছুতেই এর প্রভাব পড়ে। যুগোপযোগী, সুসংগঠিত ও আধুনিক পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অতীব প্রয়োজন।
১০. বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে বনভূমি কীভাবে ভূমিকা রাখে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বনভূমি বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে ও মাটির উর্বরতাশক্তি বৃদ্ধি করে কৃষি উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
বনভূমি দেশের আবহাওয়াকে আর্দ্র রাখে। ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে। যা কৃষি উন্নয়নে সহায়ক। কারণ কৃষিকাজে বিভিন্ন পর্যায়ে বৃষ্টিপাতের বা পানির প্রয়োজন হয়। এছাড়া বনভূমি মাটির ক্ষয়রোধ ও উর্বরতাশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. ইকোসিস্টেমের প্রধান উপাদান কয়টি?
● ২ খ. ৩
গ. ৪ ঘ. ৫
২. জীবমণ্ডলের বৃহৎ ভৌগোলিক একক হচ্ছে-
ক. ইকোসিস্টেম খ. ইকোলজি
গ. বায়োমাস ● বায়োম
৩. রান বনভূমি রয়েছে কোন জেলায়?
ক. যশোর খ. মাগুরা
● খুলনা ঘ. কুষ্টিয়া
৪. গ্রিনল্যান্ড অঞ্চলে কোন বায়োম দেখা যায়?
ক. সাভানা ● তুন্দ্রা
গ. তৃণভূমি ঘ. বনভূমি
৫. কলকারখানার ধোয়া থেকে নির্গত হয় কোনটি?
ক. নিয়ন ● কার্বন
গ. জেনন ঘ. আর্গন
৬. বাংলাদেশে স্রোতজ বনভূমি দেখা যায় কোন জেলায়?
ক. টাংগাইল খ. দিনাজপুর
● সাতক্ষীরা ঘ. কুমিল্লা
৭. বনভূমির পরিমাণ বেশি কোন বিভাগে?
● চট্টগ্রাম খ. খুলনা
গ. রাজশাহী ঘ. সিলট
৮. জীবমন্ডলের কয়টি অংশ?
ক. ২টি ● ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
৯. এ পর্যন্ত কত প্রকার জীবকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে?
ক. ১৫:৫ লক্ষ খ. ১৬.৫ লক্ষ
● ১৭.৫ লক্ষ ঘ. ১৮.৫ লক্ষ
১০. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমির আয়তন কত?
ক. ৯১৪ বর্গ কি.মি. খ. ৬ হাজার ৭৮৬ বর্গ কি.মি.
গ. ১৪ হাজার ২৭১ বর্গ কি.মি. ● ১৫ হাজার ৩২৬ বর্গ কি.মি.
১১. স্রোতজ বনভূমি বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে অবস্থিত?
ক. উত্তর-পূর্ব ● দক্ষিণ-পশ্চিম
গ. দক্ষিণ-পূর্ব ঘ. উত্তর-পশ্চিম
১২. ক্রান্তীয় পত্র পতনশীল বৃক্ষের বনভূমিকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
● ২ খ. ৩
গ. ৪ ঘ. ৫
১৩. কোন জেলায় মধুপুর ও ভাওয়ালের বনভূমির পরিমাণ বেশি?
ক. ময়মনসিংহ ● টাঙ্গাইল
গ. গাজীপুর ঘ. রংপুর
১৪. বরেন্দ্র বনভূমির অবস্থান কোথায়?
● রংপুর খ. ময়মনসিংহ
গ. গাজীপুর ঘ. খুলনা
১৫. সুন্দরবনের পশ্চিমে কোন নদী?
● রায়মঙ্গল খ. বুড়িশ্বর
গ. দুধমুখো ঘ. পশুর
১৬. জীবের মধ্যে বিদ্যমান সকল প্রকার বৈচিত্র্যময়তাকে কী বলে?
ক. পরিবেশ বৈচিত্র্য খ. আবহাওয়াবৈচিত্র্য
● জীববৈচিত্র্য ঘ. মৃত্তিকা বৈচিত্র্য
১৭. জীনগত, প্রজাতিগত এবং বাস্তুতান্ত্রিকগত কারণে যে বৈচিত্র্য সংঘটিত হয় তাকে কী বলে?
● জীববৈচিত্র্য খ. পরিবেশ বৈচিত্র্য
গ. জলবায়ু বৈচিত্র্য ঘ. মৃত্তিকা বৈচিত্র্য
১৮. মানুষের চুলের প্রকৃতি ও বর্ণ, নাক ও ঠোটের আকৃতি ও উচ্চতার দিক দিয়ে কীরূপ?
● অনেক পার্থক্য বিদ্যমান খ. সবাই একই প্রকৃতির
গ. কোনাে পার্থক্য নেই ঘ. সামান্য কিছু পার্থক্য আছে
১৯. ভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যে বিরাজমান বৈচিত্র্যতাকে কী বলে?
● প্রজাতিগত বৈচিত্র্য খ. জীনগত বৈচিত্র্য
গ. বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য ঘ. পরিবেশিক বৈচিত্র্য
২০. কোনটি স্থলজ বায়োম?
● ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনভূমির বায়োম
খ. মোহনা অঞ্চলের বায়োম
গ. দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাওড়
ঘ. কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার হাওড়
২১. সুন্দরবনের একেবারে পশ্চিমাংশের মৃতপ্রায় বদ্বীপ এলাকা কীরূপ?
ক. লবণাক্ত নয় খ. মৃদু লবণাক্ত
গ. পরিমিত লবণাক্ত ● চরম লবণাক্ত
২২. সুন্দরবনের উত্তরাংশ-
ক. লবণাক্ত নয় ● মৃদু লবণাক্ত
গ. পরিমিত লবণাক্ত ঘ. চরম লবণাক্ত
২৩. সুন্দরবনের পরিমিত লবণাক্ত অঞ্চল কোনটি?
ক. উত্তরাংশ ● সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকা
গ. পূর্বাংশ ঘ. পশ্চিমাংশ
২৪. সুন্দরবনের ৯৯ ভাগ বনভূমি কোন এলাকায় অবস্থিত?
ক. পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা
● সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট
গ. খুলনা, পটুয়াখালী, বরগুনা
ঘ. সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরগুনা
২৫. ভূপৃষ্ঠের কতভাগ স্থান দখল করে আছে সাগর?
● ৭০ ভাগ খ. ৮০ ভাগ
গ. ৮৫ ভাগ ঘ. ৯০ ভাগ
২৬. বায়োমকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?
● ২ খ. ৩
গ. ৪ ঘ. ৫
২৭. Arthur George Tansley কত সালে ইকোসিস্টেম শব্দটি ব্যবহার করেন?
● ১৯৩৫ খ. ১৯৩৭
গ. ১৯৩৯ ঘ. ১৯৪২
২৮. বৈশিষ্ট্য আলাদা হওয়াতে বাঘ এবং সিংহ একই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত নয়-
i. ক্রোমোসোম
ii. জীনসংখ্যা
iii. মূল বৈশিষ্ট্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
২৯. ওরিয়েন্টাল জীব অঞ্চলের অন্তর্গত-
i. ভারত
ii. শ্রীলঙ্কা
iii. বাংলাদেশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৩০. ওরিয়েন্টাল অঞ্চলে জলবায়ু লক্ষ্য করা যায়-
i. নিরক্ষীয় জলবায়ু
ii. মৌসুমি জলবায়ু
iii. ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩১ ও ৩২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দেশের একটি উল্লেখযোগ্য জলজ বায়োম গড়ে উঠেছে। বায়োম অঞ্চলটি আবার দেশের বৃহৎ হাওড় হিসেবে পরিচিত।
৩১. উদ্দীপকে কোন জলজ বায়োমের কথা বলা হয়েছে?
● হাকালুকি হাওড় খ. চলন বিল
গ. কর্ণফুলী লেক ঘ. নেত্রকোনার হাওড়
৩২. উদ্দীপকে উল্লিখিত জলজ বায়োমটি কোন জেলায়?
ক. কিশোরগঞ্জ ● সিলেট
গ. ময়মনসিংহ ঘ. নেত্রকোনা
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৩ ও ৩৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
একাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে সফরে গেল। তারা সেখানে এক ধরনের বনাঞল দেখল এবং সে বনভূমির বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষ করল এবং সেখানকার একটি জেলায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দেখে অভিভূত হলো।
৩৩. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত পর্বতশৃঙ্গটি বাংলাদেশের কোন জেলায়?
ক. চট্টগ্রাম ● বান্দরবান
গ. কক্সবাজার ঘ. রাঙামাটি
৩৪. উদ্দীপকে উল্লিখিত বনাঞ্চলের বৈশিষ্ট্য-
i. গাছের পাতা বছরে একবার ঝরে যায়
ii. সকল পাতা এক সঙ্গে ঝরে পড়ে না
iii. বনভূমির বৃক্ষগুলোর গোড়ায় শ্বাসমূল দেখা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ● i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩৫ ও ৩৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
হিমেল তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর দেখতে গেল। সেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করছে। অনেক ধরনের যাত্রী আসা যাওয়া করছে।
৩৫. হিমেলের দেখা অধিকাংশ আমেরিকার মানুষের গায়ের রং কীরূপ?
ক. কৃষ্ণাঙ্গ খ. বাদামি
● শ্বেতাঙ্গ ঘ. ধূসর
৩৬. অধিকাংশ কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ বাস করে-
i. ইথিওপিয়ায়
ii. সুদানে
iii. কেনিয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৩৭. নাইট্রেট প্রথমে কিসে পরিণত হয়?
ক. হিলিয়ামে খ. আয়নে
গ. অক্সিজেনে ● অ্যামোনিয়াতে
৩৮. নাইট্রোজেন কিসের মাধ্যমে প্রাণিদেহে প্রবেশ করে?
ক. ঘামের খ. রক্তের
● খাদ্যের ঘ. বাতাসের
৩৯. ভিন্ন প্রজাতির জীবের বিরাজমান বৈচিত্র্যকে বলা হয়-
ক. জীনগত বৈচিত্র্য ● প্রজাতিগত বৈচিত্র্য
গ. বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য ঘ. কোনোটাই সঠিক নয়
৪০. বাংলাদেশের মোট কাঠের প্রায় ৬০% কোন বনাঞ্চলে পাওয়া যায়?
ক. রংপুর ও দিনাজপুর বনাঞ্চলে
খ. মধুপুর ও ভাওয়ালের বনভূমি অঞ্চলে
গ. রাঙামাটি ও বান্দরবান অঞ্চলে
● গরান বা স্রোতজ বৃক্ষের বনভূমি অঞ্চলে
৪১. কার্বনচক্রে কী ছাড়া জৈব পদার্থ তৈরি হতে পারে না?
ক. অক্সিজেন খ. নাইট্রোজেন
● কার্বন ঘ. হাইড্রোজেন
৪২. নাইট্রোজেন চক্র কয়টি ধাপে সম্পন্ন হয়?
ক. ৩টি খ. ৪টি
● ৫টি ঘ. ৬টি
৪৩. জীববৈচিত্র্য সংঘটিত হয় কী কারণে?
i. জীনগত কারণে
ii. প্রজাতিগত কারণে
iii. বাস্তুতান্ত্রিকগত কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
৪৪. বাংলাদেশে ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বৃক্ষের বনভূমি অবস্থিত-
i. মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়ে
ii. রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে
iii. সুন্দরবন এলাকায়
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৪৫. বিশ্বের মোট বনভূমির আয়তন কত বর্গ কি.মি.
● ৮৩ লাখ ৪০ হাজার খ. ৮৩ লাখ ৫৬ হাজার
গ. ৮৪ লাখ ২২ হাজার ঘ. ৮৫ লাখ ৪০ হাজার
৪৬. কোনটি Endemic জীব?
ক. কুমির খ. বাঘ
গ. ময়না ● কালো বানর
৪৭. কোন নদীর অববাহিকায় সবচেয়ে বড় বন অবস্থিত?
ক. কঙ্গো খ. ব্রহ্মপুত্র
গ. নীলনদ ● আমাজান
৪৮. কোনটি তুন্দ্রা অঞ্চলের প্রাণী?
ক. ঘোড়া খ. জিরাফ
গ. ঈগল ● খরগােশ
৪৯. মরুভূমির প্রাণীরা কখন চলাচল করে?
ক. সকালে খ. দুপুরে
গ. বিকেলে ● রাতে
৫০. খাদক জীবনধারণের জন্যে কিসের ওপর নির্ভরশীল?
ক. সূর্য খ. পরিবেশ
● উৎপাদক ঘ. বিয়োজক
১০ম অধ্যায়
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১. বিভিন্ন প্রকার স্কেলের নাম লেখ।
উত্তর: মানচিত্রের যেকোনো দুটি স্থানের মধ্যে দূরত্ব এবং ভূপৃষ্ঠে বা ভূমিভাগে ঐ দু’টি স্থানের মধ্যে প্রকৃত দূরত্বের যে অনুপাত বা সম্পর্ক, তাকে মাপনী বা স্কেল বলে। বিভিন্ন প্রকার স্কেল হচ্ছে-
i. সরল স্কেল,
ii. কর্ণীয় স্কেল,
iii. তুলনামূলক স্কেল,
iv. বিশেষ ধরনের স্কেল ও
v. ভার্নিয়ার স্কেল।
২. রৈখিক স্কেলের সুবিধাগুলো ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: রৈখিক স্কেলে মানচিত্রের দূরত্ব ভূমিভাগের দূরত্বের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যক্ষভাবে অতি সহজেই পরিমাপ করা যায়।
মানচিত্রে রৈখিক স্কেলের সুবিধা হলো এই যে, মানচিত্রটিকে ছবিতে ছোট বড় করলে স্কেলটিও সে অনুপাতে ছোট বা বড় হয়ে সঠিকভাবেই মাপ নির্দেশ করে থাকে, যা অন্য ধরনের স্কেলে সম্ভব হয় না।
৩. বর্গ পদ্ধতিতে মানচিত্রকে কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায়?
উত্তর: ছোট ও বড় ছক বা বর্গ, অঙ্কনের সাহায্যে যখন মানচিত্র ছোট ও বড় করা হয়, তখন তাকে ছক বা বর্গ পদ্ধতি বলে।
বর্গ পদ্ধতিতে সর্বপ্রথম মানচিত্রকে নির্দিষ্ট মাপের বাহুবিশিষ্ট কতিপয় বর্গক্ষেত্রে বিভক্ত করা হয়। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন মানচিত্রের স্কেল অনুসারে অন্য কাগজে তুলনামূলকভাবে বৃহৎ আকৃতির বাহুবিশিষ্ট সমপরিমাণ বর্গক্ষেত্র অঙ্কন করা হয়। এ পদ্ধতিতে মানচিত্রের সম্প্রসারণ করতে হলে সর্বপ্রথম নির্ণয় করতে হবে মানচিত্রটিকে কতগুণ সম্প্রসারণ করতে হবে। নতুন মানচিত্রের স্কেলকে পুরাতন (মূল মানচিত্র) মানচিত্রের স্কেল দিয়ে ভাগ করলেই মানচিত্র কতগুণ বড় করতে হবে তা পাওয়া যাবে।
৪. মানচিত্রে স্কেল কীভাবে প্রকাশ করা যায় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মানচিত্রে স্কেল নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা যায়-
১. সরল স্কেল,
২. কর্ণীয় স্কেল,
৩. তুলনামূলক স্কেল,
৪. বিশেষ ধরনের স্কেল ও
৫. ভার্নিয়ার স্কেল।
৫. প্রতিভূ অনুপাত কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের দুইটি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্ব এবং মানচিত্রে ঐ দুইটি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্বকে যে ভগ্নাংশ দ্বারা প্রকাশ করা হয়, তাকে প্রতিভূ অনুপাত বলে। অর্থাৎ মানচিত্রের দূরত্ব/ভূমির দূরত্ব।
প্রতিভূ অনুপাত = মানচিত্রে দূরত্ব (লব-এর একক সংখ্যাটি মানচিত্রের দূরত্ব বোঝায়) ভূপৃষ্ঠের দূরত্ব (হর-এর সংখ্যাগুলো ভূমির প্রকৃত দূরত্ব বোঝায়)।
৬. মৌজা মানচিত্র কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যে মানচিত্রে গ্রামের ভূমি জরিপ করে বিভিন্ন ভূসম্পত্তি, কৃষিক্ষেত্র, দালানকোঠা, পুকুর ইত্যাদির সীমানা অঙ্কন করা হয়, তাকে মৌজা মানচিত্র বলে।
এ মানচিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন জমির মালিকানা নথিভুক্ত করা হয়। মৌজা মানচিত্র ১৬” = ১ মাইল এবং ২৫” = ১ মাইল; বাংলাদেশের ১৬” = ১ মাইল থেকে ৬৪” = ১ মাইল স্কেলে এবং অন্যান্য দেশে ১ : ২০,০০০ ধরে অঙ্কন করা হয়।
৭. মানচিত্রের স্কেল বলতে কী বোঝ?
উত্তর: মানচিত্রে ব্যবহৃত মাপনী, অর্থাৎ মানচিত্রের দুটি স্থানের দূরত্বের সঙ্গে প্রকৃত দূরত্বের সম্পর্ককে স্কেল বলে।সাধারণত মানচিত্রে দুটি স্থানের দূরত্বের সাথে প্রকৃত দূরত্বের সম্পর্ককে অনুপাতে বোঝানো হয়। যেমন: মানচিত্রের স্কেল যদি ১= ১০ মাইল হয় তবে এর অর্থ হলো মানচিত্রের দুই স্থানের দৈর্ঘ্য বা দূরত্ব যেখানে তার প্রকৃত দূরত্ব হলো ১০ মাইল। রেখা অঙ্কন করে, প্রতিভূ অনুপাতের মাধ্যমে মানচিত্রের স্কেল নির্দেশ করা হয়।
৮. কণীয় মাপনী বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যখন কোনো চতুর্ভুজ বা বহুভুজ ক্ষেত্রের পরস্পর বিপরীত কোণদ্বয় সংযোজক সরলরেখার সাহায্যে পরিমাপ করা যায়, তখন তাকে কর্ণীয় মাপনী বলা হয়।
সাধারণত সরল মাপনী মুখ্য ও গৌণ এ দুটি অংশে বিভক্ত। কিন্তু কর্ণ মাপনীতে গৌণ বিভাগগুলো অপেক্ষা আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগ থাকে। এ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগগুলো মাপনীর উপরের দিকে থাকে যার সাহায্যে দশমিক বা একই জাতীয় দুই বা তিন প্রকার এককের (যেমন- গজ, ফুট, ইঞ্জি ইত্যাদি) মাপ সহজেই গ্রহণ করা সম্ভব হয়। ফলে এ ধরনের মাপনীর সাহায্যে নিখুঁতভাবে মানচিত্র অঙ্কন করা যায়।
৯. স্কেল প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মাপনী বা স্কেলের প্রয়োজনীয়তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
নকশা বা মানচিত্র তৈরির সময় মাপনী বা স্কেল প্রকাশের প্রয়োজন। সমগ্র পৃথিবী বা তার অংশবিশেষ স্বল্প পরিসর কাগজে অঙ্কন করতে স্কেল এর প্রয়োজন হয়। কোনো মানচিত্রের আয়তন একস্থান থেকে অন্যস্থানের দূরত্ব জানার জন্য স্কেল প্রকাশের প্রয়োজন রয়েছে। জরিপকার্যের জন্য স্কেল প্রকাশের প্রয়োজন রয়েছে।
১০. মানচিত্র ছোট ও বড় করার পদ্ধতিগুলো কী কী?
উত্তর: মানচিত্রের সম্প্রসারণ ও সংকোচনের জন্য যেসব পদ্ধতি প্রচলিত আছে সেগুলোর মধ্যে সচরাচর ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো ছক বা বর্গ পদ্ধতি, সম-ত্রিভুজ পদ্ধতি এবং যান্ত্রিক পদ্ধতি।
ছোট ও বড় ছক বা বর্গ অঙ্কনের সাহায্যে যে মানচিত্র ছোট ও বড় করা হয় তাকে ছক বা বর্গ পদ্ধতি বলে। একই প্রকার ছোট বা বড় ত্রিভুজ অঙ্কন করে যখন মানচিত্রকে ছোট বা বড় করা হয় তখন তাকে সম-ত্রিভুজ পদ্ধতি বলে। আবার বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে যেমন- পেন্টোগ্রাফ, এইডোগ্রাফ, ক্যামেরা ইত্যাদির সাহায্যে যখন মানচিত্রকে ছোট বা বড় করা হয় তখন তাকে যান্ত্রিক পদ্ধতি বলে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন:
১. নিচের কোনটি বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র?
ক. দেয়াল মানচিত্র খ. ভূচিত্রাবলির মানচিত্র
● মৌজা মানচিত্র ঘ. পৃথিবীর মানচিত্র
২. প্রাকৃতিক মানচিত্র কোনটি?
● মৃত্তিফা মানচিত্র খ. ভূমি ব্যবহার মানচিত্র
গ. উপাত্তের বণ্টন মানচিত্র ঘ. ছায়াপাত মানচিত্র
৩. তথ্যভিত্তিক মানচিত্রকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
● ২ ভাগে খ. ৩ ভাগে
গ. ৪ ভাগে ঘ. ৫ ভাগে
৪. নিচের কোন স্কেলটি পৃথিবীর সকল দেশে ব্যবহার উপযোগী?
ক. বর্ণনামূলক স্কেল ● প্রতিভূ অনুপাত স্কেল
গ. রৈখিক স্কেল ঘ. কর্ণীয় স্কেলে
৫. কর্ণীয় স্কেলে কয়টি পর্যায়ের পাঠ গ্রহণ করা যায়?
ক. ২টি ● ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
৬. মানচিত্রে স্কেল প্রদর্শনের পদ্ধতি কয়টি?
ক. ২টি ● ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
৭. ১ ইঞ্জিতে ১ মাইল প্রতিভূ অনুপাত হবে-
ক. ১ : ১ খ. ১ : ৩৬
গ. ১ : ১৭৬০ ● ১ : ৬৩৩৬০
৮. শ্রেণিকক্ষে কোন মানচিত্র ব্যবহার করা হয়?
ক. সাংস্কৃতিক মানচিত্র খ. আন্তর্জাতিক মানচিত্র
গ. মৌজা মানচিত্র ● দেয়াল মানচিত্র
৯. যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর অবস্থান জানতে কী ব্যবহৃত হয়?
ক. দূরবীণ খ. ওয়্যারলেস
গ. বেতার যন্ত্র ● মানচিত্র
১০. এক ভাস্ট (Verst) সমান কত প্যালেজ?
ক. ৮৩,০০০ ● ৮৪,০০০
গ. ৮৫,০০০ ঘ. ৮৬,০০০
১১. সরল স্কেলে কয়টি একক দেখানো যায়?
● ২টি খ. ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
১২. মানচিত্রের স্কেল লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হলে তাকে কী বলে?
● বর্ণনামূলক স্কেল খ. রৈখিক স্কেল
গ. প্রতিভূ ভগ্নাংশ ঘ. প্রতিভূ অনুপাত
১৩. ঢাকা থেকে ২০ মাইল উত্তরে স্থান কোনটি?
ক. উত্তরা খ. টঙ্গি
● সাভার ঘ. মিরপুর
১৪. ঢাকা থেকে সাভারের দূরত্ব কত?
ক. ১৫ মাইল ● ২০ মাইল
গ. ২২ মাইল ঘ. ২৫ মাইল
১৫. যখন কোনো চতুর্ভুজ বা বহুভূজ ক্ষেত্রের পরস্পর বিপরীত কোণদ্বয় সংযোজক সরল রেখার সাহায্যে পরিমাপ করা যায় তখন তাকে কী বলে?
● কর্ণীয় স্কেল খ. রৈখিক স্কেল
গ. বর্ণনামূলক স্কেল ঘ. প্রতিভূ অনুপাত স্কেল
১৬. কোন স্কেলের ডান দিকে গজ; বাম দিকে ফুট এবং উপরের দিকে ইজ্ঞি লিখতে হয়?
ক. সরল স্কেলের ● কর্ণীয় স্কেলের
গ. বর্ণনামূলক স্কেলের ঘ. রৈখিক স্কেলের
১৭. কোন স্কেলের মাপনী নিচে প্র.অ. ১ ও ৩৬ লিখতে হবে?
ক. সরল স্কেলের খ. রৈখিক স্কেলের
গ. প্রতিভূ অনুপাত স্কেলের ● কর্ণীয় স্কেলের
১৮. একই প্রকার ছোট বা বড় ত্রিভুজ অঙ্কন করে যখন মানচিত্রকে ছোট বা বড় করা হয় তখন তাকে কী বলে?
ক. ছক বা বর্গ পদ্ধতি ● সম-ত্রিভুজ পদ্ধতি
গ. যান্ত্রিক পদ্ধতি ঘ. চতুর্ভুজ পদ্ধতি
১৯. কিসের মাধ্যমে পৃথিবী বা কোনো অঞ্চল সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান লাভ করা যায়?
● মানচিত্র খ. বই
গ. রেডিও ঘ. টেলিভিশন
২০. একটি মানচিত্রে বর্ণনামূলক স্কেল ১ ইঞ্চি সমান ২ মাইল হলে প্রতিভূ অনুপাত কত?
ক. ১ : ১৭৬০ খ. ১ : ৬০০০
● ১ : ১২৬৭২০ ঘ. ১ : ৬৩৩৬০
২১. নতুন মানচিত্রের স্কেল ও মূল মানচিত্রের স্কেলের অনুপাত ১ অপেক্ষা কম হলে নতুন মানচিত্রের কীরূপ পরিবর্তন হবে?
ক. কোনো পরিবর্তন হবে না ● মানচিত্র সংকুচিত হবে
গ. মানচিত্র প্রসারিত হবে ঘ. মানচিত্র একই থাকবে
২২. মানচিত্র অঙ্কন করতে প্রয়োজন-
i. উন্নতমানের কাগজ
ii. স্কেল
iii. অভিক্ষেপ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২৩. মৌজা মানচিত্রে অঙ্কিত থাকে-
i. ভূসম্পত্তি, বাড়িঘর
ii. কৃষিক্ষেত্র, দালানকোঠা
iii. নদনদী, বনজঙ্গল
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২৪. মানচিত্রে দেখানো হয়-
i. স্থলভাগের বন্ধুরতা
ii. পর্বতের উচ্চতা
iii. সমবর্ষণ রেখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
২৫. মানচিত্রের উপাদান-
i. নির্দিষ্ট স্কেল
ii. দিক-নির্দেশক চিহ্ন
iii. অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ● i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৬ ও ২৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
নিজাম তার গ্রামের বাড়িতে জমিজমা পরিমাপের জন্য এক ধরনের মানচিত্রের শরণাপন্ন হয়। এ মানচিত্র দ্বারা আবার সরকার ভূমির মালিকদের থেকে কর নিয়ে থাকে।
২৬. ক্যাডাস্ট্রাল মানচিত্রকে কী ধরনের মানচিত্র বলে?
● মৌজা মানচিত্র
খ. ভূচিত্রাবলি মানচিত্র
গ. প্রাকৃতিক বিষয়সংক্রান্ত মানচিত্র
ঘ. আন্তর্জাতিক মানচিত্র
২৭. নিজামের কাছে কোন ধরনের মানচিত্র রয়েছে?
ক. সাংস্কৃতিক মানচিত্র খ. ভূচিত্রাবলি মানচিত্র
● মৌজা মানচিত্র ঘ. দেয়াল মানচিত্র
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ২৮ ও ২৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
আসিফ তার আব্বার সাথে থানা নিবাহী কর্মকর্তার অফিসে গেল। সেখানে সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ নানা ধরনের জিনিস দেখতে পায়।
২৮. সরকারি ও বেসরকারি অফিসে কোন মানচিত্র ব্যবহৃত হয়?
● দেয়াল মানচিত্র খ. মৌজা মানচিত্র
গ. সাংস্কৃতিক মানচিত্র ঘ. আন্তর্জাতিক মানচিত্র
২৯. সামরিক দপ্তরে কোন মানচিত্র ব্যবহৃত হয়?
ক. মৌজা মানচিত্র ● দেয়াল মানচিত্র
গ. আন্তর্জাতিক মানচিত্র ঘ. প্রাকৃতিক মানচিত্র
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩০ ও ৩১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
আনিসার চাচা হােসাইন সাহেব অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। সে তার চাচার দেশে বেড়াতে যায়। সেখানে বাংলাদেশে প্রচলিত একটি স্কেলের ব্যবহার দেখতে পায়।
৩০. কোন দেশের মানচিত্রে প্যালেজ (Pale+3) থাকে?
ক. জাপানি খ. জার্মানি
গ. নরওয়ে ● রাশিয়ান
৩১. আন্তর্জাতিক স্কেল কোনটি?
● প্রতীক ভগ্নাংশ স্কেল খ. বর্ণনামূলক স্কেল
গ. রৈখিক স্কেল ঘ. কর্ণ স্কেল
৩২. সাধারণত ফেল কয় প্রকার?
ক. ২ প্রকার ● ৩ প্রকার
গ. ৪ প্রকার ঘ. ৫ প্রকার
৩৩. একটি মানচিত্রের বর্ণনামূলক স্কেল ১ ইঞি সমান ২ মাইল হলে প্রতিভূ অনুপাত কত?
ক. ১ : ৬৩০ খ. ১ : ৬০০০
● ১ : ১২৬৭২০ ঘ. ১ : ৬৩৩৬০
৩৪. মানচিত্রের সংকোচন ও সম্প্রসারণ করতে কয়টি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?
ক একটি ● ২টি
গ. ৩টি ঘ. ৪টি
৩৫. স্কেলের ভিত্তিতে মানচিত্র হলাে—
i. ক্ষুদ্র স্কেলের
ii. বৃহৎ স্কেলের
iii. প্রাকৃতিক মানচিত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
● ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৩৬. ল্যাটিন ভাষায় কাপড়ের টুকরাকে কী বলে?
ক. mapa খ. map
গ. mape ● mappa
৩৭. ভূগোলবিদের প্রধান হাতিয়ার কোনটি?
ক. নকশা ● মানচিত্র
গ. কম্পিউটার ঘ. স্কেল
৩৮. কোনো দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য কোনটি দুরকার?
● মানচিত্র খ. নজরদারি
গ. বনায়ন ঘ. ব্যবস্থাপনা
৩৯. সেনাবাহিনী কোন ধরনের মানচিত্র ব্যবহার করে?
ক. মৌজা খ. প্রাকৃতিক বিষয়ক
● দেওয়াল ঘ. স্থানীয়
৪০. যুদ্ধের সময় কোন মানচিত্রটির ব্যবহার সীমিত করা হয়?
ক. ভূচিত্রাবলি ● স্থানীয় বৈচিত্র্যসূচক
গ. মৌজা ঘ. দেয়াল
৪১. তুলনামূলক মাপনী কয় প্রকার?
ক. ২ খ. ৩
● ৪ ঘ. ৫
৪২. উম্বের মাপনী কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
● ক্যামেরার উচ্চতা নির্ধারণে খ. গোলক অঙ্কনে
গ. বৃত্তলেখ অঙ্কনে ঘ. ভূদৃশ্য অঙ্কনে
৪৩. মানচিত্রের কোনো দুটি স্থানের মধ্যস্থিত দূরত্ব কোন উপায়ে সহজে বুঝতে পারা যায়?
ক. বর্ণনার সাহায্যে ● রেখাচিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে
গ. প্রতিভূ অনুপাতে ঘ. সংখ্যাসূচক অগ্নাংশের মাধ্যমে
৪৪. প্রতিভূ অনুপাতের প্রথম অংশকে কী বলে?
ক. মুখ্য খ. গৌণ
● লব ঘ. হর
৪৫. ১ মাইল সমান কত ইঞ্জি?
ক. ৬৩,৩৬০ ● ৬৩,৬৩০
গ. ৬৪,৩৬০ ঘ. ৭৪,৩২০
৪৬. মানচিত্রের প্রতিভূ অনুপাতকে ইংরেজিতে কোনটি দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে?
ক. Represent Fraction খ. Reported Fraction
● Representative Fraction ঘ. Representitutive Fraction
৪৭. পরিমাপের সুবিধার জন্য মুখ্য বিভাগগুলো শূন্য (০) দাগের কোন দিকে অঙ্কন করতে হয়?
● ডান খ. বাম
গ. মধ্য ঘ. যেকোনো এক পাশে
৪৮. মানচিত্রের দুটি স্থানের দূরত্ব নির্ণয় করা যায় কিসের সাহায্যে?
● কর্ণীয় মাপনী খ. চাদা
গ. কাঁটা কম্পাস ঘ. পেন্সিল কম্পাস
৪৯. প্রত্যেক মানচিত্রে কোন ধরনের মাপনী থাকা উচিত?
● রৈখিক খ. বর্গীয়
গ. ভার্নিয়ার ঘ. কর্ণীয়
৫০. একটি সরল মাপনীর গৌণ বিভাগগুলোকে পুনরায় ভাগ করার পদ্ধতিকে কী বলে?
ক. রেখাচিত্র অঙ্কন ● কর্ণীয় মাপনী অঙ্কন
গ. ভার্নিয়ার স্কেল ঘ. পদক্ষেপ মাপনী